ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কথা বলার আদব-কায়দা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫৮:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০১৯
  • / ৩০৯ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক:
অন্যের সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রে ইসলাম কিছু বিধিমালা প্রণয়ন করেছে। একজন মুসলিমকে সেই বিধিমালাগুলো মেনে চলা উচিত। কারণ মানুষ যা কিছু বলে এর জন্য তাকে জবাবদিহি করতে হবে। ভালো কথার জন্য সে পুরস্কৃত হবে এবং মন্দ কথার জন্য শাস্তি ভোগ করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘(ক্ষুদ্র) একটি শব্দও সে উচ্চারণ করে না, যা সংরক্ষণ করার জন্য একজন সদা সতর্ক প্রহরী তার পাশে নিয়োজিত থাকে না’ (সূরা ক্বাফ-১৮)। তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ শরিফে বর্ণিত একটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন: ‘একজন ব্যক্তি এমন কোনো কথা বলতে পারে যা আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় এবং সে এই বিষয়ে খুব একটা চিন্তা করে না। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা সেটার গুরুত্ব দেন আর সেই কথার জন্য শেষ বিচারের দিনে তার ওপর সন্তুষ্ট হন আর একজন ব্যক্তি এমন কোনো কথা বলে যে সেটা আল্লাহর কাছে অপছন্দনীয় কিন্তু সে এ বিষয়ে গুরুত্ব দেয় না। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা শেষ বিচারের দিনে তার প্রতি ক্রোধান্বিত হবেন।’ মুমিনের কথা বলার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত মহৎ ও উপকারী। যদি আপনি ভালো কথা বলতে অক্ষম হন, তাহলে আপনার উচিত মৌনতা অবলম্বন করা, কারণ এটা আপনার জন্য মঙ্গলজনক। বুখারি শরিফে বর্ণিত হাদিসে আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ বিচারের দিবসে বিশ্বাস করে, তার উচিত উত্তম কথা বলা অথবা নীরব থাকা।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

কথা বলার আদব-কায়দা

আপলোড টাইম : ১০:৫৮:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০১৯

ধর্ম ডেস্ক:
অন্যের সঙ্গে কথা বলার ক্ষেত্রে ইসলাম কিছু বিধিমালা প্রণয়ন করেছে। একজন মুসলিমকে সেই বিধিমালাগুলো মেনে চলা উচিত। কারণ মানুষ যা কিছু বলে এর জন্য তাকে জবাবদিহি করতে হবে। ভালো কথার জন্য সে পুরস্কৃত হবে এবং মন্দ কথার জন্য শাস্তি ভোগ করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘(ক্ষুদ্র) একটি শব্দও সে উচ্চারণ করে না, যা সংরক্ষণ করার জন্য একজন সদা সতর্ক প্রহরী তার পাশে নিয়োজিত থাকে না’ (সূরা ক্বাফ-১৮)। তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ শরিফে বর্ণিত একটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন: ‘একজন ব্যক্তি এমন কোনো কথা বলতে পারে যা আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় এবং সে এই বিষয়ে খুব একটা চিন্তা করে না। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা সেটার গুরুত্ব দেন আর সেই কথার জন্য শেষ বিচারের দিনে তার ওপর সন্তুষ্ট হন আর একজন ব্যক্তি এমন কোনো কথা বলে যে সেটা আল্লাহর কাছে অপছন্দনীয় কিন্তু সে এ বিষয়ে গুরুত্ব দেয় না। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা শেষ বিচারের দিনে তার প্রতি ক্রোধান্বিত হবেন।’ মুমিনের কথা বলার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত মহৎ ও উপকারী। যদি আপনি ভালো কথা বলতে অক্ষম হন, তাহলে আপনার উচিত মৌনতা অবলম্বন করা, কারণ এটা আপনার জন্য মঙ্গলজনক। বুখারি শরিফে বর্ণিত হাদিসে আছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ বিচারের দিবসে বিশ্বাস করে, তার উচিত উত্তম কথা বলা অথবা নীরব থাকা।’