ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এস কে সিনহার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২০
  • / ১৮৯ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
জালিয়াতি করে ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকার ঋণ নিয়ে আত্মসাত ও পাচারের মামলায় বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। দুদকের দেয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে গতকাল রোববার ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন। তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা কার্যকরের বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে ২২ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছে আদালত। বিচারপতি এস কে সিনহা বাদে মামলার অপর আসামিরা হলেন ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী, সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, একই এলাকার নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়। এস কে সিনহা দুই বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। আসামিদের মধ্যে কেবল বাবুল চিশতী অন্য মামলায় কারাগারে আছেন। ঋণ জালিয়াতির এই মামলায় এখনও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি বলে আদালত রীতি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছে। দুদক কর্মকর্তা বেনজির আহমেদ গত ৯ ডিসেম্বর এই ১১ জনকে আসামি করে ঋণ জালিয়াতির এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ফারমার্স ব্যাংকে ভুয়া ঋণ সৃষ্টি করে সেই টাকা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর, উত্তোলন ও পাচার করেছেন, যা দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২)(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

এস কে সিনহার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আপলোড টাইম : ১০:২৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২০

সমীকরণ প্রতিবেদন:
জালিয়াতি করে ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকার ঋণ নিয়ে আত্মসাত ও পাচারের মামলায় বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। দুদকের দেয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে গতকাল রোববার ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন। তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা কার্যকরের বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে ২২ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছে আদালত। বিচারপতি এস কে সিনহা বাদে মামলার অপর আসামিরা হলেন ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী, সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, একই এলাকার নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়। এস কে সিনহা দুই বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। আসামিদের মধ্যে কেবল বাবুল চিশতী অন্য মামলায় কারাগারে আছেন। ঋণ জালিয়াতির এই মামলায় এখনও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি বলে আদালত রীতি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছে। দুদক কর্মকর্তা বেনজির আহমেদ গত ৯ ডিসেম্বর এই ১১ জনকে আসামি করে ঋণ জালিয়াতির এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ফারমার্স ব্যাংকে ভুয়া ঋণ সৃষ্টি করে সেই টাকা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর, উত্তোলন ও পাচার করেছেন, যা দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২)(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।