ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

করোনা আক্রান্তদের প্রতি মানবিক আচরণ প্রদর্শন করি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ জুলাই ২০২০
  • / ১৩২ বার পড়া হয়েছে

জয়রামপুরে লকডাউনে থাকা পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী প্রদানকালে ইউএনও দিলারা রহমান
প্রতিবেদক, দামুড়হুদা:
দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুরে লকডাউনে থাকা একটি পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিলেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান। গতকাল শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে তিনি নিজ হাতে এই খাদ্যসামগ্রী দিয়ে আসেন।
জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর মল্লিক পাড়ার শহিদুল ইসলামের ছেলে গত ২৮ জুন ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন। গত ৩০ জুন তাঁর নমুমা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। পরে ১ জুলাই তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তারপর দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমকর্তার ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল শুভর নির্দেশে স্যানেটারি ইন্সপেক্টর জামাত আলী, স্বাস্থ্য সহকারী রাসেদুল ইসলাম ও সিএইচসিপি সাইফুল বিন আহাম্মদ ২ জুলাই তাঁদের বাড়ি লকডাউন করেন। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিসহ পুরো পরিবার শারীরিক কষ্টের মধ্যে দিনযাপন করছে, অপর দিকে তাঁর প্রতিবেশীরা অমানবিক আচরণে প্রতিনিয়ত অসহায় এবং শঙ্কার মধ্যে রয়েছে তাঁর পুরো পরিবার। তাঁরা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হলেও পুরো পরিবার ঘর হতে বের হতে না পারার কারণে খাদ্য সংকটেরও সম্মুখীন হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিবেশী সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়নি। সংবাদ পেয়ে গতকাল শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান চাল, ডাল, ডিম, তেলসহ যাবতীয় খাদ্যসামগী তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাউলী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দীন ও উপজেলার নাজির ওমর ফারুক।
এ সময় দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান বলেন, একজন করোনা রোগী এবং তাঁর প্রতিবেশীরা প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ করছে। এ সময় দেখা যায় সমাজের দ্বিমুখী চিত্র। যে প্রতিবেশীরা করোনা রোগীকে নিদারুণ ঘৃণা করছে এবং মানসিক নির্যাতন করছে। আবার সেই মানুষগুলিই নিজেরাই মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। আজ সেই অমানবিক ব্যক্তিদের বলা হয়েছে করোনা আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে মানবিক আচরণ করতে হবে। অন্যথায়, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থ নেওয়া হবে। আসুন আমরা নিজে সচেতন হই। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে সমাজচ্যুত করার চিন্তা না করে তাদের প্রতি মানবিক আচরণ প্রদর্শন করি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

করোনা আক্রান্তদের প্রতি মানবিক আচরণ প্রদর্শন করি

আপলোড টাইম : ০৮:৪৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ জুলাই ২০২০

জয়রামপুরে লকডাউনে থাকা পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী প্রদানকালে ইউএনও দিলারা রহমান
প্রতিবেদক, দামুড়হুদা:
দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুরে লকডাউনে থাকা একটি পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিলেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান। গতকাল শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে তিনি নিজ হাতে এই খাদ্যসামগ্রী দিয়ে আসেন।
জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর মল্লিক পাড়ার শহিদুল ইসলামের ছেলে গত ২৮ জুন ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন। গত ৩০ জুন তাঁর নমুমা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। পরে ১ জুলাই তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তারপর দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমকর্তার ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল শুভর নির্দেশে স্যানেটারি ইন্সপেক্টর জামাত আলী, স্বাস্থ্য সহকারী রাসেদুল ইসলাম ও সিএইচসিপি সাইফুল বিন আহাম্মদ ২ জুলাই তাঁদের বাড়ি লকডাউন করেন। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিসহ পুরো পরিবার শারীরিক কষ্টের মধ্যে দিনযাপন করছে, অপর দিকে তাঁর প্রতিবেশীরা অমানবিক আচরণে প্রতিনিয়ত অসহায় এবং শঙ্কার মধ্যে রয়েছে তাঁর পুরো পরিবার। তাঁরা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হলেও পুরো পরিবার ঘর হতে বের হতে না পারার কারণে খাদ্য সংকটেরও সম্মুখীন হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিবেশী সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়নি। সংবাদ পেয়ে গতকাল শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান চাল, ডাল, ডিম, তেলসহ যাবতীয় খাদ্যসামগী তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাউলী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দীন ও উপজেলার নাজির ওমর ফারুক।
এ সময় দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান বলেন, একজন করোনা রোগী এবং তাঁর প্রতিবেশীরা প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ করছে। এ সময় দেখা যায় সমাজের দ্বিমুখী চিত্র। যে প্রতিবেশীরা করোনা রোগীকে নিদারুণ ঘৃণা করছে এবং মানসিক নির্যাতন করছে। আবার সেই মানুষগুলিই নিজেরাই মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। আজ সেই অমানবিক ব্যক্তিদের বলা হয়েছে করোনা আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে মানবিক আচরণ করতে হবে। অন্যথায়, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থ নেওয়া হবে। আসুন আমরা নিজে সচেতন হই। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে সমাজচ্যুত করার চিন্তা না করে তাদের প্রতি মানবিক আচরণ প্রদর্শন করি।