ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

করোনাভাইরাস: চুয়াডাঙ্গায় ঘরবন্দী ২৩৫ জন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মার্চ ২০২০
  • / ২১৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনা আক্রান্ত সন্দেহে গত ২৪ ঘণ্টায় চুয়াডাঙ্গায় বিদেশ ফেরত প্রবাসীর সংখ্যা আরও ২২ জন বেড়েছে। এ নিয়ে মোট ২৩৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে (ঘরবন্দী) রাখা হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার চারটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে তাঁদের নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। এদের মধ্যে ভারত, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, ইতালি, কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে ফিরেছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রবাসীদের মধ্যে রয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৩৫ জন, জীবননগর উপজেলার ৮০ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ৬৯ জন ও দামুড়হুদা উপজেলার ৫১ জন। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন একজন। তা ছাড়া ১৪ দিন অতিবাহিত হওয়ায়, কোনো প্রকার সিনট্রম না পাওয়ায় আরও ৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। এই ৫ জন দিয়ে চুয়াডাঙ্গায় মোট ৩৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের নিকট গত তিন মাসে প্রবাস থেকে ফিরে আসাদের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তালিকাটিতে চুয়াডাঙ্গা জেলার চার উপজেলার ৭ হাজার ৭৯০ জনের নাম আছে। এ তালিকা অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাজ করা হচ্ছে। তাঁদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানান, হোম কোয়ারেন্টাইন মানা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। যারা বিদেশ ফেরত, তাদেরকে কোনোভাবেই সহজভাবে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিদেশ ফেরত সবাইকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন মেনে চলতেই হবে। না মানলে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ অনুযায়ী এবং দণ্ডবিধি অনুযায়ী তাঁদের জেল-জরিমানা উভয় দণ্ড হতে পারে। করোনা সংক্রান্ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবাই সহযোগিতা কামনা করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিয়ম মেনে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন থাকা খুব একটা কষ্টের কাজ নয়। কিন্তু যদি কারো করোনা হয়ে থাকে, আর সেটা যদি ছড়িয়ে যায়, তাহলে অনেক বড় ধরনের সমস্যা হবে। তাই সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব নিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইন পালন করলে এ সমস্যা থেকে বাঁচা যাবে। যদি কেউ কোয়ারেন্টাইন না মানে তাহলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

করোনাভাইরাস: চুয়াডাঙ্গায় ঘরবন্দী ২৩৫ জন

আপলোড টাইম : ১০:১৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মার্চ ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনা আক্রান্ত সন্দেহে গত ২৪ ঘণ্টায় চুয়াডাঙ্গায় বিদেশ ফেরত প্রবাসীর সংখ্যা আরও ২২ জন বেড়েছে। এ নিয়ে মোট ২৩৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে (ঘরবন্দী) রাখা হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার চারটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে তাঁদের নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। এদের মধ্যে ভারত, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, ইতালি, কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে ফিরেছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রবাসীদের মধ্যে রয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৩৫ জন, জীবননগর উপজেলার ৮০ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ৬৯ জন ও দামুড়হুদা উপজেলার ৫১ জন। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন একজন। তা ছাড়া ১৪ দিন অতিবাহিত হওয়ায়, কোনো প্রকার সিনট্রম না পাওয়ায় আরও ৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। এই ৫ জন দিয়ে চুয়াডাঙ্গায় মোট ৩৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের নিকট গত তিন মাসে প্রবাস থেকে ফিরে আসাদের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তালিকাটিতে চুয়াডাঙ্গা জেলার চার উপজেলার ৭ হাজার ৭৯০ জনের নাম আছে। এ তালিকা অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাজ করা হচ্ছে। তাঁদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানান, হোম কোয়ারেন্টাইন মানা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। যারা বিদেশ ফেরত, তাদেরকে কোনোভাবেই সহজভাবে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিদেশ ফেরত সবাইকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন মেনে চলতেই হবে। না মানলে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ অনুযায়ী এবং দণ্ডবিধি অনুযায়ী তাঁদের জেল-জরিমানা উভয় দণ্ড হতে পারে। করোনা সংক্রান্ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবাই সহযোগিতা কামনা করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিয়ম মেনে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন থাকা খুব একটা কষ্টের কাজ নয়। কিন্তু যদি কারো করোনা হয়ে থাকে, আর সেটা যদি ছড়িয়ে যায়, তাহলে অনেক বড় ধরনের সমস্যা হবে। তাই সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব নিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইন পালন করলে এ সমস্যা থেকে বাঁচা যাবে। যদি কেউ কোয়ারেন্টাইন না মানে তাহলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।