ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কর্মক্ষমতা ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণকে সর্বোত্তম সেবা প্রদান করতে হবে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৯:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুলাই ২০২০
  • / ১৪৭ বার পড়া হয়েছে

খুলনা রেঞ্জের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)
নিজস্ব প্রতিবেদক:
পুলিশ ফোর্সের কর্মক্ষমতার সর্বোচ্চ ও উপযুক্ত ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণকে সর্বোত্তম সেবা প্রদানের জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)। আইজিপি গতকাল সোমবার দুপুরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে খুলনা রেঞ্জ এবং রেঞ্জের অধীন জেলাসমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য প্রদানকালে এ নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, ইউনিট কমান্ডারদেরকে তাঁদের অধীন ফোর্সকে সঠিকভাবে গাইড করতে হবে, তাঁদের সক্ষমতাকে কাজে লাগাতে হবে। ফোর্সের ডিসিপ্লিনের ব্যাপারে কঠোর হতে হবে, এক্ষেত্রে কোনো ধরনের ছাড় বা শৈথিল্য দেখানো যাবে না। আবার, ফোর্সের সার্বিক কল্যাণও নিশ্চিত করতে হবে অত্যন্ত উদারভাবে। আইজিপি বলেন, খুলনা রেঞ্জ এলাকায় যুগোপযোগী ও মানসম্মত পুলিশি সেবা নিশ্চিত করতে ও মানবিক পুলিশিংয়ের বর্তমান ধারাকে আরও সুসংহত করতে খুলনা অঞ্চলের স্থায়ী ও অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পসমূহের কার্যক্রম রিভিউ করতে নির্দেশ দেন আইজিপি। আইজিপি বলেন, পুলিশিং সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে বিট পুলিশিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও বেগবান করতে প্রয়াজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ড. বেনজীর আহমেদ আরও বলেন, আমরা পুলিশকে দুর্নীতিমুক্ত, মাদকমুক্ত দেখতে চাই। মাদকের ব্যাপারে কঠোর বার্তা দিয়ে আইজিপি ইউনিট প্রধানদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনার এলাকায় হয় আপনি থাকবেন অথবা মাদক থাকবে। মাদক থাকলে আপনি থাকতে পারবেন না, আপনি থাকলে মাদক থাকবে না। পুলিশের ভেতরে এবং বাইরে কোনো রকম দুর্নীতি থাকতে পারবে না। পুলিশে কোন ধরনের দুর্নীতি আমরা দেখতে চাই না।
প্রথাগত পুলিশিং থেকে বেরিয়ে এসে প্রযুক্তিভিত্তিক ইনোভেটিভ পুলিশিংয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করে আইজিপি বলেন, পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে নিয়মিত জ্ঞান চর্চা করতে হবে। পুলিশ সংক্রান্ত আইন কানুন, বিধি-বিধান ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান অন্বেষণের মাধ্যমে পেশাগত দক্ষতার উন্মেষ ঘটাতে হবে। পেশাগত জ্ঞান ও উত্তম চর্চার বিষয়ে সবসময় আপ টু ডেট থাকতে হবে। আইজিপি বলেন, আসুন, আমরা দেশের জন্য কাজ করি, মানুষের জন্য কাজ করি। মানুষকে ভালোবাসলে মানুষ তার প্রতিদান দেয়। এর প্রমাণ বর্তমান করোনাকালে পুলিশের প্রতি মানুষের অগাধ ভালোবাসা।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা প্রান্তে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কনক কুমার দাস। ভিডিও কনফারেন্সের বিষয়ে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আইজিপি মহোদয় কথা বলেছেন। তিনি বিট পুলিশিং কার্যক্রম সম্পর্কেও নির্দেশনা দিয়েছেন। মাদকের বিষয়ে কঠোর হতে বলেছেন। পুলিশে কোনো প্রকার দুর্নীতিতে থাকবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন। আমরা মাননীয় আইজিপি মহোদয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করব। পুলিশ মানুষের বন্ধু, সেটি এখন মানুষ বোঝে। মানুষ পুলিশকে এখন মানুষ ভালোবাসে।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

কর্মক্ষমতা ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণকে সর্বোত্তম সেবা প্রদান করতে হবে

আপলোড টাইম : ১০:১৯:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুলাই ২০২০

খুলনা রেঞ্জের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)
নিজস্ব প্রতিবেদক:
পুলিশ ফোর্সের কর্মক্ষমতার সর্বোচ্চ ও উপযুক্ত ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণকে সর্বোত্তম সেবা প্রদানের জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)। আইজিপি গতকাল সোমবার দুপুরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে খুলনা রেঞ্জ এবং রেঞ্জের অধীন জেলাসমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য প্রদানকালে এ নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, ইউনিট কমান্ডারদেরকে তাঁদের অধীন ফোর্সকে সঠিকভাবে গাইড করতে হবে, তাঁদের সক্ষমতাকে কাজে লাগাতে হবে। ফোর্সের ডিসিপ্লিনের ব্যাপারে কঠোর হতে হবে, এক্ষেত্রে কোনো ধরনের ছাড় বা শৈথিল্য দেখানো যাবে না। আবার, ফোর্সের সার্বিক কল্যাণও নিশ্চিত করতে হবে অত্যন্ত উদারভাবে। আইজিপি বলেন, খুলনা রেঞ্জ এলাকায় যুগোপযোগী ও মানসম্মত পুলিশি সেবা নিশ্চিত করতে ও মানবিক পুলিশিংয়ের বর্তমান ধারাকে আরও সুসংহত করতে খুলনা অঞ্চলের স্থায়ী ও অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পসমূহের কার্যক্রম রিভিউ করতে নির্দেশ দেন আইজিপি। আইজিপি বলেন, পুলিশিং সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে বিট পুলিশিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও বেগবান করতে প্রয়াজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ড. বেনজীর আহমেদ আরও বলেন, আমরা পুলিশকে দুর্নীতিমুক্ত, মাদকমুক্ত দেখতে চাই। মাদকের ব্যাপারে কঠোর বার্তা দিয়ে আইজিপি ইউনিট প্রধানদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনার এলাকায় হয় আপনি থাকবেন অথবা মাদক থাকবে। মাদক থাকলে আপনি থাকতে পারবেন না, আপনি থাকলে মাদক থাকবে না। পুলিশের ভেতরে এবং বাইরে কোনো রকম দুর্নীতি থাকতে পারবে না। পুলিশে কোন ধরনের দুর্নীতি আমরা দেখতে চাই না।
প্রথাগত পুলিশিং থেকে বেরিয়ে এসে প্রযুক্তিভিত্তিক ইনোভেটিভ পুলিশিংয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করে আইজিপি বলেন, পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে নিয়মিত জ্ঞান চর্চা করতে হবে। পুলিশ সংক্রান্ত আইন কানুন, বিধি-বিধান ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান অন্বেষণের মাধ্যমে পেশাগত দক্ষতার উন্মেষ ঘটাতে হবে। পেশাগত জ্ঞান ও উত্তম চর্চার বিষয়ে সবসময় আপ টু ডেট থাকতে হবে। আইজিপি বলেন, আসুন, আমরা দেশের জন্য কাজ করি, মানুষের জন্য কাজ করি। মানুষকে ভালোবাসলে মানুষ তার প্রতিদান দেয়। এর প্রমাণ বর্তমান করোনাকালে পুলিশের প্রতি মানুষের অগাধ ভালোবাসা।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা প্রান্তে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কনক কুমার দাস। ভিডিও কনফারেন্সের বিষয়ে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আইজিপি মহোদয় কথা বলেছেন। তিনি বিট পুলিশিং কার্যক্রম সম্পর্কেও নির্দেশনা দিয়েছেন। মাদকের বিষয়ে কঠোর হতে বলেছেন। পুলিশে কোনো প্রকার দুর্নীতিতে থাকবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন। আমরা মাননীয় আইজিপি মহোদয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করব। পুলিশ মানুষের বন্ধু, সেটি এখন মানুষ বোঝে। মানুষ পুলিশকে এখন মানুষ ভালোবাসে।’