ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

করোনার প্রভাব পুঁজিবাজারে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ মার্চ ২০২০
  • / ২০৯ বার পড়া হয়েছে

আতঙ্কিত না হয়ে পরিস্থিতি বুঝুন
দেশের শেয়ারবাজারে ভর করেছে করোনাভাইরাস আতঙ্ক। জানুয়ারিতে বড় ধসের পর গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় ব্যাংকগুলোকে ‘বিশেষ তহবিল’ গঠনের সুযোগ দেওয়ার পর থেকে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। টানা কয়েক দিন লেনদেনের পাশাপাশি সূচকও বাড়ে। বাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসতে শুরু করেছিল। কিন্তু ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বাজারে ফের লেনদেন ও সূচক কমতে শুরু করে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত রবিবার ও সোমবার দুই বাজারে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কম্পানির শেয়ারের দর কমে যায়। সোমবার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫৫টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর কমে ৩৫২টির, বাড়ে দুইটির, আর অপরিবর্তিত থাকে একটির দাম। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৫৬টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর কমে ২৪৯টির, বাড়ে তিনটির আর অপরিবর্তিত থাকে চারটির দাম। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আতঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে নিরাপদ অবস্থান খুঁজছেন। লোকসান হলেও শেয়ার বিক্রি করে বাজার ছাড়ছেন তাঁরা। বাজারসংশ্লিষ্টদের মতে, এমনিতেই বাংলাদেশের পুঁজিবাজার সংবেদনশীল। এর মধ্যে করোনাভাইরাস আতঙ্কে গত কয়েক দিন দরপতনের গতি বেশি দেখা যায়। আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। পুঁজিবাজারে গত রবিবারের পতন গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এতে ভিত্তি পয়েন্টের নিচে নেমে যায় অনেক শেয়ারের দাম। ২০১৩ সালে এই সূচক চালুর পর এক দিনে মূল্যসূচকের এমন পতন আর হয়নি। অন্যদিকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিপরীত চিত্র দেখা যায়। বেশ কয়েক দিন ধরে বাজার পতনের ধারায় থাকা পুঁজিবাজার হঠাৎই ঘুরে দাঁড়ায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে প্রথম ১৩ মিনিটের লেনদেনে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বাড়ে ১০০ পয়েন্ট। লেনদেনের শুরু থেকেই ঊর্ধ্বমুখী সূচক। প্রথম আধা ঘণ্টায় হাতবদল হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বাড়ে ২৫৯টির, কমে ৬০টির এবং অপরিবর্তিত থাকে ২৯টির দর। শেয়ারবাজার হচ্ছে দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগের জায়গা। প্রতিদিনের কেনাবেচার বাজার নয়। বিনিয়োগ করার আগে অবশ্যই ভালো করে বুঝে-শুনে বিনিয়োগ করতে হবে। শেয়ারের দাম বাড়লেই শুধু সেই শেয়ার কেনার আগ্রহ সৃষ্টি হওয়া ভালো লক্ষণ নয়। অনেক সময় কারসাজি হয় বাজারে। এসব বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেই শেয়ারবাজারে যেতে হবে। অনেকে দরপতনের ধারা দেখে শেয়ার বিক্রি শুরু করেন। এ প্রবণতাও বাজারের জন্য ভালো নয়। আতঙ্কিত না হয়ে পরিস্থিতি বুঝে বিনিয়োগ করুন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

করোনার প্রভাব পুঁজিবাজারে

আপলোড টাইম : ১০:০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ মার্চ ২০২০

আতঙ্কিত না হয়ে পরিস্থিতি বুঝুন
দেশের শেয়ারবাজারে ভর করেছে করোনাভাইরাস আতঙ্ক। জানুয়ারিতে বড় ধসের পর গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় ব্যাংকগুলোকে ‘বিশেষ তহবিল’ গঠনের সুযোগ দেওয়ার পর থেকে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। টানা কয়েক দিন লেনদেনের পাশাপাশি সূচকও বাড়ে। বাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসতে শুরু করেছিল। কিন্তু ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বাজারে ফের লেনদেন ও সূচক কমতে শুরু করে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত রবিবার ও সোমবার দুই বাজারে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কম্পানির শেয়ারের দর কমে যায়। সোমবার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫৫টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর কমে ৩৫২টির, বাড়ে দুইটির, আর অপরিবর্তিত থাকে একটির দাম। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৫৬টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর কমে ২৪৯টির, বাড়ে তিনটির আর অপরিবর্তিত থাকে চারটির দাম। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আতঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে নিরাপদ অবস্থান খুঁজছেন। লোকসান হলেও শেয়ার বিক্রি করে বাজার ছাড়ছেন তাঁরা। বাজারসংশ্লিষ্টদের মতে, এমনিতেই বাংলাদেশের পুঁজিবাজার সংবেদনশীল। এর মধ্যে করোনাভাইরাস আতঙ্কে গত কয়েক দিন দরপতনের গতি বেশি দেখা যায়। আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। পুঁজিবাজারে গত রবিবারের পতন গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এতে ভিত্তি পয়েন্টের নিচে নেমে যায় অনেক শেয়ারের দাম। ২০১৩ সালে এই সূচক চালুর পর এক দিনে মূল্যসূচকের এমন পতন আর হয়নি। অন্যদিকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিপরীত চিত্র দেখা যায়। বেশ কয়েক দিন ধরে বাজার পতনের ধারায় থাকা পুঁজিবাজার হঠাৎই ঘুরে দাঁড়ায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে প্রথম ১৩ মিনিটের লেনদেনে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বাড়ে ১০০ পয়েন্ট। লেনদেনের শুরু থেকেই ঊর্ধ্বমুখী সূচক। প্রথম আধা ঘণ্টায় হাতবদল হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বাড়ে ২৫৯টির, কমে ৬০টির এবং অপরিবর্তিত থাকে ২৯টির দর। শেয়ারবাজার হচ্ছে দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগের জায়গা। প্রতিদিনের কেনাবেচার বাজার নয়। বিনিয়োগ করার আগে অবশ্যই ভালো করে বুঝে-শুনে বিনিয়োগ করতে হবে। শেয়ারের দাম বাড়লেই শুধু সেই শেয়ার কেনার আগ্রহ সৃষ্টি হওয়া ভালো লক্ষণ নয়। অনেক সময় কারসাজি হয় বাজারে। এসব বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেই শেয়ারবাজারে যেতে হবে। অনেকে দরপতনের ধারা দেখে শেয়ার বিক্রি শুরু করেন। এ প্রবণতাও বাজারের জন্য ভালো নয়। আতঙ্কিত না হয়ে পরিস্থিতি বুঝে বিনিয়োগ করুন।