ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কুমারী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নির্মাণাধীন বিল্ডিং’র ছাদ ভেঙ্গে পড়ার ঘটনা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:২৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • / ৯১৮ বার পড়া হয়েছে

গ্রামবাসির রোষানল থেকে বাচঁতে নির্মাণ শ্রমিকদের পলায়ন
আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গার কুমারী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ৬৬ লাখ টাকার নির্মাণাধীন বিল্ডিং’র অংশ বিশেষের (পার্কিং শেড) ছাদ ভেঙ্গে পড়েছে। গত রবিবার সকালে ছাদের বর্ধিতাংশ (পার্কিং শেড) ভেঙ্গে পড়লে গ্রামবাসির রোষানলের ভয়ে সকল নির্মাণ শ্রমিক পালিয়ে যায়। রাতে গোপনে ভেঙ্গে পড়া পার্কিং শেড নতুন করে নির্মাণ করা হতে পারে বলে গ্রামের অনেকেই অভিযোগ তুলেছেন।
জানা গেছে, এলজিইডি কর্তৃক বাস্তবায়িত ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে আলমডাঙ্গার কুমারী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নতুন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদের বর্ধিতাংশ (পার্কিং শেড) ভেঙ্গে পড়েছে। গ্রামবাসীদের অনেকে জানান, প্রথম থেকেই অভিযোগ তোলা হয়েছিল সিডিউল মোতাবেক কাজ না করার বিষয়ে। সিডিউল অনুযায়ি কাজ না করায় সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান এ ব্যাপারে এসও ফরিদ উদ্দীনসহ শ্রমিকদের বকাঝক করেছেন বলে দাবি করেন গ্রামের কতিপয় ব্যক্তি। কিন্তু কোন বাধ্যবাধকতার ধার ধারেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কিংবা দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলি এসও ফরিদ উদ্দীন। এরই একপর্যায়ে সকালে পার্কিং সেড ছাদসহ ভেঙ্গে পড়লে কর্মরত সকল নির্মাণ শ্রমিক ঘটনাস্থল থেকে এলাকাবাসীর রোষানল থেকে বাঁচতে দ্রুত পালিয়ে যায়। তবে ছাদ ভেঙ্গে পড়ে যাওয়ার পর দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলি এসও ফরিদ উদ্দীন ভয়ে একবারও ঘটনাস্থলে যাননি।
অভিযোগ উঠেছে- ভেঙ্গে পড়া পার্কিং শেড রাতেই পূণর্নিমাণ করার জন্য এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিকে ম্যানেজ করার চেষ্টা চলছে। যেহেতু এখনও ঠিকাদার সমুদয় বিল উত্তোলন করতে পারেননি, সে কারণে এলাকাবাসি চাপ সৃষ্টি করলে নির্মাণাধীন ভবনটির ভেঙ্গে পড়া অংশসহ অন্যান্য ত্রুটিপূর্ণ অংশ পূণর্নিমাণ করিয়ে নেওয়া যাবে বলেও গ্রামের অনেকে মন্তব্য করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ পিন্টু এই প্রতিবেদককে জানান, গতকাল রবিবার সকালে দিকে ঠিকাদার তার লোক দিয়ে তড়িঘড়ি করে বিল্ডিং মেরামতের চেষ্টাকালে স্থানীয় জনগণের প্রতিরোধের মুখে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কোন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেননি বলে জানা গেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

কুমারী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নির্মাণাধীন বিল্ডিং’র ছাদ ভেঙ্গে পড়ার ঘটনা

আপলোড টাইম : ০৮:২৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

গ্রামবাসির রোষানল থেকে বাচঁতে নির্মাণ শ্রমিকদের পলায়ন
আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গার কুমারী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ৬৬ লাখ টাকার নির্মাণাধীন বিল্ডিং’র অংশ বিশেষের (পার্কিং শেড) ছাদ ভেঙ্গে পড়েছে। গত রবিবার সকালে ছাদের বর্ধিতাংশ (পার্কিং শেড) ভেঙ্গে পড়লে গ্রামবাসির রোষানলের ভয়ে সকল নির্মাণ শ্রমিক পালিয়ে যায়। রাতে গোপনে ভেঙ্গে পড়া পার্কিং শেড নতুন করে নির্মাণ করা হতে পারে বলে গ্রামের অনেকেই অভিযোগ তুলেছেন।
জানা গেছে, এলজিইডি কর্তৃক বাস্তবায়িত ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে আলমডাঙ্গার কুমারী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নতুন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদের বর্ধিতাংশ (পার্কিং শেড) ভেঙ্গে পড়েছে। গ্রামবাসীদের অনেকে জানান, প্রথম থেকেই অভিযোগ তোলা হয়েছিল সিডিউল মোতাবেক কাজ না করার বিষয়ে। সিডিউল অনুযায়ি কাজ না করায় সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান এ ব্যাপারে এসও ফরিদ উদ্দীনসহ শ্রমিকদের বকাঝক করেছেন বলে দাবি করেন গ্রামের কতিপয় ব্যক্তি। কিন্তু কোন বাধ্যবাধকতার ধার ধারেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কিংবা দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলি এসও ফরিদ উদ্দীন। এরই একপর্যায়ে সকালে পার্কিং সেড ছাদসহ ভেঙ্গে পড়লে কর্মরত সকল নির্মাণ শ্রমিক ঘটনাস্থল থেকে এলাকাবাসীর রোষানল থেকে বাঁচতে দ্রুত পালিয়ে যায়। তবে ছাদ ভেঙ্গে পড়ে যাওয়ার পর দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলি এসও ফরিদ উদ্দীন ভয়ে একবারও ঘটনাস্থলে যাননি।
অভিযোগ উঠেছে- ভেঙ্গে পড়া পার্কিং শেড রাতেই পূণর্নিমাণ করার জন্য এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিকে ম্যানেজ করার চেষ্টা চলছে। যেহেতু এখনও ঠিকাদার সমুদয় বিল উত্তোলন করতে পারেননি, সে কারণে এলাকাবাসি চাপ সৃষ্টি করলে নির্মাণাধীন ভবনটির ভেঙ্গে পড়া অংশসহ অন্যান্য ত্রুটিপূর্ণ অংশ পূণর্নিমাণ করিয়ে নেওয়া যাবে বলেও গ্রামের অনেকে মন্তব্য করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ পিন্টু এই প্রতিবেদককে জানান, গতকাল রবিবার সকালে দিকে ঠিকাদার তার লোক দিয়ে তড়িঘড়ি করে বিল্ডিং মেরামতের চেষ্টাকালে স্থানীয় জনগণের প্রতিরোধের মুখে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কোন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেননি বলে জানা গেছে।