ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

করোনাভাইরাস: ফেসবুকে ‘ফ্রেন্ড নির্বাচনে’ সতর্ক হতে রাষ্ট্রের কর্মচারিদের সরকারি হুকুম

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মে ২০২০
  • / ১৮০ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
বাংলাদেশে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের ফেসবুক ব্যবহারের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সরকার বা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় এমন পোস্টে কমেন্ট, লাইক দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এমনকি ফেসবুক ফ্রেন্ড নির্বাচনেও সতর্ক থাকতে হবে। কর্মকর্তারা বলছেন, করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে বর্তমানে যে অস্থিরতা চলছে তার প্রেক্ষিতেই এই সতর্কতা। এ নিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, সরকার মনে করে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বর্তমান সময়টি একটি খুবই অস্থির সময়। এবং এ সময়ে সামাজিক মাধ্যমে নানা ধরনের গুজব এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন পোস্টের কারণে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে, বিশেষ করে যদি সেটি সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে আসে। সেই কারণে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে বলা হয়েছে।
উদাহরণ দিয়ে মি. হোসেন বলেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হবার পর থেকে প্রশাসন, পুলিশ এবং চিকিৎসকসহ বিভিন্ন সেক্টরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কয়েকটি ফেসবুক পোষ্ট দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনার সূত্রপাত ঘটায়। ফলে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দায়িত্বশীলতার বিষয়টি আরেকবার মনে করিয়ে দেয়া ও জোর দেয়ার জন্য এই নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। সরকারের পরিপত্রে মোট আটটি নির্দেশনা রয়েছে – যাতে সরকার বা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণকারী, জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থী, জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টিকারী, বা ভিত্তিহীন, অসত্য ও অশ্লীল – এমন তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া ‘জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোন সার্ভিস বা পেশাকে হেয় প্রতিপন্ন করে’ এমন কোন পোস্ট দেয়া থেকে বিরত থাকতেও বলা হয়েছে। ‘অন্য কোন রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য’ সম্বলিত কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট লাইক বা শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতেও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সরকারের পরিপত্রে এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘কন্টেন্ট ও ফ্রেন্ড নির্বাচনে’ সকলকে সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এতে হুঁশিয়ার করে বলা হয়েছে, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার বা নিজ একাউন্টের ক্ষতিকারক কন্টেন্টের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মচারি নিজে দায়ী হবেন’ – এবং সে জন্য তার বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হে

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

করোনাভাইরাস: ফেসবুকে ‘ফ্রেন্ড নির্বাচনে’ সতর্ক হতে রাষ্ট্রের কর্মচারিদের সরকারি হুকুম

আপলোড টাইম : ১০:০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মে ২০২০

সমীকরণ প্রতিবেদন:
বাংলাদেশে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের ফেসবুক ব্যবহারের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সরকার বা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় এমন পোস্টে কমেন্ট, লাইক দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এমনকি ফেসবুক ফ্রেন্ড নির্বাচনেও সতর্ক থাকতে হবে। কর্মকর্তারা বলছেন, করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে বর্তমানে যে অস্থিরতা চলছে তার প্রেক্ষিতেই এই সতর্কতা। এ নিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, সরকার মনে করে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বর্তমান সময়টি একটি খুবই অস্থির সময়। এবং এ সময়ে সামাজিক মাধ্যমে নানা ধরনের গুজব এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন পোস্টের কারণে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে, বিশেষ করে যদি সেটি সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে আসে। সেই কারণে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে বলা হয়েছে।
উদাহরণ দিয়ে মি. হোসেন বলেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হবার পর থেকে প্রশাসন, পুলিশ এবং চিকিৎসকসহ বিভিন্ন সেক্টরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কয়েকটি ফেসবুক পোষ্ট দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনার সূত্রপাত ঘটায়। ফলে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দায়িত্বশীলতার বিষয়টি আরেকবার মনে করিয়ে দেয়া ও জোর দেয়ার জন্য এই নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। সরকারের পরিপত্রে মোট আটটি নির্দেশনা রয়েছে – যাতে সরকার বা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণকারী, জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থী, জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টিকারী, বা ভিত্তিহীন, অসত্য ও অশ্লীল – এমন তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া ‘জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোন সার্ভিস বা পেশাকে হেয় প্রতিপন্ন করে’ এমন কোন পোস্ট দেয়া থেকে বিরত থাকতেও বলা হয়েছে। ‘অন্য কোন রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য’ সম্বলিত কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট লাইক বা শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতেও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সরকারের পরিপত্রে এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘কন্টেন্ট ও ফ্রেন্ড নির্বাচনে’ সকলকে সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এতে হুঁশিয়ার করে বলা হয়েছে, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার বা নিজ একাউন্টের ক্ষতিকারক কন্টেন্টের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মচারি নিজে দায়ী হবেন’ – এবং সে জন্য তার বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হে