কর্মসূচির চালে নয়-ছয়, ফাঁসলেন দুই ডিলার!
- আপলোড টাইম : ০৮:৪৭:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ জুলাই ২০২০
- / ১৪৬ বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইদহ অফিস:
তদন্তে ফেঁসে গেছেন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের দুই ডিলার। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটী ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে দুর্নীতি, অনিয়ম ও জালিয়াতির তথ্য পেয়েছে জেলা প্রশাসকের গঠিত তদন্ত কমিটি। গতকাল মঙ্গলবার তদন্ত কমিটির সদস্য সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত সরেজমিন তদন্ত করতে গেলে অভিযোগকারী দুই ডিলার ইমদাদুল এবং জিয়ার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সাক্ষী দেন। তদন্তকালে একই জাতীয় পরিচয়পত্রের (মৃত ব্যক্তিসহ) বিপরীতে একাধিক ব্যক্তির চাল উত্তোলন, একজনের কার্ডের চাল অন্যজনকে প্রদান ও ওজনে কম দেওয়ার সত্যতা পান বলে গত ১৫ জুন তারিখে স্বাক্ষরিত জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন। অভিযোগের বিষয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের ডিলার ইমদাদুল এবং জিয়া তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাতের প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি। এ সময় তাঁরা নিশ্চুপ ছিলেন। ফলে দুই ডিলার মধুহাটী ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে নয়-ছয় করেছেন মর্মে প্রতিয়মান হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত তাঁর প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, চেয়ারম্যানের তালিকায় নাম না থাকলেও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার তালিকায় নাম আছে কুবিরখারী গ্রামের নুরুল ইসলামের। তিনি কোনো চাল পাচ্ছেন না। একইভাবে বেড়াশুলা গ্রামের পিকুল, রবিউল, কমতা গ্রামের জাকির ও শরীফ, নওদাপাড়ার ফেরদৌসি, শহরবানু, আক্তারুজ্জামান, রেশমা, শামিম রেজা, গোপালপুরের দিজেন্দ্র নাথ, আলতাফ হোসেন, বেজিমারা গ্রামের আবুল হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তি চাল পান না। রুপালী খাতুন নামের এক মহিলা প্রথম ৬ মাস চাল পেলেও পরবর্তীতে চাল পাননি। ৭টি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ৩২ জনের নামে কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। ৬ জনের নাম ও ঠিকানা দুই তালিকায় ভিন্ন রকম পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এ সব বিষয়ে মধুহাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন জুয়েল সাংবাদিকদের জানান, ‘ডিলাররা অনিয়ম করলে তার দায়ভার তো আমি নেব না। তা ছাড়া এই কর্মসূচিতে অনিয়মের বিষয়টি দেখভালের জন্য সরকারি ট্যাগ অফিসার রয়েছেন।’ এদিকে দুই ডিলারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও জালিয়াতির তথ্য প্রমাণিত হওয়ার পরও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো আইনগত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আরিফ উজ জামান বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনগত বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।