ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এটর্নি জেনারেল স্বাধীন বিচার বিভাগের প্রতি হুমকি : রিজভী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৩১:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০১৭
  • / ৪২৬ বার পড়া হয়েছে

65510_thumbS_rz

সমীকরণ ডেস্ক: গণতন্ত্র নিধনে এটর্নি জেনারেল সরকারি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির মুখপাত্র ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ বলেছেন, এটর্নি জেনারেল গণতন্ত্র নিধনে সরকারী কর্মসূচি বাস্তবায়নে আদালতে নিয়মিতভাবে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। এই এটর্নি জেনারেল স্বাধীন বিচার বিভাগের প্রতি এক হুমকি। দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। রিজভী বলেন, বিচারপতিদের অভিশংসন নিয়ে শুনানীতে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা কিভাবে প্রধান বিচারপতিসহ বিচারপতিদের ধমকি-ধামকি দিয়েছেন। গণমাধ্যমে এখবর প্রকাশের পর সরকারের আসল রূপ উন্মোচিত হয়েছে। তারা যে বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীকে জেল-জুলুমসহ মিথ্যা মামলায় নানাভাবে হয়রানী করছেÑ তা প্রধান আইন কর্মকর্তার হুমকি-ধামকির মধ্য দিয়ে উন্মোচিত হয়ে গেছে। সরকার এই এটর্নি জেনারেলকে দিয়েই বিগত কয়েকটি বছর বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর জেল-জুলুম দিয়ে পর্যদুস্ত করার জন্য আদালতে নানা কারসাজি করার চেষ্টা চালিয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে বিচার বিভাগের যে কোন স্বাধীনতা নেই সেকথা প্রধান বিচারপতি বারবার স্পষ্ট করে বলেছেন। এমনকি দেশের সাধারণ নাগরিকরাও প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের সঙ্গে পুরোপুরি একমত পোষণ করছেন। দেশের প্রতিটি মানুষ বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পক্ষে থাকলেও বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার চায় না বিচার বিভাগ স্বাধীন হোক। নিষ্ঠুর রাজতন্ত্রের মতোই আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রের সকল বিভাগের ওপর প্রভুত্ব করতে চান। রিজভী বলেন, এই প্রভুত্বে চ্যালেঞ্জ হচ্ছেন বলেই এখন প্রধানমন্ত্রী সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি ক্ষুদ্ধ হয়েছেন। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে উচ্চ আদালতে যে শুনানী চলছে এবং নি¤œ আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনাকে বারবার উপেক্ষা করে সরকার তার চুড়ান্ত ক্ষমতা সর্বত্র জানান দিয়েছে। আজকের (সোমবারের) শুনানীতে প্রধান বিচারপতি বলেছেনÑ সরকার পক্ষে গেজেট প্রকাশের ফের সময়ের আবেদনে লজ্জিত হয়েছে আপিল বিভাগ। সরকার লজ্জিত না হলেও এ লজ্জা সারা জাতির। সরকারের এহেন আচরণ একদলীয় বাকশালী স্বৈরতন্ত্রকে পাকাপাকি একটি ভিত্তি দেয়ারই প্রচেষ্টা। রিজভী বলেন, বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার অর্থনীতিকে বারোটা বাজিয়ে দেশের প্রবৃদ্ধি নিয়ে চরম মিথ্যাচার করছে। রোববার এনইসি বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী দাবি করেছেন বর্তমান অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। অথচ একইদিন বিশ্ব ব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছে বর্তমান অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হতে পারে সর্বোচ্চ ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। রোববার প্রকাশিত বিশ্ব ব্যাংকের ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, চলতি বছরের তুলনায় আগামী বছরেও প্রবৃদ্ধি কমবে। যা হতে পারে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। বিশ্বব্যাংক বলেছে, বিনিয়োগ পরিবেশে অবনতি, প্রবাসী আয়ে বড় ধরনের পতন ও রপ্তানি আয়ের বৃদ্ধি মন্থর হয়ে আসায় এবার সার্বিক প্রবৃদ্ধি তুলনামূলক কম হবে। বিএনপির মুখপাত্র বলেন, বাস্তবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিশ্ব ব্যাংকের পূর্বাভাস থেকেও কম। কারন ভোটারবিহীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই লুটপাটের মাধ্যমে আর্থিক খাতকে ধ্বংস করে দিয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকগুলোর মূলধনও বর্তমান শাসকগোষ্ঠী খেয়ে ফেলেছে। আস্থার সংকটে বর্তমানে আর্থিক খাতে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ প্রায় শুণ্যের কোঠায়। প্রবাসীদের পাঠানোর রেমিটেন্সের পরিমান ক্রমান্বয়ে কমছে। অন্যদিকে রপ্তানী আয়েরও দুরাবস্থা চলছে। তিনি বলেন, বর্তমানে ভয়াবহ দু:শাসনে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ না থাকায় পোশাক রপ্তানী খাত অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত হচ্ছে। এরই মধ্যে লুটপাটের কয়েক লাখ কোটি টাকা পাচার হয়ে যাওয়ার খবরে বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। সুতরাং সরকারের তরফে প্রবৃদ্ধি নিয়ে যে পরিসংখ্যান দেয়া হয়েছে সেটি বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর মিথ্যাচারেরই একটি অংশ। নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রবৃদ্ধি নিয়ে ক্ষমতাসীনদের বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তবতার কোন মিল নেই। রিজভী বলেন, বরাবরের মতোই আসন্ন বাজেট যে ক্ষমতাসীন দলের লোকদের চাওয়া-পাওয়ার ওপর লক্ষ্য রেখেই রচিত হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রীরা যে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে নির্দ্বিধায় মিথ্যার বিভ্রান্তি ছড়াতে পারেন তা দেশবাসী জানেন। সুতরাং মনভোলানোর জন্য কোন পরিসংখ্যানেই দেশের মানুষকে বিশ্বাস করানো যাবে না। অসত্য পরিসংখ্যান দিয়ে মানুষের সমর্থন পাওয়া যাবে না। বরং মিথ্যা পরিসংখ্যানের ফুলঝুরি দিয়ে সরকার জেনেশুনে বিষপান করছে। কারন অসত্য, বানোয়াট তথ্যের কারনে জনগণ আরও তীব্রভাবে সরকারকে প্রত্যাখান করবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেনÑ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তবে আসলে দেশ পেছনের দিকে এগুচ্ছে কী না তা তিনি স্পষ্ট করে বলেননি। কারন দেশী-বিদেশী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মতে-দেশের উন্নয়নের আর্থিক সূচকগুলো নি¤œমুখী। এর আরেকটি বড় কারন হচ্ছেÑ স্বয়ং অর্থমন্ত্রীও বলেছেন, দেশে কোন বিনিয়োগ হচ্ছে না, রেমিটেন্স কমছে, রপ্তানী কমছে। এই যদি আর্থিক চিত্র হয়, তাহলে উন্নয়ন কী আকাশে হচ্ছে? আসলে উন্নয়ন হচ্ছে সরকারী দলের নেতাকর্মীদের, রাষ্ট্রের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দাক্ষিণ্যে তারা মোটাতাজা হচ্ছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

এটর্নি জেনারেল স্বাধীন বিচার বিভাগের প্রতি হুমকি : রিজভী

আপলোড টাইম : ০৫:৩১:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০১৭

65510_thumbS_rz

সমীকরণ ডেস্ক: গণতন্ত্র নিধনে এটর্নি জেনারেল সরকারি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির মুখপাত্র ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ বলেছেন, এটর্নি জেনারেল গণতন্ত্র নিধনে সরকারী কর্মসূচি বাস্তবায়নে আদালতে নিয়মিতভাবে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। এই এটর্নি জেনারেল স্বাধীন বিচার বিভাগের প্রতি এক হুমকি। দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। রিজভী বলেন, বিচারপতিদের অভিশংসন নিয়ে শুনানীতে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা কিভাবে প্রধান বিচারপতিসহ বিচারপতিদের ধমকি-ধামকি দিয়েছেন। গণমাধ্যমে এখবর প্রকাশের পর সরকারের আসল রূপ উন্মোচিত হয়েছে। তারা যে বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীকে জেল-জুলুমসহ মিথ্যা মামলায় নানাভাবে হয়রানী করছেÑ তা প্রধান আইন কর্মকর্তার হুমকি-ধামকির মধ্য দিয়ে উন্মোচিত হয়ে গেছে। সরকার এই এটর্নি জেনারেলকে দিয়েই বিগত কয়েকটি বছর বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর জেল-জুলুম দিয়ে পর্যদুস্ত করার জন্য আদালতে নানা কারসাজি করার চেষ্টা চালিয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে বিচার বিভাগের যে কোন স্বাধীনতা নেই সেকথা প্রধান বিচারপতি বারবার স্পষ্ট করে বলেছেন। এমনকি দেশের সাধারণ নাগরিকরাও প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের সঙ্গে পুরোপুরি একমত পোষণ করছেন। দেশের প্রতিটি মানুষ বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পক্ষে থাকলেও বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার চায় না বিচার বিভাগ স্বাধীন হোক। নিষ্ঠুর রাজতন্ত্রের মতোই আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রের সকল বিভাগের ওপর প্রভুত্ব করতে চান। রিজভী বলেন, এই প্রভুত্বে চ্যালেঞ্জ হচ্ছেন বলেই এখন প্রধানমন্ত্রী সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি ক্ষুদ্ধ হয়েছেন। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে উচ্চ আদালতে যে শুনানী চলছে এবং নি¤œ আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধি বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনাকে বারবার উপেক্ষা করে সরকার তার চুড়ান্ত ক্ষমতা সর্বত্র জানান দিয়েছে। আজকের (সোমবারের) শুনানীতে প্রধান বিচারপতি বলেছেনÑ সরকার পক্ষে গেজেট প্রকাশের ফের সময়ের আবেদনে লজ্জিত হয়েছে আপিল বিভাগ। সরকার লজ্জিত না হলেও এ লজ্জা সারা জাতির। সরকারের এহেন আচরণ একদলীয় বাকশালী স্বৈরতন্ত্রকে পাকাপাকি একটি ভিত্তি দেয়ারই প্রচেষ্টা। রিজভী বলেন, বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার অর্থনীতিকে বারোটা বাজিয়ে দেশের প্রবৃদ্ধি নিয়ে চরম মিথ্যাচার করছে। রোববার এনইসি বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী দাবি করেছেন বর্তমান অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। অথচ একইদিন বিশ্ব ব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছে বর্তমান অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হতে পারে সর্বোচ্চ ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। রোববার প্রকাশিত বিশ্ব ব্যাংকের ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, চলতি বছরের তুলনায় আগামী বছরেও প্রবৃদ্ধি কমবে। যা হতে পারে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। বিশ্বব্যাংক বলেছে, বিনিয়োগ পরিবেশে অবনতি, প্রবাসী আয়ে বড় ধরনের পতন ও রপ্তানি আয়ের বৃদ্ধি মন্থর হয়ে আসায় এবার সার্বিক প্রবৃদ্ধি তুলনামূলক কম হবে। বিএনপির মুখপাত্র বলেন, বাস্তবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিশ্ব ব্যাংকের পূর্বাভাস থেকেও কম। কারন ভোটারবিহীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই লুটপাটের মাধ্যমে আর্থিক খাতকে ধ্বংস করে দিয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকগুলোর মূলধনও বর্তমান শাসকগোষ্ঠী খেয়ে ফেলেছে। আস্থার সংকটে বর্তমানে আর্থিক খাতে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ প্রায় শুণ্যের কোঠায়। প্রবাসীদের পাঠানোর রেমিটেন্সের পরিমান ক্রমান্বয়ে কমছে। অন্যদিকে রপ্তানী আয়েরও দুরাবস্থা চলছে। তিনি বলেন, বর্তমানে ভয়াবহ দু:শাসনে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ না থাকায় পোশাক রপ্তানী খাত অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত হচ্ছে। এরই মধ্যে লুটপাটের কয়েক লাখ কোটি টাকা পাচার হয়ে যাওয়ার খবরে বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। সুতরাং সরকারের তরফে প্রবৃদ্ধি নিয়ে যে পরিসংখ্যান দেয়া হয়েছে সেটি বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর মিথ্যাচারেরই একটি অংশ। নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রবৃদ্ধি নিয়ে ক্ষমতাসীনদের বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তবতার কোন মিল নেই। রিজভী বলেন, বরাবরের মতোই আসন্ন বাজেট যে ক্ষমতাসীন দলের লোকদের চাওয়া-পাওয়ার ওপর লক্ষ্য রেখেই রচিত হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রীরা যে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে নির্দ্বিধায় মিথ্যার বিভ্রান্তি ছড়াতে পারেন তা দেশবাসী জানেন। সুতরাং মনভোলানোর জন্য কোন পরিসংখ্যানেই দেশের মানুষকে বিশ্বাস করানো যাবে না। অসত্য পরিসংখ্যান দিয়ে মানুষের সমর্থন পাওয়া যাবে না। বরং মিথ্যা পরিসংখ্যানের ফুলঝুরি দিয়ে সরকার জেনেশুনে বিষপান করছে। কারন অসত্য, বানোয়াট তথ্যের কারনে জনগণ আরও তীব্রভাবে সরকারকে প্রত্যাখান করবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেনÑ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তবে আসলে দেশ পেছনের দিকে এগুচ্ছে কী না তা তিনি স্পষ্ট করে বলেননি। কারন দেশী-বিদেশী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মতে-দেশের উন্নয়নের আর্থিক সূচকগুলো নি¤œমুখী। এর আরেকটি বড় কারন হচ্ছেÑ স্বয়ং অর্থমন্ত্রীও বলেছেন, দেশে কোন বিনিয়োগ হচ্ছে না, রেমিটেন্স কমছে, রপ্তানী কমছে। এই যদি আর্থিক চিত্র হয়, তাহলে উন্নয়ন কী আকাশে হচ্ছে? আসলে উন্নয়ন হচ্ছে সরকারী দলের নেতাকর্মীদের, রাষ্ট্রের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দাক্ষিণ্যে তারা মোটাতাজা হচ্ছে।