ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন : চুয়াডাঙ্গার দু’টি আসন শেষ মুহূর্তের প্রচারণা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮
  • / ৪৫৯ বার পড়া হয়েছে

চাঙ্গা আ.লীগ : কৌশলী বিএনপি : বাকীরাও ব্যস্ত প্রচারণায়
বিশেষ প্রতিবেদক/দর্শনা অফিস: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারে সব দলের প্রার্থীর যেখানে সরব থাকার কথা, সেখানে চুয়াডাঙ্গার দু’টি আসনের আ.লীগের প্রার্থী ছাড়া বাকীদের মধ্যে বিরাজ করছে স্থবিরতা। সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় অবশ্য সে স্থবিরতা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে সবাই। আজ বৃহস্পতিবার ও কাল শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ভোটারদের দারে দারে কিবা প্রচারণার কৌশলে ভোট চাইতে পারবেন প্রার্থীরা। তবে ভোটের ঢাকে কাঠি পড়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত সাধারণ ভোটারদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না। সবমিলিয়ে শনিবার একদিনের বিরতি নিয়ে রোববার ৩০ ডিসেম্বর হবে মহাযুদ্ধ। দু’টি আসনে লড়ছেন দেশের শক্তিশালী দুই দল আ.লীগ-বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের ১০ জন প্রার্থী।
চুয়াডাঙ্গা-১ (আলমডাঙ্গা ও চুয়াডাঙ্গা): জেলা শহর, দুটি পৌরসভা ও দু’টি উপজেলা এবং ২০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনে আ.লীগ-বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। প্রচারণার শুরু থেকে ‘শেখ হাসিনার সালাম নিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন’, ‘উন্নয়নের মার্কা-নৌকা মার্কা’ কাকডাকা ভোরে এসব স্লোগান সম্বলিত মাইকের শব্দে ঘুম ভাঙে চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা শহরবাসীর। শুধু স্লোগান নয়, গানে গানে উন্নয়নের ফিরিস্তি জানান দিয়েও চাওয়া হচ্ছে নৌকার ভোট। সেই সঙ্গে ধারাবাহিক গণসংযোগ ও পথসভায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, ২০ দলীয় জোট ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. শরীফুজ্জামান শরীফ লড়ছেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে। প্রচারণার প্রথম দিন হামলার শিকার তিনি। এরপর একাধিক অভিযোগ। বিভিন্ন স্থানে তার অন্তত ২০টি নির্বাচনী অফিস/কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বাদ যায়নি নেতাকর্মীদের বসতবাড়িও। টাঙানো পোস্টার ব্যানার ছিড়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। তবে খেয় না হারিয়ে বার বার কৌশল বদলে মাঠে থেকেছেন সবসময়। কেন্দ্রীয় নির্দেশনার অপেক্ষায় প্রচারণায় ছিলেন না জাতীয় পার্টি মনোনীত এড. মো. সোহরাব হোসেন। তাই শহরজুড়ে পোস্টার-ব্যানার না থাকলেও গত দু’দিন তার লাঙ্গল প্রতীকের প্রচারণা চোখে পড়েছে। হাতপাখা প্রতীক নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মোহাম্মদ জহুরুল ইসলাম বেশ উচ্ছ্বসিত। দিনভর নির্বাচনী এলাকার এ প্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন তিনি। মুসলিম লীগ মনোনীত জেলার একমাত্র নারী প্রার্থী মোছা. মেরিনা আক্তার তার ‘হারিকেন’ প্রতীকের উজ্জলতা দেখাচ্ছেন প্রথম থেকেই। শহর জুড়ে সর্বত্র পোস্টার-ব্যানার, প্রচার মাইকের বহর আর ভোটারদের সঙ্গে দহরম মহরম দেখিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন তিনি আছেন।
সংসদীয় আসন ৭৯, চুয়াডাঙ্গা-১ এ মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১৭৩টি, যার প্রত্যেকটিই স্থায়ী। মোট ভোটার ৪ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ১৭ হাজার ২৮৬ জন ভোটার এবং নারী ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ৪৪৪ জন।
চুয়াডাঙ্গা-২ (দামুড়হুদা ও জীবননগর): চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে বিভিন্ন দলের ৫জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাজী আলী আজগার টগর নৌকা প্রতীকে এবার মাঠের লড়াইয়ে তৃতীয় বার। প্রচার প্রচারণায় সরগরম তার নির্বাচনী এলাকা। চারদিকে নৌকার পোস্টার-ব্যানার চোখে পড়ার মতো। অনেক আগেই জানান দিয়েছেন জয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী। এদিকে তার প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে ধরা হচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, ২০ দল ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব মাহমুদ হাসান খান বাবুকে। তিনি ধানের শীষ প্রতীক পেয়ে এবারই প্রথম সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরআগে ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে মাঠ গুছিয়ে রেখেছিলেন বাবু খান। সে সময় বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে দাড়ালে তিনিও নিজেকে গুটিয়ে নেন। তবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা এ প্রার্থী এখনও সুবিধা জনক স্থানে রয়েছে বলে ধারণা অনেকের। জাকের পার্টির মনোনীত প্রার্থী আব্দুল লতিফ খান যুবরাজ তার গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি বিগত ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মো. হাসানুজ্জামান হাতপাখা প্রতীক এবং গণফ্রন্ট মনোনীত শেখ লালন মাছ প্রতীক নিয়ে শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় বেশ ব্যস্ততা দেখাচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে মাঠপর্যায়ে সকল দলের প্রার্থীকে স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে প্রচার প্রচারনার কথা থাকলেও ৪টি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায় শুধু মাত্র নৌকা প্রতীকের ব্যানার, পোষ্টার ও দলীয় প্রার্থী অফিস। অন্যান্য প্রার্থীদের গ্রাম পর্যায় কোন পোষ্টার, ব্যানার ও অফিস চোখে পড়েনি। তবে গোলাপ ফুল প্রতিকে বেশ কয়েকটি পোষ্টার ও সদাবরী গ্রামে একটি অফিস দেখা গেছে। এছাড়া চন্ডিপুর ও কার্পাসডাঙ্গা একটি গাছের ৬/৭টি হাতপাখার পোষ্টার দেখা গেছে। এছাড়া ধানের শীষ ও মাছ মার্কার কোন পোষ্টার, ব্যানার ও অফিস চোখে পড়েনি। দীর্ঘ ৫ বছর পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসে। এ নির্বাচনকে ঘিরে সারাদেশে উৎসবের আমেজ শুরু হয়ে যায়। বিভিন্ন দলীয় প্রার্থী প্রচার-প্রচারনা বিশেষ করে মাইকিং বিভিন্ন প্রতীকের মিছিল, ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা এবং চায়ের দোকানে তর্ক-বিতর্ক নিয়ে গ্রাম ও শহরের মানুষ মেতে উঠে। এবারের নির্বাচনে তেমন কিছু লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের দু’টি উপজেলা ও দু’টি পৌরসভার মোট ১৬১টি ভোট কেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ করা হবে। মোট ভোটার ৪ লাখ ১৫ হাজার ২৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬ হাজার ৭৭১জন এবং নারী ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৮ হাজার ২৫৬ জন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কিছু ভোটার জানান, এবারের ভোট একতরফা হবে বলে মনে হচ্ছে। আমরা ভোট সেন্টারে না গেলেও ভোটের কাজ সম্পন্ন হবে বলে মনে হচ্ছে। আবার কেউ কেউ বলেন, ভোট সুষ্ঠু হতে পারে। তবে এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা এবারের ভোট কেমন হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন : চুয়াডাঙ্গার দু’টি আসন শেষ মুহূর্তের প্রচারণা

আপলোড টাইম : ১১:০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮

চাঙ্গা আ.লীগ : কৌশলী বিএনপি : বাকীরাও ব্যস্ত প্রচারণায়
বিশেষ প্রতিবেদক/দর্শনা অফিস: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারে সব দলের প্রার্থীর যেখানে সরব থাকার কথা, সেখানে চুয়াডাঙ্গার দু’টি আসনের আ.লীগের প্রার্থী ছাড়া বাকীদের মধ্যে বিরাজ করছে স্থবিরতা। সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় অবশ্য সে স্থবিরতা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে সবাই। আজ বৃহস্পতিবার ও কাল শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ভোটারদের দারে দারে কিবা প্রচারণার কৌশলে ভোট চাইতে পারবেন প্রার্থীরা। তবে ভোটের ঢাকে কাঠি পড়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত সাধারণ ভোটারদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না। সবমিলিয়ে শনিবার একদিনের বিরতি নিয়ে রোববার ৩০ ডিসেম্বর হবে মহাযুদ্ধ। দু’টি আসনে লড়ছেন দেশের শক্তিশালী দুই দল আ.লীগ-বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের ১০ জন প্রার্থী।
চুয়াডাঙ্গা-১ (আলমডাঙ্গা ও চুয়াডাঙ্গা): জেলা শহর, দুটি পৌরসভা ও দু’টি উপজেলা এবং ২০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনে আ.লীগ-বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। প্রচারণার শুরু থেকে ‘শেখ হাসিনার সালাম নিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন’, ‘উন্নয়নের মার্কা-নৌকা মার্কা’ কাকডাকা ভোরে এসব স্লোগান সম্বলিত মাইকের শব্দে ঘুম ভাঙে চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা শহরবাসীর। শুধু স্লোগান নয়, গানে গানে উন্নয়নের ফিরিস্তি জানান দিয়েও চাওয়া হচ্ছে নৌকার ভোট। সেই সঙ্গে ধারাবাহিক গণসংযোগ ও পথসভায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, ২০ দলীয় জোট ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. শরীফুজ্জামান শরীফ লড়ছেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে। প্রচারণার প্রথম দিন হামলার শিকার তিনি। এরপর একাধিক অভিযোগ। বিভিন্ন স্থানে তার অন্তত ২০টি নির্বাচনী অফিস/কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বাদ যায়নি নেতাকর্মীদের বসতবাড়িও। টাঙানো পোস্টার ব্যানার ছিড়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। তবে খেয় না হারিয়ে বার বার কৌশল বদলে মাঠে থেকেছেন সবসময়। কেন্দ্রীয় নির্দেশনার অপেক্ষায় প্রচারণায় ছিলেন না জাতীয় পার্টি মনোনীত এড. মো. সোহরাব হোসেন। তাই শহরজুড়ে পোস্টার-ব্যানার না থাকলেও গত দু’দিন তার লাঙ্গল প্রতীকের প্রচারণা চোখে পড়েছে। হাতপাখা প্রতীক নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মোহাম্মদ জহুরুল ইসলাম বেশ উচ্ছ্বসিত। দিনভর নির্বাচনী এলাকার এ প্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন তিনি। মুসলিম লীগ মনোনীত জেলার একমাত্র নারী প্রার্থী মোছা. মেরিনা আক্তার তার ‘হারিকেন’ প্রতীকের উজ্জলতা দেখাচ্ছেন প্রথম থেকেই। শহর জুড়ে সর্বত্র পোস্টার-ব্যানার, প্রচার মাইকের বহর আর ভোটারদের সঙ্গে দহরম মহরম দেখিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন তিনি আছেন।
সংসদীয় আসন ৭৯, চুয়াডাঙ্গা-১ এ মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১৭৩টি, যার প্রত্যেকটিই স্থায়ী। মোট ভোটার ৪ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ১৭ হাজার ২৮৬ জন ভোটার এবং নারী ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ৪৪৪ জন।
চুয়াডাঙ্গা-২ (দামুড়হুদা ও জীবননগর): চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে বিভিন্ন দলের ৫জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাজী আলী আজগার টগর নৌকা প্রতীকে এবার মাঠের লড়াইয়ে তৃতীয় বার। প্রচার প্রচারণায় সরগরম তার নির্বাচনী এলাকা। চারদিকে নৌকার পোস্টার-ব্যানার চোখে পড়ার মতো। অনেক আগেই জানান দিয়েছেন জয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী। এদিকে তার প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে ধরা হচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, ২০ দল ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব মাহমুদ হাসান খান বাবুকে। তিনি ধানের শীষ প্রতীক পেয়ে এবারই প্রথম সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরআগে ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে মাঠ গুছিয়ে রেখেছিলেন বাবু খান। সে সময় বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে দাড়ালে তিনিও নিজেকে গুটিয়ে নেন। তবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা এ প্রার্থী এখনও সুবিধা জনক স্থানে রয়েছে বলে ধারণা অনেকের। জাকের পার্টির মনোনীত প্রার্থী আব্দুল লতিফ খান যুবরাজ তার গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি বিগত ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মো. হাসানুজ্জামান হাতপাখা প্রতীক এবং গণফ্রন্ট মনোনীত শেখ লালন মাছ প্রতীক নিয়ে শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় বেশ ব্যস্ততা দেখাচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে মাঠপর্যায়ে সকল দলের প্রার্থীকে স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে প্রচার প্রচারনার কথা থাকলেও ৪টি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায় শুধু মাত্র নৌকা প্রতীকের ব্যানার, পোষ্টার ও দলীয় প্রার্থী অফিস। অন্যান্য প্রার্থীদের গ্রাম পর্যায় কোন পোষ্টার, ব্যানার ও অফিস চোখে পড়েনি। তবে গোলাপ ফুল প্রতিকে বেশ কয়েকটি পোষ্টার ও সদাবরী গ্রামে একটি অফিস দেখা গেছে। এছাড়া চন্ডিপুর ও কার্পাসডাঙ্গা একটি গাছের ৬/৭টি হাতপাখার পোষ্টার দেখা গেছে। এছাড়া ধানের শীষ ও মাছ মার্কার কোন পোষ্টার, ব্যানার ও অফিস চোখে পড়েনি। দীর্ঘ ৫ বছর পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসে। এ নির্বাচনকে ঘিরে সারাদেশে উৎসবের আমেজ শুরু হয়ে যায়। বিভিন্ন দলীয় প্রার্থী প্রচার-প্রচারনা বিশেষ করে মাইকিং বিভিন্ন প্রতীকের মিছিল, ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা এবং চায়ের দোকানে তর্ক-বিতর্ক নিয়ে গ্রাম ও শহরের মানুষ মেতে উঠে। এবারের নির্বাচনে তেমন কিছু লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের দু’টি উপজেলা ও দু’টি পৌরসভার মোট ১৬১টি ভোট কেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ করা হবে। মোট ভোটার ৪ লাখ ১৫ হাজার ২৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬ হাজার ৭৭১জন এবং নারী ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৮ হাজার ২৫৬ জন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কিছু ভোটার জানান, এবারের ভোট একতরফা হবে বলে মনে হচ্ছে। আমরা ভোট সেন্টারে না গেলেও ভোটের কাজ সম্পন্ন হবে বলে মনে হচ্ছে। আবার কেউ কেউ বলেন, ভোট সুষ্ঠু হতে পারে। তবে এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা এবারের ভোট কেমন হবে।