ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কথা বলার ইসলামী শিষ্টাচার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮
  • / ৬৯১ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: প্রতিটি কাজে শিষ্টাচার বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। ছোটখাটো বিষয়েও কী করা উচিত এর নির্দেশনা রয়েছে ইসলামে। অন্যের সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রেও ইসলামের আছে কিছু নির্দেশনা। আল্লাহর রেকর্ডে প্রতিটি কথা সংরক্ষিত থাকছে। এজন্য প্রতিটি কথা মেপেজুখে বলার নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কথাকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন আল্লাহর রাসুল (সা.)। এজন্য কথা বলার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত মহৎ ও উপকারী। ভালো কথা বলতে সক্ষম হলে বলুন, না হলে চুপ থাকুন। মন্দ কথা বলার চেয়ে চুপ থাকা অনেক মঙ্গলজনক। সত্যবাদী হওয়ার চেষ্টা করতে হবে; মিথ্যা থেকে বিরত থাকতে হবে। এমনকি মজাচ্ছলে কোনো কথায়ও যেন মিথ্যা না থাকে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা অনেক সময় হাসি-তামাশা করতে গিয়ে অনর্গল মিথ্যা বলে যাই, এটা কখনো উচিত নয়। কথা বলার সময় পরচর্চা ও পরনিন্দা থেকে বেঁচে থাকতে হবে। কারণ এর দ্বারা অন্যের হক নষ্ট করা হয়; যা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ক্ষমা না করলে আল্লাহও ক্ষমা করবেন না। বিশেষ কোনো প্রয়োজন ছাড়া কসম বা আল্লাহর নামে শপথ করা যাবে না। জ্ঞানসীমা ও দক্ষতার নিরিখে কথা বলার চেষ্টা করতে হবে; যে বিষয়ে কোনো জ্ঞান নেই সে বিষয়ে চাপা পেটানো ইসলামে পছন্দনীয় নয়। কোনো বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর কথা বলতে হবে; যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো কথা বলে দেয়া যাবে না। কারণ এতে মিথ্যাবাদী হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। যা বলার স্পষ্ট করে বলতে হবে; অস্পষ্ট কথা শ্রোতাদের বুঝতে কষ্ট হয়। কাউকে কষ্ট দেয়া জায়েজ নয়। কখনো কুতর্কে লিপ্ত হওয়া যাবে না। যে তর্কে কোনো উপকার নেই সেই তর্ক থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়। শ্রোতাদের স্তর বুঝে কথা বলতে হবে; যে কোনো জায়গায় যে কোনো কথা ছেড়ে দেয়া ইসলামের শিষ্টাচার নয়। নিজে শুধু বললে হবে না; অন্যের কথাও শুনতে হবে। অন্যের কথা বলার সময় চুপ করে ধৈর্য সহকারে শুনতে হবে। কেউ কষ্ট পেতে পারে এমন কথা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ অনেক সময় কথার কষ্ট অস্ত্রের আঘাতের চেয়েও বেশি হয়। সর্বোপরি কথা যত কম বলা যায় ততই মঙ্গল। কম কথা বলা মুমিনের অন্যতম গুণ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

কথা বলার ইসলামী শিষ্টাচার

আপলোড টাইম : ১০:২৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮

ধর্ম ডেস্ক: প্রতিটি কাজে শিষ্টাচার বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। ছোটখাটো বিষয়েও কী করা উচিত এর নির্দেশনা রয়েছে ইসলামে। অন্যের সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রেও ইসলামের আছে কিছু নির্দেশনা। আল্লাহর রেকর্ডে প্রতিটি কথা সংরক্ষিত থাকছে। এজন্য প্রতিটি কথা মেপেজুখে বলার নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কথাকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন আল্লাহর রাসুল (সা.)। এজন্য কথা বলার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত মহৎ ও উপকারী। ভালো কথা বলতে সক্ষম হলে বলুন, না হলে চুপ থাকুন। মন্দ কথা বলার চেয়ে চুপ থাকা অনেক মঙ্গলজনক। সত্যবাদী হওয়ার চেষ্টা করতে হবে; মিথ্যা থেকে বিরত থাকতে হবে। এমনকি মজাচ্ছলে কোনো কথায়ও যেন মিথ্যা না থাকে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা অনেক সময় হাসি-তামাশা করতে গিয়ে অনর্গল মিথ্যা বলে যাই, এটা কখনো উচিত নয়। কথা বলার সময় পরচর্চা ও পরনিন্দা থেকে বেঁচে থাকতে হবে। কারণ এর দ্বারা অন্যের হক নষ্ট করা হয়; যা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ক্ষমা না করলে আল্লাহও ক্ষমা করবেন না। বিশেষ কোনো প্রয়োজন ছাড়া কসম বা আল্লাহর নামে শপথ করা যাবে না। জ্ঞানসীমা ও দক্ষতার নিরিখে কথা বলার চেষ্টা করতে হবে; যে বিষয়ে কোনো জ্ঞান নেই সে বিষয়ে চাপা পেটানো ইসলামে পছন্দনীয় নয়। কোনো বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর কথা বলতে হবে; যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো কথা বলে দেয়া যাবে না। কারণ এতে মিথ্যাবাদী হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। যা বলার স্পষ্ট করে বলতে হবে; অস্পষ্ট কথা শ্রোতাদের বুঝতে কষ্ট হয়। কাউকে কষ্ট দেয়া জায়েজ নয়। কখনো কুতর্কে লিপ্ত হওয়া যাবে না। যে তর্কে কোনো উপকার নেই সেই তর্ক থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়। শ্রোতাদের স্তর বুঝে কথা বলতে হবে; যে কোনো জায়গায় যে কোনো কথা ছেড়ে দেয়া ইসলামের শিষ্টাচার নয়। নিজে শুধু বললে হবে না; অন্যের কথাও শুনতে হবে। অন্যের কথা বলার সময় চুপ করে ধৈর্য সহকারে শুনতে হবে। কেউ কষ্ট পেতে পারে এমন কথা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ অনেক সময় কথার কষ্ট অস্ত্রের আঘাতের চেয়েও বেশি হয়। সর্বোপরি কথা যত কম বলা যায় ততই মঙ্গল। কম কথা বলা মুমিনের অন্যতম গুণ।