ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এনজিওর খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছেন অনেকেই!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:২৬:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১২৬ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গায় বিষপানের দুদিন পর দুই সন্তানের জনকের মৃত্যু
সমীকরণ প্রতিবেদক:
আলমডাঙ্গায় ঋণের জালে জড়িয়ে দুই সন্তানের জনকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে খুলনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তি আলমডাঙ্গা উপজেলা বটিয়াপাড়া গ্রামের সারোয়ার মোল্লার ছেলে ও দুই সন্তানের জনক শামিম আশা (৩০)। গতকালই ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে জানাজা শেষে তাঁর দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন, ব্র্যাক, সিও, সিএস ও আত্মবিশ্বাস এনজিও থেকে অনেক টাকা ঋণ গ্রহণ করেন শামিম আশা। আয়ের সমস্ত টাকা প্রতি সপ্তাহে ঋণের কিস্তি দিতেই শেষ হয়ে যায়। ঋণের জালে জড়িয়ে দিন কাটে খেয়ে না খেয়ে। দিশেহারা হয়ে হতাশায় ভেঙে পড়েন তিনি। একপর্যায়ে গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে নিজ বাড়িতে ঘাসমারা বিষপান করেন। এসময় পরিবারের সদস্যরা তাঁকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে খুলনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে রেফার্ড করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে শামিমের মৃত্যু হয়। সেখানে তাঁর ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারে কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে, শামিমের লাশ গ্রামে পৌঁছালে গ্রামের লোকজন উত্তেজিত হয়ে গ্রামে এনজিও কর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানায়। একাধিক এনজিওর খপ্পরে পড়ে অনেকেই সর্বশান্ত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। এ বিষয়ে খাদিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাহিদুর রহমান জোয়ার্দ্দার লোটাস বলেন, ঋণের জালে জড়িয়ে কেউ যেন আত্মহত্যা না করে। সে জন্য এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে সকল এনজিও কর্মীদের এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

এনজিওর খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছেন অনেকেই!

আপলোড টাইম : ১১:২৬:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২০

আলমডাঙ্গায় বিষপানের দুদিন পর দুই সন্তানের জনকের মৃত্যু
সমীকরণ প্রতিবেদক:
আলমডাঙ্গায় ঋণের জালে জড়িয়ে দুই সন্তানের জনকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে খুলনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তি আলমডাঙ্গা উপজেলা বটিয়াপাড়া গ্রামের সারোয়ার মোল্লার ছেলে ও দুই সন্তানের জনক শামিম আশা (৩০)। গতকালই ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে জানাজা শেষে তাঁর দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন, ব্র্যাক, সিও, সিএস ও আত্মবিশ্বাস এনজিও থেকে অনেক টাকা ঋণ গ্রহণ করেন শামিম আশা। আয়ের সমস্ত টাকা প্রতি সপ্তাহে ঋণের কিস্তি দিতেই শেষ হয়ে যায়। ঋণের জালে জড়িয়ে দিন কাটে খেয়ে না খেয়ে। দিশেহারা হয়ে হতাশায় ভেঙে পড়েন তিনি। একপর্যায়ে গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে নিজ বাড়িতে ঘাসমারা বিষপান করেন। এসময় পরিবারের সদস্যরা তাঁকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে খুলনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে রেফার্ড করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে শামিমের মৃত্যু হয়। সেখানে তাঁর ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারে কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে, শামিমের লাশ গ্রামে পৌঁছালে গ্রামের লোকজন উত্তেজিত হয়ে গ্রামে এনজিও কর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানায়। একাধিক এনজিওর খপ্পরে পড়ে অনেকেই সর্বশান্ত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। এ বিষয়ে খাদিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাহিদুর রহমান জোয়ার্দ্দার লোটাস বলেন, ঋণের জালে জড়িয়ে কেউ যেন আত্মহত্যা না করে। সে জন্য এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে সকল এনজিও কর্মীদের এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না।