ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষাতেও থাকছে না উপকেন্দ্র

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ মে ২০১৮
  • / ৩১০ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ ডেস্ক: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষাতেও উপকেন্দ্র থাকছে না। শুধু মূল কেন্দ্রেই পরীক্ষা নেওয়া হবে। রাজধানীতে গত এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় উপকেন্দ্রে অব্যবস্থা ও অনিয়মের কারণে প্রশ্নপত্র ফাঁসের আশঙ্কা সৃষ্টি হওয়ায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আগামী নভেম্বরে শুরু হতে যাওয়া জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় উপকেন্দ্র না রাখার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঝুঁকি এড়াতে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় উপকেন্দ্র বাদ দেওয়া হয়েছে আগে থেকেই। আর সারাদেশের সব শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত ২০১৯ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় মূল কেন্দ্রের বাইরে কোনও উপকেন্দ্র না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভাড়া করা ভবনে পরীক্ষা নীতিমালা না মেনেই রাজধানীর ট্রাস্ট কলেজে প্রশ্নফাঁসের ঝুঁকির মধ্যেই এবার পরীক্ষা নেওয়া হয়। এই অভিযোগের পর ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক নিজে ট্রাস্ট কলেজসহ উত্তরার আরও একটি কলেজ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের পর অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক জানিয়েছিলেন, পরীক্ষার্থীদের অ্যাকোমোডেশন করতে না পারায় অব্যবস্থার মধ্য দিয়েই পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে ট্রাস্ট কলেজ ও উত্তরার একটি কলেজে। উপায় না থাকায় ভাড়া করা ভবনে পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে ভবিষ্যতে এরকম অবস্থা যাতে সৃষ্টি না হয় সে ব্যবস্থা নেবো। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী নভেম্বরের জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা নিয়ে গত মঙ্গলবার (৮মে) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা শিক্ষাবোর্ডে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপ-কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় কোনও উপকেন্দ্র না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি ২০১৯ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় উপকেন্দ্র না রাখার সুপারিশ করা হয় বৈঠকে। বৈঠকের পর আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘আমরা মূল কেন্দ্রের বাইরে কোনও উপকেন্দ্র রাখবো না। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র থাকলে তা বাদ দেবো। প্রয়োজনে কেন্দ্র কমিয়ে আনার চেষ্টা করবো।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষাতেও থাকছে না উপকেন্দ্র

আপলোড টাইম : ১১:০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ মে ২০১৮

সমীকরণ ডেস্ক: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষাতেও উপকেন্দ্র থাকছে না। শুধু মূল কেন্দ্রেই পরীক্ষা নেওয়া হবে। রাজধানীতে গত এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় উপকেন্দ্রে অব্যবস্থা ও অনিয়মের কারণে প্রশ্নপত্র ফাঁসের আশঙ্কা সৃষ্টি হওয়ায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আগামী নভেম্বরে শুরু হতে যাওয়া জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় উপকেন্দ্র না রাখার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঝুঁকি এড়াতে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় উপকেন্দ্র বাদ দেওয়া হয়েছে আগে থেকেই। আর সারাদেশের সব শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত ২০১৯ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় মূল কেন্দ্রের বাইরে কোনও উপকেন্দ্র না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভাড়া করা ভবনে পরীক্ষা নীতিমালা না মেনেই রাজধানীর ট্রাস্ট কলেজে প্রশ্নফাঁসের ঝুঁকির মধ্যেই এবার পরীক্ষা নেওয়া হয়। এই অভিযোগের পর ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক নিজে ট্রাস্ট কলেজসহ উত্তরার আরও একটি কলেজ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের পর অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক জানিয়েছিলেন, পরীক্ষার্থীদের অ্যাকোমোডেশন করতে না পারায় অব্যবস্থার মধ্য দিয়েই পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে ট্রাস্ট কলেজ ও উত্তরার একটি কলেজে। উপায় না থাকায় ভাড়া করা ভবনে পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে ভবিষ্যতে এরকম অবস্থা যাতে সৃষ্টি না হয় সে ব্যবস্থা নেবো। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী নভেম্বরের জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা নিয়ে গত মঙ্গলবার (৮মে) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা শিক্ষাবোর্ডে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপ-কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় কোনও উপকেন্দ্র না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি ২০১৯ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় উপকেন্দ্র না রাখার সুপারিশ করা হয় বৈঠকে। বৈঠকের পর আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘আমরা মূল কেন্দ্রের বাইরে কোনও উপকেন্দ্র রাখবো না। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র থাকলে তা বাদ দেবো। প্রয়োজনে কেন্দ্র কমিয়ে আনার চেষ্টা করবো।