ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কষ্টে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১২৭ বার পড়া হয়েছে

দ্রুত অবসর ভাতা পরিশোধের ব্যবস্থা নিন
দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের মতো সুবিধা পান না। সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা চাকরি জীবন শেষে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এককালীন টাকা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, ছুটি পাওনা থাকলে ১৮ মাসের ছুটি, মাসিক পেনশন ও গ্র্যাচুইটির সুবিধা পেয়ে থাকেন। কিন্তু বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য সে সুবিধা নেই। প্রকাশিত খবরে বলা হচ্ছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা তাঁদের মূল বেতনের ৬ শতাংশ অবসর সুবিধা ফান্ডে জমা দেন। চাকরি জীবন শেষে তিন কিস্তিতে তাঁদের পাওনা পরিশোধ করা হয়। অবসর সুবিধা ফান্ড থেকে প্রায় পৌনে পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর কাছ থেকে জমা পড়ে প্রায় ৬০ কোটি টাকা। কিন্তু প্রতি মাসে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর সুবিধার জন্য প্রায় ১০৫ কোটি টাকা প্রয়োজন হয়। ফলে প্রতি মাসেই ৪৫ কোটি টাকা ঘাটতি থেকে যায়। এভাবে টাকা ঘাটতি থাকায় আবেদন জমতে জমতে সাড়ে ২২ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর অবসরের টাকা বকেয়া পড়ে গেছে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত যাঁরা অবসর সুবিধার জন্য আবেদন করেছিলেন, তাঁদের টাকা এরই মধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, বর্তমানে অবসর সুবিধার জন্য ২২ হাজার ৪৩৩ শিক্ষক-কর্মচারীর আবেদন জমা আছে। তাঁদের প্রাপ্য পরিশোধের জন্য দুই হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা প্রয়োজন। কিন্তু বোর্ডের হাতে টাকা নেই। তাই বছরের পর বছর শিক্ষকদের ঘুরতে হচ্ছে। বর্তমানে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত জমা হওয়া আবেদনের অবসর সুবিধার টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। বেসরকারি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা ২০০২ সালে শুরু হলেও শুরুর দিকে তা ছিল চরম অবহেলিত। ২০১৬ সাল থেকে প্রতিবছরই প্রধানমন্ত্রী এই বোর্ডের জন্য অনুদান দিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৬ সালে দেওয়া ৬৫০ কোটি টাকার মধ্যে ৫০০ কোটিই ছিল স্থায়ী তহবিল। ২০১৭ সালে ১০০ কোটি ও ২০১৮ সালে ৫৩২ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দেন প্রধানমন্ত্রী। থোক বরাদ্দের টাকা অবসর সুবিধার জন্য ব্যয় করা হয়। প্রধানমন্ত্রী গত তিন অর্থবছরে এক হাজার ৩১৭ কোটি টাকা প্রদান করেছেন। মুজিববর্ষে বিশেষ কর্মসূচির আওতায় সম্পূরক বাজেট থেকে এক হাজার কোটি টাকা চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। সেটা পেলে মুজিববর্ষে ১২ হাজার শিক্ষকের অবসরের টাকা দেওয়া যাবে বলে অবসর সুবিধা বোর্ডের সচিব জানিয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা অবসরের পর যাতে যথাসময়ে তাঁদের অবসর ভাতা পান, সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

কষ্টে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা

আপলোড টাইম : ১০:১৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

দ্রুত অবসর ভাতা পরিশোধের ব্যবস্থা নিন
দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের মতো সুবিধা পান না। সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা চাকরি জীবন শেষে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এককালীন টাকা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, ছুটি পাওনা থাকলে ১৮ মাসের ছুটি, মাসিক পেনশন ও গ্র্যাচুইটির সুবিধা পেয়ে থাকেন। কিন্তু বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য সে সুবিধা নেই। প্রকাশিত খবরে বলা হচ্ছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা তাঁদের মূল বেতনের ৬ শতাংশ অবসর সুবিধা ফান্ডে জমা দেন। চাকরি জীবন শেষে তিন কিস্তিতে তাঁদের পাওনা পরিশোধ করা হয়। অবসর সুবিধা ফান্ড থেকে প্রায় পৌনে পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর কাছ থেকে জমা পড়ে প্রায় ৬০ কোটি টাকা। কিন্তু প্রতি মাসে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর সুবিধার জন্য প্রায় ১০৫ কোটি টাকা প্রয়োজন হয়। ফলে প্রতি মাসেই ৪৫ কোটি টাকা ঘাটতি থেকে যায়। এভাবে টাকা ঘাটতি থাকায় আবেদন জমতে জমতে সাড়ে ২২ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর অবসরের টাকা বকেয়া পড়ে গেছে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত যাঁরা অবসর সুবিধার জন্য আবেদন করেছিলেন, তাঁদের টাকা এরই মধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, বর্তমানে অবসর সুবিধার জন্য ২২ হাজার ৪৩৩ শিক্ষক-কর্মচারীর আবেদন জমা আছে। তাঁদের প্রাপ্য পরিশোধের জন্য দুই হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা প্রয়োজন। কিন্তু বোর্ডের হাতে টাকা নেই। তাই বছরের পর বছর শিক্ষকদের ঘুরতে হচ্ছে। বর্তমানে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত জমা হওয়া আবেদনের অবসর সুবিধার টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। বেসরকারি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা ২০০২ সালে শুরু হলেও শুরুর দিকে তা ছিল চরম অবহেলিত। ২০১৬ সাল থেকে প্রতিবছরই প্রধানমন্ত্রী এই বোর্ডের জন্য অনুদান দিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৬ সালে দেওয়া ৬৫০ কোটি টাকার মধ্যে ৫০০ কোটিই ছিল স্থায়ী তহবিল। ২০১৭ সালে ১০০ কোটি ও ২০১৮ সালে ৫৩২ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দেন প্রধানমন্ত্রী। থোক বরাদ্দের টাকা অবসর সুবিধার জন্য ব্যয় করা হয়। প্রধানমন্ত্রী গত তিন অর্থবছরে এক হাজার ৩১৭ কোটি টাকা প্রদান করেছেন। মুজিববর্ষে বিশেষ কর্মসূচির আওতায় সম্পূরক বাজেট থেকে এক হাজার কোটি টাকা চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। সেটা পেলে মুজিববর্ষে ১২ হাজার শিক্ষকের অবসরের টাকা দেওয়া যাবে বলে অবসর সুবিধা বোর্ডের সচিব জানিয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা অবসরের পর যাতে যথাসময়ে তাঁদের অবসর ভাতা পান, সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।