ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এ্যাপারেলকে হারিয়ে আপনদের দারূণ জয়

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৬:৪৬:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০১৯
  • / ৩৯৩ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় স্বাধীনতা দিবস ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট
এসএম শাফায়েত:
‘সময় এখন তারুণ্যের, স্বাধীনতার জয় উল্লাসের’ স্লোগানে মুখর একদল যুবক খেলতে নেমেছিল চুয়াডাঙ্গা জাফরপুরের নতুন স্টেডিয়াম মাঠে। গতকাল শুক্রবার বিকালে সৌহার্দ্যপূর্ণ ‘স্বাধীনতা দিবস ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’র একমাত্র ম্যাচে অংশ নেয় আপন খেলাঘর একাদশ ও এ্যাপারেল ফ্যাশন একাদশ। দল দুইটি হলেও এটি ছিল তাদের বন্ধু সম্মিলন। শেষ পর্যন্ত এ্যাপারেলকে ৪২ রানে হারিয়ে দারূণ জয় উপভোগ করে আপন খেলাঘর একাদশ।
পড়ন্ত বিকালের সবুজ ঘাসে বল ছোড়া ও মাঠ রক্ষার সুযোগটা প্রথম পায় এ্যাপারেলের বোলাররা। তবে শেষ রক্ষা করতে পারেননি তারা। বীপরিতে আপন খেলাঘরের ব্যাটিং স্কোয়াডের লিপু ও শাকিল ওপেনিং করতে নামে। তবে তাদের জু’টি টিকতে পারেনি প্রতিপক্ষের শফিকুল-আবিরের কাছে। ক্যাচ আউটে রান শুন্য শাকিল প্রথম ওভারেই মাঠের বাইরে, কিছু সময় পর মাত্র ১৭ রান নিয়ে লিপুকেও মাঠ ছাড়তে হয়। এরপর রানের দাপট দেখায় অপু (৩৩), জনি (৩২) ও ইমরান অপরাজিত (৬২) । এ ছাড়া রাজু ২ রান নিলেও একেবারেই রানের খাতা খুলতে পারেনি চঞ্চল। দলের উইকেট শিকারী আকিদুল ও জনি ৩টি করে এবং আমান ২টি ও পারভেজ ১টি করে উইকেট পায়। ১৬ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে এ্যাপারেলকে ১৭৭ রানের টার্গেট ছুড়ে দেয় তারা। জবাবে খেলতে নেমে ১৩ ওভারে ১৩৫ রান করে পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় এ্যাপারেল ফ্যাশন একাদশকে। তাদের শুরুটা ভালো না হওয়ায় আবিরের ১১ রান, সুমিতের ৫ রান, শফিকুলের ১ রান ও রহমানের রান শুন্যে ইনিংস গড়ায় কিছুক্ষণ। উইকেট বিপর্যয়ের হাল ধরে রনি, তবে সেও শেষ পর্যন্ত টিকতে না পেরে ৫৬ রান নিয়ে মাঠ ছাড়ে। আবারও শুরু হয় উইকেট বিপর্যয়। শুন্য রানে সেলিম প্যাভেলিয়নে ফিরলে খেলতে নামে হুসাইন মালিক। আকিদুলের প্রথম বলে সীমানা ছুয়ে ৪ রান নিয়ে পরের বলে ধরাশায়ী হয়ে তাকেও মাঠ ছাড়তে হয়। এরপর রানার ব্যাট থেকে ১৭ রান ও রিপনের ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান। রানের খাতা খুলতে পারেনি বাপন ও রাজুরাও। ফলে ৪২ রানে জয় পায় শক্তিশালী প্রতিপক্ষ আপন খেলাঘর একাদশ। ম্যাচ সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করে ইমরান। খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দলের হাতে ট্রফি তুলে দেয়া হয়। খেলা পরিচালনা করেন অ্যাম্পিয়ার অভি ও অর্পণ। পরে এক প্রীতি ভোজের মধ্যদিয়ে শেষ হয় সমগ্র আয়োজন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

এ্যাপারেলকে হারিয়ে আপনদের দারূণ জয়

আপলোড টাইম : ০৬:৪৬:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০১৯

চুয়াডাঙ্গায় স্বাধীনতা দিবস ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট
এসএম শাফায়েত:
‘সময় এখন তারুণ্যের, স্বাধীনতার জয় উল্লাসের’ স্লোগানে মুখর একদল যুবক খেলতে নেমেছিল চুয়াডাঙ্গা জাফরপুরের নতুন স্টেডিয়াম মাঠে। গতকাল শুক্রবার বিকালে সৌহার্দ্যপূর্ণ ‘স্বাধীনতা দিবস ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’র একমাত্র ম্যাচে অংশ নেয় আপন খেলাঘর একাদশ ও এ্যাপারেল ফ্যাশন একাদশ। দল দুইটি হলেও এটি ছিল তাদের বন্ধু সম্মিলন। শেষ পর্যন্ত এ্যাপারেলকে ৪২ রানে হারিয়ে দারূণ জয় উপভোগ করে আপন খেলাঘর একাদশ।
পড়ন্ত বিকালের সবুজ ঘাসে বল ছোড়া ও মাঠ রক্ষার সুযোগটা প্রথম পায় এ্যাপারেলের বোলাররা। তবে শেষ রক্ষা করতে পারেননি তারা। বীপরিতে আপন খেলাঘরের ব্যাটিং স্কোয়াডের লিপু ও শাকিল ওপেনিং করতে নামে। তবে তাদের জু’টি টিকতে পারেনি প্রতিপক্ষের শফিকুল-আবিরের কাছে। ক্যাচ আউটে রান শুন্য শাকিল প্রথম ওভারেই মাঠের বাইরে, কিছু সময় পর মাত্র ১৭ রান নিয়ে লিপুকেও মাঠ ছাড়তে হয়। এরপর রানের দাপট দেখায় অপু (৩৩), জনি (৩২) ও ইমরান অপরাজিত (৬২) । এ ছাড়া রাজু ২ রান নিলেও একেবারেই রানের খাতা খুলতে পারেনি চঞ্চল। দলের উইকেট শিকারী আকিদুল ও জনি ৩টি করে এবং আমান ২টি ও পারভেজ ১টি করে উইকেট পায়। ১৬ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে এ্যাপারেলকে ১৭৭ রানের টার্গেট ছুড়ে দেয় তারা। জবাবে খেলতে নেমে ১৩ ওভারে ১৩৫ রান করে পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় এ্যাপারেল ফ্যাশন একাদশকে। তাদের শুরুটা ভালো না হওয়ায় আবিরের ১১ রান, সুমিতের ৫ রান, শফিকুলের ১ রান ও রহমানের রান শুন্যে ইনিংস গড়ায় কিছুক্ষণ। উইকেট বিপর্যয়ের হাল ধরে রনি, তবে সেও শেষ পর্যন্ত টিকতে না পেরে ৫৬ রান নিয়ে মাঠ ছাড়ে। আবারও শুরু হয় উইকেট বিপর্যয়। শুন্য রানে সেলিম প্যাভেলিয়নে ফিরলে খেলতে নামে হুসাইন মালিক। আকিদুলের প্রথম বলে সীমানা ছুয়ে ৪ রান নিয়ে পরের বলে ধরাশায়ী হয়ে তাকেও মাঠ ছাড়তে হয়। এরপর রানার ব্যাট থেকে ১৭ রান ও রিপনের ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান। রানের খাতা খুলতে পারেনি বাপন ও রাজুরাও। ফলে ৪২ রানে জয় পায় শক্তিশালী প্রতিপক্ষ আপন খেলাঘর একাদশ। ম্যাচ সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করে ইমরান। খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দলের হাতে ট্রফি তুলে দেয়া হয়। খেলা পরিচালনা করেন অ্যাম্পিয়ার অভি ও অর্পণ। পরে এক প্রীতি ভোজের মধ্যদিয়ে শেষ হয় সমগ্র আয়োজন।