ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংবাদিকদের করণীয় বিষয়ে চুয়াডাঙ্গায় সভা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৪৪:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮
  • / ৪৭৩ বার পড়া হয়েছে

পরিপত্রের ভিত্তিতে সংবাদকর্মীরা কতটা দায়িত্ব পালন করতে পারবে?
বিশেষ প্রতিবেদক: বিগত নির্বাচনের তুলনায় এবার আমুল পরিবর্তন হয়েছে সংসদ নির্বাচনের ধরণ। সেই সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে সাংবাদিকদের কার্যপরিধিও। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের খবর সংগ্রহ এবং পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে নতুন বিধি নিষেধ বা কড়াকড়ির মধ্যে পড়তে হবে কিনা তা নিয়ে উদ্বেগ কাটছে না। নির্বাচনে দেশী বিদেশী সংস্থার পর্যবেক্ষণে করণীয় নিয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। কিন্তু গণমাধ্যমের জন্য নির্বাচন কমিশনের লিখিত কোনো নীতিমালা নেই। নির্বাচন কমিশনের পরিপত্রের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার জানাচ্ছেন- ভোটের আগে পরিপত্র জারি করে স্পষ্ট করে দেয়া হবে যে, ভোটের দিন কী করা যাবে, আর কী করা যাবে না। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের এক সভা থেকে কিছু নির্দেশনা পাওয়া গেছে। যা মেনে সংবাদকর্মীরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব কতটা পালন করতে পারবে, সে প্রশ্ন থেকেই যায়।অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন এক নির্দেশনায় বলেন, ‘আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের পূর্বে দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং কর্মকর্তার অনুমতি নিতে হবে, তা ছাড়া ভোটকক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না সাংবাদিকরা। অনুমতি নিয়ে ভেতরে প্রবেশকারী কেউ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। কোনো প্রকার নির্বাচনী উপকরণ স্পর্শ বা অপসারণ করতে পারবেন না। নির্বাচনী গোপণ বুথে প্রবেশ করা যাবে না। কেন্দ্রের নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে থেকে সরাসরি সম্প্রচার থেকে বিরত থাকতে হবে। কোনো সাংবাদিক ভোটের দিন মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে মাইক্রোবাস ব্যবহার করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে একটি মাইক্রোবাসে কমপক্ষে পাঁচজন থাকতে হবে। এ ছাড়া নির্বাচনী প্রার্থী বা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে যে কোনো ধরনের কর্মকা- থেকে বিরত থাকতে হবে সাংবাদিকদের।’সভার সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খোন্দকার ফরহাদ আহমদ বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংবাদ সংগ্রহের জন্য জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের অনুমতিপত্র নিতে হবে। এ জন্য সাংবাদিকদের- স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপত্র, আইডি কার্ড, জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, তথ্য অধিদপ্তরের স্বীকৃতিপত্র (অনলাইন সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে অবশ্যক), ১ কপি পাসপোর্ট ও ১কপি স্ট্যাম্প সাইজের ছবি জমা দিতে হবে। স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পত্রিকার সম্পাদক স্বাক্ষরিত একটি আবেদন ও তালিকাসহ উপরোক্ত কাগজপত্র জমা দিতে হবে। অনুমতিপত্র সরবরাহ কিংবা বাতিলের এখতিয়ার রয়েছে রিটার্নিং অফিসারের।’
নিয়মানুযায়ী গণমাধ্যম কর্মীদের নির্বাচন কমিশনের ইস্যু করা কার্ড নিয়ে ভোটের খবর সংগ্রহ করতে হয়। সেই কার্ডের পেছনে বিভিন্ন নিয়ম-কানুন লেখা থাকে। সাধারণত সাংবাদিকরা কার্ড প্রদর্শন করে ভোটকেন্দ্র-বুথ পরিদর্শন করেন, ছবি ধারণ ও তথ্য সংগ্রহ করেন। পোলিং অফিসার, এজেন্টদদের সঙ্গে কথা বলা, ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্সের ছবি তোলেন। অনেকক্ষেত্রে টেলিভিশনে বুথের ছবি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এছাড়া ঘণ্টায় ঘণ্টায় কী পরিমাণে ভোট পড়ছে, বা ভোট শেষে গণনার চিত্রও টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করার নজির রয়েছে। অনেক সময় সাংবাদিকরা কেন্দ্রে গিয়ে কিছু ক্ষেত্রে অনিয়ম ও জালিয়াতির চিত্রও পান এবং সেটি প্রকাশ করেন। বিগত ৫টি সিটি নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্র দখল করে জালভোটের চিত্রও উঠে এসেছে গণমাধ্যমে। সেই খবর জেনে কিছু কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ এবং ভোট গণনা বাতিলেরও নজির রয়েছে। বিষয়টি আমলে নেয়া জরুরী নয় কী?এদিকে গণমাধ্যমে খবরের পাশাপাশি নির্বাচন কতটা অবাধ ও সুষ্ঠু হচ্ছে সেটি উঠে আসে দেশি বিদেশি পর্যবেক্ষণে। দেশী বিদেশী পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে কমিশনে নীতিমালা থাকলেও সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন ব্রিফিং করে পর্যবেক্ষকদের কিছু মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছেন। সে নির্দেশনায় কমিশন সচিব ভোটকেন্দ্রে মোবাইল ফোন না নেয়া, ছবি না তোলা এবং গণমাধ্যমে কথা বলতে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তিনি এমনও বলেছিলেন যে মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। কমিশন সচিবের এসব নির্দেশনা নিয়ে সৃষ্ট বিতর্ক ও সমালোচনার পাশাপাশি এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইয়াহ ইয়া খান, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসান ও আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাহাত মান্নান। এ ছাড়াও চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি কামাল উদ্দীন জোয়ার্দ্দার, সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের সভাপতি এড. রফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম সনি, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফাইজার চৌধুরী, বাংলাদেশ বেতারের প্রতিনিধি এড. তছিরুল আলম মালিক ডিউক, গণমাধ্যম কর্মী রিফাত রহমান, আরিফুল ইসলাম ডালিম, আতিয়ার রহমান, জামান আখতার, এসএম শাফায়েত, শেখ আব্দুল আজিজ, হাবিবুর রহমান, বখতিয়ার হোসেন বকুল, মনিরুজ্জামান ধীরু, সালাউদ্দীন কাজল, আজাদ হোসেন, কামরুজ্জামান সেলিম, জিসান আহম্মেদসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংবাদিকদের করণীয় বিষয়ে চুয়াডাঙ্গায় সভা

আপলোড টাইম : ১১:৪৪:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮

পরিপত্রের ভিত্তিতে সংবাদকর্মীরা কতটা দায়িত্ব পালন করতে পারবে?
বিশেষ প্রতিবেদক: বিগত নির্বাচনের তুলনায় এবার আমুল পরিবর্তন হয়েছে সংসদ নির্বাচনের ধরণ। সেই সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে সাংবাদিকদের কার্যপরিধিও। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের খবর সংগ্রহ এবং পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে নতুন বিধি নিষেধ বা কড়াকড়ির মধ্যে পড়তে হবে কিনা তা নিয়ে উদ্বেগ কাটছে না। নির্বাচনে দেশী বিদেশী সংস্থার পর্যবেক্ষণে করণীয় নিয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। কিন্তু গণমাধ্যমের জন্য নির্বাচন কমিশনের লিখিত কোনো নীতিমালা নেই। নির্বাচন কমিশনের পরিপত্রের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার জানাচ্ছেন- ভোটের আগে পরিপত্র জারি করে স্পষ্ট করে দেয়া হবে যে, ভোটের দিন কী করা যাবে, আর কী করা যাবে না। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের এক সভা থেকে কিছু নির্দেশনা পাওয়া গেছে। যা মেনে সংবাদকর্মীরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব কতটা পালন করতে পারবে, সে প্রশ্ন থেকেই যায়।অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন এক নির্দেশনায় বলেন, ‘আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের পূর্বে দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং কর্মকর্তার অনুমতি নিতে হবে, তা ছাড়া ভোটকক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না সাংবাদিকরা। অনুমতি নিয়ে ভেতরে প্রবেশকারী কেউ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। কোনো প্রকার নির্বাচনী উপকরণ স্পর্শ বা অপসারণ করতে পারবেন না। নির্বাচনী গোপণ বুথে প্রবেশ করা যাবে না। কেন্দ্রের নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে থেকে সরাসরি সম্প্রচার থেকে বিরত থাকতে হবে। কোনো সাংবাদিক ভোটের দিন মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে মাইক্রোবাস ব্যবহার করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে একটি মাইক্রোবাসে কমপক্ষে পাঁচজন থাকতে হবে। এ ছাড়া নির্বাচনী প্রার্থী বা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে যে কোনো ধরনের কর্মকা- থেকে বিরত থাকতে হবে সাংবাদিকদের।’সভার সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খোন্দকার ফরহাদ আহমদ বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংবাদ সংগ্রহের জন্য জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের অনুমতিপত্র নিতে হবে। এ জন্য সাংবাদিকদের- স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপত্র, আইডি কার্ড, জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, তথ্য অধিদপ্তরের স্বীকৃতিপত্র (অনলাইন সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে অবশ্যক), ১ কপি পাসপোর্ট ও ১কপি স্ট্যাম্প সাইজের ছবি জমা দিতে হবে। স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পত্রিকার সম্পাদক স্বাক্ষরিত একটি আবেদন ও তালিকাসহ উপরোক্ত কাগজপত্র জমা দিতে হবে। অনুমতিপত্র সরবরাহ কিংবা বাতিলের এখতিয়ার রয়েছে রিটার্নিং অফিসারের।’
নিয়মানুযায়ী গণমাধ্যম কর্মীদের নির্বাচন কমিশনের ইস্যু করা কার্ড নিয়ে ভোটের খবর সংগ্রহ করতে হয়। সেই কার্ডের পেছনে বিভিন্ন নিয়ম-কানুন লেখা থাকে। সাধারণত সাংবাদিকরা কার্ড প্রদর্শন করে ভোটকেন্দ্র-বুথ পরিদর্শন করেন, ছবি ধারণ ও তথ্য সংগ্রহ করেন। পোলিং অফিসার, এজেন্টদদের সঙ্গে কথা বলা, ব্যালট পেপার ও ব্যালট বাক্সের ছবি তোলেন। অনেকক্ষেত্রে টেলিভিশনে বুথের ছবি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এছাড়া ঘণ্টায় ঘণ্টায় কী পরিমাণে ভোট পড়ছে, বা ভোট শেষে গণনার চিত্রও টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করার নজির রয়েছে। অনেক সময় সাংবাদিকরা কেন্দ্রে গিয়ে কিছু ক্ষেত্রে অনিয়ম ও জালিয়াতির চিত্রও পান এবং সেটি প্রকাশ করেন। বিগত ৫টি সিটি নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্র দখল করে জালভোটের চিত্রও উঠে এসেছে গণমাধ্যমে। সেই খবর জেনে কিছু কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ এবং ভোট গণনা বাতিলেরও নজির রয়েছে। বিষয়টি আমলে নেয়া জরুরী নয় কী?এদিকে গণমাধ্যমে খবরের পাশাপাশি নির্বাচন কতটা অবাধ ও সুষ্ঠু হচ্ছে সেটি উঠে আসে দেশি বিদেশি পর্যবেক্ষণে। দেশী বিদেশী পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে কমিশনে নীতিমালা থাকলেও সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন ব্রিফিং করে পর্যবেক্ষকদের কিছু মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছেন। সে নির্দেশনায় কমিশন সচিব ভোটকেন্দ্রে মোবাইল ফোন না নেয়া, ছবি না তোলা এবং গণমাধ্যমে কথা বলতে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তিনি এমনও বলেছিলেন যে মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। কমিশন সচিবের এসব নির্দেশনা নিয়ে সৃষ্ট বিতর্ক ও সমালোচনার পাশাপাশি এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইয়াহ ইয়া খান, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসান ও আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাহাত মান্নান। এ ছাড়াও চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি কামাল উদ্দীন জোয়ার্দ্দার, সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের সভাপতি এড. রফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম সনি, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফাইজার চৌধুরী, বাংলাদেশ বেতারের প্রতিনিধি এড. তছিরুল আলম মালিক ডিউক, গণমাধ্যম কর্মী রিফাত রহমান, আরিফুল ইসলাম ডালিম, আতিয়ার রহমান, জামান আখতার, এসএম শাফায়েত, শেখ আব্দুল আজিজ, হাবিবুর রহমান, বখতিয়ার হোসেন বকুল, মনিরুজ্জামান ধীরু, সালাউদ্দীন কাজল, আজাদ হোসেন, কামরুজ্জামান সেলিম, জিসান আহম্মেদসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।