ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কিশোরীকে ধর্ষণ, ধর্ষক বাপ্পিকে খুঁজছে পুলিশ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫৬:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০১৯
  • / ২১৩ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার হাতিকাটা আবাসনে দীর্ঘদিন যাবৎ জোরপূর্বক
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের হাতিকাটা গ্রামের আবাসনে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি জানাজানি হলে অভিযুক্ত বাপ্পি (৩৫) পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার ওই কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ গতকাল রাতে অভিযুক্ত বাপ্পিকে না পেয়ে তাঁর স্ত্রীকে সদর থানা হেফাজতে নিয়েছে।
জানা যায়, বাপ্পি ওই কিশোরীকে প্রায়ই ইশারায় ডেকে নিয়ে যেতেন। এ ঘটনা আবাসনের এক নারী মাঝেমধ্যেই দেখতেন। গতকাল দুপুর থেকে হঠাৎ ওই কিশোরীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ওই নারী কিছুক্ষণ পর দেখেন, বাপ্পি তাঁর নিজ ঘর থেকে কিশোরীকে বের করে দিচ্ছেন। বিষয়টি কিশোরীর পরিবারের সদস্যদের জানালে প্রাথমিকভাবে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ওই কিশোরী। পরে ঘটনা জানাজানি হলে ওই নারীর পরিবারকে হুমকি-ধামকি দিয়ে সটকে পড়েন অভিযুক্ত বাপ্পি। গতকাল রাতেই ওই কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা করেন। আজ ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে।
এ প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে মেয়েটি জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। ওই কিশোরীর পিতা সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। ডাক্তারি পরীক্ষাসহ যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। তিনি আরও জানান, ‘আমরা ইতিমধ্যে আসামি বাপ্পিকে আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছি। আশা করছি, খুব শিগগিরই তাঁকে আটক করতে সক্ষম হব।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

কিশোরীকে ধর্ষণ, ধর্ষক বাপ্পিকে খুঁজছে পুলিশ

আপলোড টাইম : ১০:৫৬:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০১৯

চুয়াডাঙ্গার হাতিকাটা আবাসনে দীর্ঘদিন যাবৎ জোরপূর্বক
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের হাতিকাটা গ্রামের আবাসনে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি জানাজানি হলে অভিযুক্ত বাপ্পি (৩৫) পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার ওই কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ গতকাল রাতে অভিযুক্ত বাপ্পিকে না পেয়ে তাঁর স্ত্রীকে সদর থানা হেফাজতে নিয়েছে।
জানা যায়, বাপ্পি ওই কিশোরীকে প্রায়ই ইশারায় ডেকে নিয়ে যেতেন। এ ঘটনা আবাসনের এক নারী মাঝেমধ্যেই দেখতেন। গতকাল দুপুর থেকে হঠাৎ ওই কিশোরীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ওই নারী কিছুক্ষণ পর দেখেন, বাপ্পি তাঁর নিজ ঘর থেকে কিশোরীকে বের করে দিচ্ছেন। বিষয়টি কিশোরীর পরিবারের সদস্যদের জানালে প্রাথমিকভাবে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ওই কিশোরী। পরে ঘটনা জানাজানি হলে ওই নারীর পরিবারকে হুমকি-ধামকি দিয়ে সটকে পড়েন অভিযুক্ত বাপ্পি। গতকাল রাতেই ওই কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা করেন। আজ ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে।
এ প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে মেয়েটি জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। ওই কিশোরীর পিতা সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। ডাক্তারি পরীক্ষাসহ যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। তিনি আরও জানান, ‘আমরা ইতিমধ্যে আসামি বাপ্পিকে আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছি। আশা করছি, খুব শিগগিরই তাঁকে আটক করতে সক্ষম হব।’