ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ওমর মেম্বরের সহায়তায় নিমতলা দিয়ে ভারতে পালায় সাইফুলের খুনি মুকুল-শাহীন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৬:০৩:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুলাই ২০১৭
  • / ৩৮৯ বার পড়া হয়েছে

ওমর মেম্বরের সহায়তায় নিমতলা দিয়ে ভারতে পালায় সাইফুলের খুনি মুকুল-শাহীন
পলাতক আসামী নজরুল মল্লিকসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন : মামলা বিচারাধীন
বিশেষ প্রতিবেদক: জোড়াবটতলার ওই স্থান হতে সাইফুলের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ছয়টি গুলির খোসা ও একটি তাজা গুলি আলামত হিসেবে সংগ্রহ করে পুলিশ নিশ্চিত হতে পারে সাইফুল হত্যাকান্ডে খুনিরা অত্যাধুনিক মানসম্পন্ন নাইন এমএম (৯মি.মি) পিস্তল ব্যবহার করেছে। এরপর পুলিশ খুনের কাজে ব্যবহৃত অনটেস্ট মোটরসাইকেলের সন্ধানে নামে। সাইফুলকে খুন করার পর খুনিদের সন্ধান যেন কেউ কোনভাবেই জানতে না পারে বিষয়টি মাথায় রেখে খুনের পরিকল্পনাকারীরা প্রথম থেকেই কৌশল অবলম্বন করে। এমন কী খুনের কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি কেনার সময়ও ভুয়া নাম পরিচয় ব্যবহার করা হয়। যা তদন্তকারী কর্মকর্তারা আদালতকে নিশ্চিত করেন।
এদিকে, সাইফুলকে খুনের দিন একটি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পথচারী মোক্তার হোসেনের বাম হাটুতে লাগে। সাইফুলের হত্যা নিশ্চিত করে খুনি মুকুল ও শাহীন দর্শনা পুরাতন বাজার হয়ে আকন্দবাড়িয়া গ্রামের প্রাক্তন মেম্বর ওমর আলীর বাড়িতে খুনের কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি রেখে তার সহযোগিতায় নিমতলা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যায়। খুনিদের ভারতে পালাতে সহযোগিতা করে প্রাক্তন মেম্বর ওমর আলী। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জন পরবর্তীতে লোক মারফতে আকন্দবাড়িয়া হতে ঢাকা নিয়ে যায়। পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক মোটরসাইকেলটি কেনার সময় ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করলেও এবার জন ঢাকা বিআরটিএ থেকে তার নিজ নামে রেজিস্টেশন করে যার নং- ঢাকা মেট্রো-হ-২৫-৮৭২৩। মোটরসাইকেলের সন্ধান পেতে এখানেই সূত্র রেখে যায় খুনিরা। এরপর প্রায় ৫/৬ মাস মোটরসাইকেলটি বিভিন্ন স্থানে রেখে ২০০৭ সালের ২২ অক্টোবর জন তার প্রতিবেশী ইমরান খানের কাছে নোটারী পাবলিক কার্যালয় কুষ্টিয়া হতে এফিডেভিডের মাধ্যমে ৯৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে।
মামলার ২৬ নং স্বাক্ষী ইমরানের আদালতে দেওয়া জবানবন্দী অনুসারে, জনের কাছ থেকে ৯৫ হাজার টাকায় মোটরসাইকেলটি কিনেছিল ইমরান খান। ফারুকুজ্জামান ওরফে জন ঢাকায় গ্রেফতার হওয়ার পর তার বড় ভাই শামসুজ্জামান ওরফে ডন ও তার চাচাতো ভাই আমিরুল ইসলাম ২০০৮ সালের ৩১ আগস্ট তার দোকানে এসে মোটরসাইকেলটি ফেরত চাইলে সে ফেরত দিতে অস্বীকার করে। তখন ডন ও আমিরুল তাকে ‘মোটরসাইকেল ফেরত না দিলে তোমাদের বিপদ হবে’ সে কথা জানায়। এ কথা শোনার পর ইমরান খান মোটরসাইকেলের দাম ফেরৎ চাইলে ডন তাৎক্ষণিক ৯৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে আমিরুলকে সাথে নিয়ে মোটরসাইকেলটি নিয়ে যায়। এর সমর্থনে কয়েকজন সাক্ষী বিজ্ঞ আদালতে কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দী প্রদান করেন।
মামলা তদন্ত কর্মকর্তা মোটরসাইকেল মালিকের নাম ঠিকানা বিআরটিএ’র মাধ্যমে যাচাই করে জানতে পারেন ঢাকা মেট্রো হ-২৫-৮৭২৩, ইঞ্জিন নং- ০৭এএএসএম২৪-০৫৫, চেসিস নং-০৭ এএডব্লইসি২৩৪৯৫ এর মোটরসাইকেলটির মালিক ঢাকা ১১ডি শান্তিনগরের আহম্মদ আলী মাস্টারের ছেলে মো. ফারুকুজ্জামান ওরফে জনের। আবার মোটরসাইকেলটি ক্রেতার নাম ও তারিখ সংগ্রহে দেখেন এখানে জনৈক মো. বশির আহম্মেদ, পিতা: বিশারত আহম্মেদ, সাং: বারোবাজার, কালিগঞ্জ-ঝিনাইদহ’র নামে মোটরসাইকেলটি ক্রয় দেখানো হয়েছে। এই ঠিকানায় অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে সেখানে বশির আহম্মেদ নামে কোন লোক নেই।
এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তার সন্দেহ হলে তিনি ১১/ডি শান্তিনগরে যান। সেখানে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় কুষ্টিয়া মিরপুর থানার ফারুকুজ্জামান ওরফে জন ওই বাসার ভাড়াটিয়া ছিল। জন মার্চের ০৮ তারিখে র‌্যাব-১, ঢাকার হাতে স্বর্ণসহ আটক হওয়ার পর এই বাসায় তারা থাকেনা।
এই মামলার সার্বিক তদন্ত ও সংগৃহীত সাক্ষ্য প্রমাণ এবং আসামী পরিতোষ চক্রবর্তীর কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী পর্যালোচনায় আসামী মো. আমিনুর রহমান ওরফে আমিনুল ইসলাম ওরফে মুকুল, মো. শাহীন রুমী, পরিতোষ চক্রবর্তী (মৃত), ফারুকুজ্জামান ওরফে জন, আব্দুল মান্নান, সাঈদ হোসেন, মো. আলমগীর হোসেন ওরফে আলম, মো. মজিবুল আলম ওরফে বকুল, মো. ইউসুফ আলী ওরফে তেলা ইউসুফ, মো. ওমর আলী এবং পলাতক আসামী মো. আনোয়ারুল আজিম ওরফে আনার কমিশনার, নজরুল ইসলাম ওরফে নজু (নজরুল মল্লিক), বাংলা, শেখ আসলাম আলী ওরফে তোতা, মো. সন্টু, মো. শহিদুল ইসলাম, নাজিব বিশ্বাস ওরফে রেজার বিরুদ্ধে খুনের পরিকল্পনা ও খুন করার কাজে সহযোগিতা করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দন্ডবিধি ৩০২/৩৪ ধারায় এবং আসামী মো. শামসুজ্জামান ওরফে ডন ও মো. আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দন্ডবিধি ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় এবং সকল আসামীর বিরুদ্ধে দ:বি: আইনের ৩০২/৩২৬/২০১/৩৪ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দামুড়হুদা থানার ১৬০নং অভিযোগপত্রটি ২০০৮ সালের ১৪ অক্টোবর বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করেন। অভিযুক্ত আসামীদের মধ্যে রাজনৈতিক বিবেচনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২২/০৪/২০১২ ইং তারিখের সুপারিশপত্র যার স্মারক নং-৫৫৬ এর প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত ২০১২ সালের ২৯ আগস্ট পরিতোষ চক্রবর্তী (মৃত), ফারুকুজ্জামান ওরফে জন, মো. আনোয়ারুল আজিম আনার কমিশনার, মো. শহিদুল ইসলাম ও মো. শাসুজ্জামান ওরফে ডনকে অব্যহতি দেওয়ায় এই ৫জনকে বাদ দিয়ে বাকী ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন শেষে মামলাটি বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ-২ এ বিচারাধীন রয়েছে। (চলবে……..)

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ওমর মেম্বরের সহায়তায় নিমতলা দিয়ে ভারতে পালায় সাইফুলের খুনি মুকুল-শাহীন

আপলোড টাইম : ০৬:০৩:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুলাই ২০১৭

ওমর মেম্বরের সহায়তায় নিমতলা দিয়ে ভারতে পালায় সাইফুলের খুনি মুকুল-শাহীন
পলাতক আসামী নজরুল মল্লিকসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন : মামলা বিচারাধীন
বিশেষ প্রতিবেদক: জোড়াবটতলার ওই স্থান হতে সাইফুলের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ছয়টি গুলির খোসা ও একটি তাজা গুলি আলামত হিসেবে সংগ্রহ করে পুলিশ নিশ্চিত হতে পারে সাইফুল হত্যাকান্ডে খুনিরা অত্যাধুনিক মানসম্পন্ন নাইন এমএম (৯মি.মি) পিস্তল ব্যবহার করেছে। এরপর পুলিশ খুনের কাজে ব্যবহৃত অনটেস্ট মোটরসাইকেলের সন্ধানে নামে। সাইফুলকে খুন করার পর খুনিদের সন্ধান যেন কেউ কোনভাবেই জানতে না পারে বিষয়টি মাথায় রেখে খুনের পরিকল্পনাকারীরা প্রথম থেকেই কৌশল অবলম্বন করে। এমন কী খুনের কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি কেনার সময়ও ভুয়া নাম পরিচয় ব্যবহার করা হয়। যা তদন্তকারী কর্মকর্তারা আদালতকে নিশ্চিত করেন।
এদিকে, সাইফুলকে খুনের দিন একটি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পথচারী মোক্তার হোসেনের বাম হাটুতে লাগে। সাইফুলের হত্যা নিশ্চিত করে খুনি মুকুল ও শাহীন দর্শনা পুরাতন বাজার হয়ে আকন্দবাড়িয়া গ্রামের প্রাক্তন মেম্বর ওমর আলীর বাড়িতে খুনের কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি রেখে তার সহযোগিতায় নিমতলা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যায়। খুনিদের ভারতে পালাতে সহযোগিতা করে প্রাক্তন মেম্বর ওমর আলী। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জন পরবর্তীতে লোক মারফতে আকন্দবাড়িয়া হতে ঢাকা নিয়ে যায়। পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক মোটরসাইকেলটি কেনার সময় ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করলেও এবার জন ঢাকা বিআরটিএ থেকে তার নিজ নামে রেজিস্টেশন করে যার নং- ঢাকা মেট্রো-হ-২৫-৮৭২৩। মোটরসাইকেলের সন্ধান পেতে এখানেই সূত্র রেখে যায় খুনিরা। এরপর প্রায় ৫/৬ মাস মোটরসাইকেলটি বিভিন্ন স্থানে রেখে ২০০৭ সালের ২২ অক্টোবর জন তার প্রতিবেশী ইমরান খানের কাছে নোটারী পাবলিক কার্যালয় কুষ্টিয়া হতে এফিডেভিডের মাধ্যমে ৯৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে।
মামলার ২৬ নং স্বাক্ষী ইমরানের আদালতে দেওয়া জবানবন্দী অনুসারে, জনের কাছ থেকে ৯৫ হাজার টাকায় মোটরসাইকেলটি কিনেছিল ইমরান খান। ফারুকুজ্জামান ওরফে জন ঢাকায় গ্রেফতার হওয়ার পর তার বড় ভাই শামসুজ্জামান ওরফে ডন ও তার চাচাতো ভাই আমিরুল ইসলাম ২০০৮ সালের ৩১ আগস্ট তার দোকানে এসে মোটরসাইকেলটি ফেরত চাইলে সে ফেরত দিতে অস্বীকার করে। তখন ডন ও আমিরুল তাকে ‘মোটরসাইকেল ফেরত না দিলে তোমাদের বিপদ হবে’ সে কথা জানায়। এ কথা শোনার পর ইমরান খান মোটরসাইকেলের দাম ফেরৎ চাইলে ডন তাৎক্ষণিক ৯৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে আমিরুলকে সাথে নিয়ে মোটরসাইকেলটি নিয়ে যায়। এর সমর্থনে কয়েকজন সাক্ষী বিজ্ঞ আদালতে কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দী প্রদান করেন।
মামলা তদন্ত কর্মকর্তা মোটরসাইকেল মালিকের নাম ঠিকানা বিআরটিএ’র মাধ্যমে যাচাই করে জানতে পারেন ঢাকা মেট্রো হ-২৫-৮৭২৩, ইঞ্জিন নং- ০৭এএএসএম২৪-০৫৫, চেসিস নং-০৭ এএডব্লইসি২৩৪৯৫ এর মোটরসাইকেলটির মালিক ঢাকা ১১ডি শান্তিনগরের আহম্মদ আলী মাস্টারের ছেলে মো. ফারুকুজ্জামান ওরফে জনের। আবার মোটরসাইকেলটি ক্রেতার নাম ও তারিখ সংগ্রহে দেখেন এখানে জনৈক মো. বশির আহম্মেদ, পিতা: বিশারত আহম্মেদ, সাং: বারোবাজার, কালিগঞ্জ-ঝিনাইদহ’র নামে মোটরসাইকেলটি ক্রয় দেখানো হয়েছে। এই ঠিকানায় অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে সেখানে বশির আহম্মেদ নামে কোন লোক নেই।
এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তার সন্দেহ হলে তিনি ১১/ডি শান্তিনগরে যান। সেখানে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় কুষ্টিয়া মিরপুর থানার ফারুকুজ্জামান ওরফে জন ওই বাসার ভাড়াটিয়া ছিল। জন মার্চের ০৮ তারিখে র‌্যাব-১, ঢাকার হাতে স্বর্ণসহ আটক হওয়ার পর এই বাসায় তারা থাকেনা।
এই মামলার সার্বিক তদন্ত ও সংগৃহীত সাক্ষ্য প্রমাণ এবং আসামী পরিতোষ চক্রবর্তীর কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী পর্যালোচনায় আসামী মো. আমিনুর রহমান ওরফে আমিনুল ইসলাম ওরফে মুকুল, মো. শাহীন রুমী, পরিতোষ চক্রবর্তী (মৃত), ফারুকুজ্জামান ওরফে জন, আব্দুল মান্নান, সাঈদ হোসেন, মো. আলমগীর হোসেন ওরফে আলম, মো. মজিবুল আলম ওরফে বকুল, মো. ইউসুফ আলী ওরফে তেলা ইউসুফ, মো. ওমর আলী এবং পলাতক আসামী মো. আনোয়ারুল আজিম ওরফে আনার কমিশনার, নজরুল ইসলাম ওরফে নজু (নজরুল মল্লিক), বাংলা, শেখ আসলাম আলী ওরফে তোতা, মো. সন্টু, মো. শহিদুল ইসলাম, নাজিব বিশ্বাস ওরফে রেজার বিরুদ্ধে খুনের পরিকল্পনা ও খুন করার কাজে সহযোগিতা করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দন্ডবিধি ৩০২/৩৪ ধারায় এবং আসামী মো. শামসুজ্জামান ওরফে ডন ও মো. আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দন্ডবিধি ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় এবং সকল আসামীর বিরুদ্ধে দ:বি: আইনের ৩০২/৩২৬/২০১/৩৪ ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দামুড়হুদা থানার ১৬০নং অভিযোগপত্রটি ২০০৮ সালের ১৪ অক্টোবর বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করেন। অভিযুক্ত আসামীদের মধ্যে রাজনৈতিক বিবেচনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২২/০৪/২০১২ ইং তারিখের সুপারিশপত্র যার স্মারক নং-৫৫৬ এর প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত ২০১২ সালের ২৯ আগস্ট পরিতোষ চক্রবর্তী (মৃত), ফারুকুজ্জামান ওরফে জন, মো. আনোয়ারুল আজিম আনার কমিশনার, মো. শহিদুল ইসলাম ও মো. শাসুজ্জামান ওরফে ডনকে অব্যহতি দেওয়ায় এই ৫জনকে বাদ দিয়ে বাকী ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন শেষে মামলাটি বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ-২ এ বিচারাধীন রয়েছে। (চলবে……..)