ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

একই পরিবারের ৩০ সদস্য ভিটে ছাড়া!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০১৯
  • / ২৪৫ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহে সন্ত্রাসীদের অত্যাচার ও হুমকির বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন
ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটী ইউনিয়নের মান্দারতলা গ্রামে সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে একই পরিবারের ৩০ সদস্য ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। শিশু সন্তান ও স্কুল কলেজে পড়–য়া ছেলে মেয়েরা ভিটেছাড়া হয়ে এখানে ওখানে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মান্দারতলা গ্রামের মোশাররফ হোসেন। এ সময় ঘরবাড়িছাড়া পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ইউনুস আলী, আকলিমা খাতুন, আমিরুল মোল্লা, সালেহা খাতুন, মোছাঃ বেগম ও সোহাগী খাতুন উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে মোশাররফ হোসেন দাবী করেন, আমাদের দখলে থাকা ২৬ শতক জমি অবৈধ ভাবে গ্রাস করার জন্য মান্দারতলা গ্রামের শহিদুল ইসলাম ও তার লোকজন চেষ্টা করলে ঝিনাইদহের একটি আদালতে মামলা করা হয়। আদালত থেকে নালিশী জমিতে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য ঝিনাইদহ সদর থানাকে ব্যবস্থা গ্রহনের দির্নেশ দেন। থানা পুলিশ আসামীদের প্রতি নোটিশ জারী করলে গত পহেলা মে দুপুরে জুড়োন মোল্লার ছেলে আব্দুল কুদ্দুস, পাতা মোল্লা, জাহিদুল, শহিদুলের ছেলে শান্তি, জাহিদুলের ছেলে হৃদয়, আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে টোকন, তোফাজ্জেলের ছেলে আরিফুল ও জাফর অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে জোরপুর্বক বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। আমরা থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ আমাদের সুরক্ষা দেয়নি।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, এ সব সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে মান্দারতলা গ্রামের শহিদুল ইসলাম। তার অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ হলেও ভয়ে কেও মুখ খোলে না। এখন ধানা কাটার মৌসুম, অথচ মাঠের ধান কাটতে দিচ্ছে না সন্ত্রাসী শহিদুল। থানায় শহিদুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলেও পুলিশ তা গ্রহন করছে না। উপরোল্লেকিত সন্ত্রাসীদের অনেকের নামে থানায় মামলা থাকলেও তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না বলেও লিখিত বক্তব্যে দাবী করা হয়। শহিদুল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী ১৮৬ নং রুপদাহ মৌজার ২২৯৮, ২২৯৭ ও ২৩৯৯ দাগের ২৬ শতক জমি রেজিষ্ট্রি করে না দিলে তারা আমাদের হত্যা করার হুমকী দিচ্ছে। সাংবাদিক সম্মেলন করার পরেও যদি প্রশাসন আমাদের সুরক্ষা না দেয় তবে পরিবারটির ৩০ সদস্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবেন বলে জানানো হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

একই পরিবারের ৩০ সদস্য ভিটে ছাড়া!

আপলোড টাইম : ১১:০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০১৯

ঝিনাইদহে সন্ত্রাসীদের অত্যাচার ও হুমকির বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন
ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটী ইউনিয়নের মান্দারতলা গ্রামে সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে একই পরিবারের ৩০ সদস্য ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। শিশু সন্তান ও স্কুল কলেজে পড়–য়া ছেলে মেয়েরা ভিটেছাড়া হয়ে এখানে ওখানে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মান্দারতলা গ্রামের মোশাররফ হোসেন। এ সময় ঘরবাড়িছাড়া পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ইউনুস আলী, আকলিমা খাতুন, আমিরুল মোল্লা, সালেহা খাতুন, মোছাঃ বেগম ও সোহাগী খাতুন উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে মোশাররফ হোসেন দাবী করেন, আমাদের দখলে থাকা ২৬ শতক জমি অবৈধ ভাবে গ্রাস করার জন্য মান্দারতলা গ্রামের শহিদুল ইসলাম ও তার লোকজন চেষ্টা করলে ঝিনাইদহের একটি আদালতে মামলা করা হয়। আদালত থেকে নালিশী জমিতে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য ঝিনাইদহ সদর থানাকে ব্যবস্থা গ্রহনের দির্নেশ দেন। থানা পুলিশ আসামীদের প্রতি নোটিশ জারী করলে গত পহেলা মে দুপুরে জুড়োন মোল্লার ছেলে আব্দুল কুদ্দুস, পাতা মোল্লা, জাহিদুল, শহিদুলের ছেলে শান্তি, জাহিদুলের ছেলে হৃদয়, আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে টোকন, তোফাজ্জেলের ছেলে আরিফুল ও জাফর অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে জোরপুর্বক বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। আমরা থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ আমাদের সুরক্ষা দেয়নি।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, এ সব সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে মান্দারতলা গ্রামের শহিদুল ইসলাম। তার অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ হলেও ভয়ে কেও মুখ খোলে না। এখন ধানা কাটার মৌসুম, অথচ মাঠের ধান কাটতে দিচ্ছে না সন্ত্রাসী শহিদুল। থানায় শহিদুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলেও পুলিশ তা গ্রহন করছে না। উপরোল্লেকিত সন্ত্রাসীদের অনেকের নামে থানায় মামলা থাকলেও তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না বলেও লিখিত বক্তব্যে দাবী করা হয়। শহিদুল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী ১৮৬ নং রুপদাহ মৌজার ২২৯৮, ২২৯৭ ও ২৩৯৯ দাগের ২৬ শতক জমি রেজিষ্ট্রি করে না দিলে তারা আমাদের হত্যা করার হুমকী দিচ্ছে। সাংবাদিক সম্মেলন করার পরেও যদি প্রশাসন আমাদের সুরক্ষা না দেয় তবে পরিবারটির ৩০ সদস্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবেন বলে জানানো হয়।