ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এলাকাবাসির মধ্যে চাপা উত্তেজনা : রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মার্চ ২০১৮
  • / ৫০৪ বার পড়া হয়েছে

দামুড়হুদার হাতিভাঙ্গায় মাদরাসার ভিত্তিপ্রস্থর অনুষ্ঠানে না যাওয়ায় মারধরের হুমকি
দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার হাতিভাঙ্গা গ্রামবাসির ইচ্ছার বিরুদ্ধে ব্যক্তিনামে মাদরাসা প্রতিষ্ঠার পর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনের দিন অধিকাংশ গ্রামবাসি উপস্থিত না হওয়ায় তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছে ব্যক্তিনামে মাদরাসা প্রতিষ্ঠার পক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় নিরীহ গ্রামবাসিকে মারধরের হুমকি-ধামকি অব্যহত রেখেছে প্রভাবশালী ওই মহল। জোরপূর্বক বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে আজাদ আলীর বাড়ির রাস্তা। নিরুপায় হয়ে ওই প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী আজাদ আলী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ নিয়ে গ্রামে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসি। ভুক্তভোগি হাতিভাঙ্গা গ্রামের আজাদ আলী জানান, বিগত ৬/৭ মাস আগে হাতিভাঙ্গা গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে শরীফ তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে নিজ গ্রামে শরীফ উদ্দীন আদর্শ মাদরাসা নামকরণ করে একটি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। মাস দুয়েক আগে ওই মাদরাসায় ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ওয়াজ মাহফিলে বেশকিছু টাকা পয়সাও কালেকশন হয়। কিন্ত শরীফ ওই টাকা পয়সার কোন হিসাব কাউকে না দিয়ে নিজের ইচ্ছা মাফিক খরচ করে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২২ মার্চ ওই মাদরাসার ভিত্তিপ্রস্থর উদ্বোধনের আয়োজন করে শরীফ উদ্দীন। প্রায় এক হাজার লোকের দাওয়াত দেয়া হয়। কিন্ত ওই দাওয়াতে সাড়া দেয়নি অধিকাংশ গ্রামবাসি। ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে শরীফ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। ওই দিনের পর থেকে গ্রামের নিরীহ লোকজনকে মারধরসহ নানাভাবে হুমকি-ধামকির একপর্যায়ে গতকাল শনিবার আজাদ আলীর বাড়ির রাস্তা জোরপূর্বক বেড়া দিয়ে ঘিরে নেয় শরীফ তার সাঙ্গপাঙ্গরা। অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন আজাদ আলী।
এ ঘটনায় তিনি গতকালই দামুড়হুদা মডেল থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি আরও বলেন, শরীফ নিজেই সভাপতি এবং নিজেই ক্যাশিয়ার। নিজের নামে মাদরাসা করে নিজেই সভাপতি হয়ে টাকা পয়সা লুটপাটের ধান্দা-ফিকির শুরু করেছে। গ্রামের লোকজন মেনে না নেয়ায় নিরীহ লোকজনকে মারধরের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। ইউপি সদস্য ইব্রাহিম হোসেন জানান, গ্রামের ৯০ ভাগ লোক একদিকে আর শরীফের পক্ষে হাতেগোনা মাত্র কয়েকজন। গ্রামবাসির দাবী মাদরাসাটির নাম পরিবর্তন করে হাতিভাঙ্গা কওমী মাদরাসা নামকরণ করা হোক এবং কওমী মাদরাসার নামেই জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে হবে। তবেই গ্রামের সকলেই সহযোগিতা করবে। এ ছাড়া মাস দুয়েক আগে ওই মাদরাসায় ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ওয়াজ মাহফিলে মোটা অঙ্কের টাকা কালেকশন হলেও তার কোন হিসাব দেয়নি শরীফ। ফলে ভিত্তিপ্রস্থর অনুষ্ঠানে অধিকাংশ গ্রামবাসি হাজির হয়নি। গ্রামবাসি উপস্থিত না হওয়ায় শরীফ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা গ্রামের নিরীহ লোকজনকে মারধরের হুমকি-ধামকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসির মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগি এলাকাবাসি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

এলাকাবাসির মধ্যে চাপা উত্তেজনা : রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা

আপলোড টাইম : ০৯:৫৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মার্চ ২০১৮

দামুড়হুদার হাতিভাঙ্গায় মাদরাসার ভিত্তিপ্রস্থর অনুষ্ঠানে না যাওয়ায় মারধরের হুমকি
দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার হাতিভাঙ্গা গ্রামবাসির ইচ্ছার বিরুদ্ধে ব্যক্তিনামে মাদরাসা প্রতিষ্ঠার পর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনের দিন অধিকাংশ গ্রামবাসি উপস্থিত না হওয়ায় তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছে ব্যক্তিনামে মাদরাসা প্রতিষ্ঠার পক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় নিরীহ গ্রামবাসিকে মারধরের হুমকি-ধামকি অব্যহত রেখেছে প্রভাবশালী ওই মহল। জোরপূর্বক বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে আজাদ আলীর বাড়ির রাস্তা। নিরুপায় হয়ে ওই প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী আজাদ আলী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ নিয়ে গ্রামে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসি। ভুক্তভোগি হাতিভাঙ্গা গ্রামের আজাদ আলী জানান, বিগত ৬/৭ মাস আগে হাতিভাঙ্গা গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে শরীফ তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে নিজ গ্রামে শরীফ উদ্দীন আদর্শ মাদরাসা নামকরণ করে একটি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন। মাস দুয়েক আগে ওই মাদরাসায় ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ওয়াজ মাহফিলে বেশকিছু টাকা পয়সাও কালেকশন হয়। কিন্ত শরীফ ওই টাকা পয়সার কোন হিসাব কাউকে না দিয়ে নিজের ইচ্ছা মাফিক খরচ করে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২২ মার্চ ওই মাদরাসার ভিত্তিপ্রস্থর উদ্বোধনের আয়োজন করে শরীফ উদ্দীন। প্রায় এক হাজার লোকের দাওয়াত দেয়া হয়। কিন্ত ওই দাওয়াতে সাড়া দেয়নি অধিকাংশ গ্রামবাসি। ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে শরীফ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। ওই দিনের পর থেকে গ্রামের নিরীহ লোকজনকে মারধরসহ নানাভাবে হুমকি-ধামকির একপর্যায়ে গতকাল শনিবার আজাদ আলীর বাড়ির রাস্তা জোরপূর্বক বেড়া দিয়ে ঘিরে নেয় শরীফ তার সাঙ্গপাঙ্গরা। অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন আজাদ আলী।
এ ঘটনায় তিনি গতকালই দামুড়হুদা মডেল থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি আরও বলেন, শরীফ নিজেই সভাপতি এবং নিজেই ক্যাশিয়ার। নিজের নামে মাদরাসা করে নিজেই সভাপতি হয়ে টাকা পয়সা লুটপাটের ধান্দা-ফিকির শুরু করেছে। গ্রামের লোকজন মেনে না নেয়ায় নিরীহ লোকজনকে মারধরের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। ইউপি সদস্য ইব্রাহিম হোসেন জানান, গ্রামের ৯০ ভাগ লোক একদিকে আর শরীফের পক্ষে হাতেগোনা মাত্র কয়েকজন। গ্রামবাসির দাবী মাদরাসাটির নাম পরিবর্তন করে হাতিভাঙ্গা কওমী মাদরাসা নামকরণ করা হোক এবং কওমী মাদরাসার নামেই জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে হবে। তবেই গ্রামের সকলেই সহযোগিতা করবে। এ ছাড়া মাস দুয়েক আগে ওই মাদরাসায় ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ওয়াজ মাহফিলে মোটা অঙ্কের টাকা কালেকশন হলেও তার কোন হিসাব দেয়নি শরীফ। ফলে ভিত্তিপ্রস্থর অনুষ্ঠানে অধিকাংশ গ্রামবাসি হাজির হয়নি। গ্রামবাসি উপস্থিত না হওয়ায় শরীফ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা গ্রামের নিরীহ লোকজনকে মারধরের হুমকি-ধামকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসির মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগি এলাকাবাসি।