ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কাবলাল জুমা নামাজ পড়া জরুরি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩৫:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৮
  • / ৭৮৬ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: কাবলাল জুমা তথা জুমার দুই রাকাত ফরজের আগে এক সালামে চার রাকাত নামাজ সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ, যা অবশ্যই পড়তে হয়। হাদিস ও সাহাবায়ে কেরামের আমল দ্বারা এটি প্রমাণিত। হজরত আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) সূর্য হেলে যাওয়ার পর চার রাকাত নামাজ পড়তেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এটা কিসের নামাজ, যা আপনি নিয়মিত পড়েন? তিনি বললেন, এটি এমন একটি সময়, যখন আসমানের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়। আর আমি পছন্দ করি, যেন এ সময় আমার কোনো নেক আমল উপরে ওঠে। তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এর প্রতি রাকাতে কি সূরা মেলাতে হবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি আবার জিজ্ঞাসা করলাম, এই নামাজ কি এক সালামে না দুই সালামে? তিনি উত্তর দিলেন, এক সালামে। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-এর বিশিষ্ট সাগরেদ আবু আবদুর রহমান আসসুলামি (রহ.) বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) আমাদের জুমার আগে চার রাকাত এবং জুমার পরে চার রাকাত পড়ার আদেশ করতেন। পরে যখন আলী (রা.) আগমন করলেন তখন তিনি আমাদের জুমার পরে প্রথমে দুই রাকাত এরপর চার রাকাত পড়ার আদেশ করেন। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক খ- ৩, পৃষ্ঠা ২৪৭)। নফল নামাজের ব্যাপারে উৎসাহ দেয়া যায়, আদেশ দেয়া যায় না। আদেশ করার অর্থ, এই নামাজ অন্তত সুন্নতে মুয়াক্কাদা, যেমন পরের চার রাকাত সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। জাবালা ইবনে সুহাইম (রহ.) সহিহ সনদে আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি জুমার আগে চার রাকাত নামাজ পড়তেন। মাঝে সালাম ফেরাতেন না।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

কাবলাল জুমা নামাজ পড়া জরুরি

আপলোড টাইম : ১০:৩৫:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৮

ধর্ম ডেস্ক: কাবলাল জুমা তথা জুমার দুই রাকাত ফরজের আগে এক সালামে চার রাকাত নামাজ সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ, যা অবশ্যই পড়তে হয়। হাদিস ও সাহাবায়ে কেরামের আমল দ্বারা এটি প্রমাণিত। হজরত আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) সূর্য হেলে যাওয়ার পর চার রাকাত নামাজ পড়তেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এটা কিসের নামাজ, যা আপনি নিয়মিত পড়েন? তিনি বললেন, এটি এমন একটি সময়, যখন আসমানের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়। আর আমি পছন্দ করি, যেন এ সময় আমার কোনো নেক আমল উপরে ওঠে। তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এর প্রতি রাকাতে কি সূরা মেলাতে হবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি আবার জিজ্ঞাসা করলাম, এই নামাজ কি এক সালামে না দুই সালামে? তিনি উত্তর দিলেন, এক সালামে। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-এর বিশিষ্ট সাগরেদ আবু আবদুর রহমান আসসুলামি (রহ.) বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) আমাদের জুমার আগে চার রাকাত এবং জুমার পরে চার রাকাত পড়ার আদেশ করতেন। পরে যখন আলী (রা.) আগমন করলেন তখন তিনি আমাদের জুমার পরে প্রথমে দুই রাকাত এরপর চার রাকাত পড়ার আদেশ করেন। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক খ- ৩, পৃষ্ঠা ২৪৭)। নফল নামাজের ব্যাপারে উৎসাহ দেয়া যায়, আদেশ দেয়া যায় না। আদেশ করার অর্থ, এই নামাজ অন্তত সুন্নতে মুয়াক্কাদা, যেমন পরের চার রাকাত সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। জাবালা ইবনে সুহাইম (রহ.) সহিহ সনদে আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি জুমার আগে চার রাকাত নামাজ পড়তেন। মাঝে সালাম ফেরাতেন না।