ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

উপজেলা জামায়াত সেক্রেটারি বিলাল হোসাইন আটক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫৬:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭
  • / ৪০০ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গায় তাফসির মাহফিলের পর নাশকতার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে

আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গায় তাফসির মাহফিলের পর শহরে নাশকতা ও মন্দির ভাংচুর ঘটনায় জড়িত থাকায় উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী বিলাল হোসাইনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ভোর রাতে হাড়গাড়ি এলাকা থেকে তাকে আটক করে। আটকের পর গতকাল ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। জানা গেছে, আলমডাঙ্গা শহরে চারতলার মোড়ে মন্দির ভাংচুর ও নাশকতার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমারী ইউনিয়নের হাড়গাড়ি গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে উপজেলা জামাতের সেক্রেটারী বিলাল হোসাইন কে গ্রেফতার করে । তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে চুয়াডাঙ্গা জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, আলমডাঙ্গা মন্দির ভাংচুর ঘটনায় বিলাল হোসাইনকে নিয়ে মোট ৭ জন কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন- এরশাদপুর মাগরুপাড়ার হাবিবুর রহমানের ছেলে রাজিবুল ইসলাম (৩৪), একই গ্রামের চাষীপাড়ার রমজান আলীর ছেলে মারফত আলী (২৯) ও শরিয়াতুল ইসলাম (৪০), কালিদাসপুর দক্ষিনপাড়ার আকরাম হোসেনের ছেলে সুমন (৩৫), আসাননগর গ্রামের নুরুল ইসলামের ২ ছেলে সোহাগ (২২) ও আবুল কালাম (২১) কে বিশেষ আটক করে। আটকের পর তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আলমডাঙ্গার পল্ল বিদ্যুৎ অফিসের পাশে ৩ দিনব্যাপী তাফসির কোরআন মাহফিলের আয়োজন করে ওই এলাকার লোকজন। থানা পুলিশ ৩ দিনের তাফসির মাহফিলের অনুমতি দিলেও জামায়াত নেতা মাওলানা আমির হামজার অনুমতি ছিলোনা বলে পুলিশ জানান। প্রথম দিন শান্তিপূর্ণভাবে মাহফিল অনুষ্ঠিত হবার পর দ্বিতীয় দিন আয়োজক কমিটি পুলিশের নিষেধ উপেক্ষা করে মাওলানা আমির হামজাকে দিয়ে ওয়াজ করানোর চেষ্টা করে। পুলিশ জামাত নেতা মাওলানা আমির হামজা কে ওয়াজ করতে নিষেধের পর জামায়াত শিবিরের কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক কর্তৃক আলমডাঙ্গার চারতলার মোড়ের সিসি ক্যামেরা ভাংচুর, সত্যনারায়ন মন্দিরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, অধিকারী মিষ্টান্ন ভান্ডারের বেসিন ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মহাবুবুর রহমানসহ বিভিন্ন কর্মকর্তরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরদিন হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ অজ্ঞাত ৩০/৪০জনকে অজ্ঞাত আসামী বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

উপজেলা জামায়াত সেক্রেটারি বিলাল হোসাইন আটক

আপলোড টাইম : ১০:৫৬:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭

আলমডাঙ্গায় তাফসির মাহফিলের পর নাশকতার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে

আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গায় তাফসির মাহফিলের পর শহরে নাশকতা ও মন্দির ভাংচুর ঘটনায় জড়িত থাকায় উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী বিলাল হোসাইনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ভোর রাতে হাড়গাড়ি এলাকা থেকে তাকে আটক করে। আটকের পর গতকাল ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। জানা গেছে, আলমডাঙ্গা শহরে চারতলার মোড়ে মন্দির ভাংচুর ও নাশকতার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমারী ইউনিয়নের হাড়গাড়ি গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে উপজেলা জামাতের সেক্রেটারী বিলাল হোসাইন কে গ্রেফতার করে । তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে চুয়াডাঙ্গা জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, আলমডাঙ্গা মন্দির ভাংচুর ঘটনায় বিলাল হোসাইনকে নিয়ে মোট ৭ জন কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন- এরশাদপুর মাগরুপাড়ার হাবিবুর রহমানের ছেলে রাজিবুল ইসলাম (৩৪), একই গ্রামের চাষীপাড়ার রমজান আলীর ছেলে মারফত আলী (২৯) ও শরিয়াতুল ইসলাম (৪০), কালিদাসপুর দক্ষিনপাড়ার আকরাম হোসেনের ছেলে সুমন (৩৫), আসাননগর গ্রামের নুরুল ইসলামের ২ ছেলে সোহাগ (২২) ও আবুল কালাম (২১) কে বিশেষ আটক করে। আটকের পর তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আলমডাঙ্গার পল্ল বিদ্যুৎ অফিসের পাশে ৩ দিনব্যাপী তাফসির কোরআন মাহফিলের আয়োজন করে ওই এলাকার লোকজন। থানা পুলিশ ৩ দিনের তাফসির মাহফিলের অনুমতি দিলেও জামায়াত নেতা মাওলানা আমির হামজার অনুমতি ছিলোনা বলে পুলিশ জানান। প্রথম দিন শান্তিপূর্ণভাবে মাহফিল অনুষ্ঠিত হবার পর দ্বিতীয় দিন আয়োজক কমিটি পুলিশের নিষেধ উপেক্ষা করে মাওলানা আমির হামজাকে দিয়ে ওয়াজ করানোর চেষ্টা করে। পুলিশ জামাত নেতা মাওলানা আমির হামজা কে ওয়াজ করতে নিষেধের পর জামায়াত শিবিরের কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক কর্তৃক আলমডাঙ্গার চারতলার মোড়ের সিসি ক্যামেরা ভাংচুর, সত্যনারায়ন মন্দিরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, অধিকারী মিষ্টান্ন ভান্ডারের বেসিন ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মহাবুবুর রহমানসহ বিভিন্ন কর্মকর্তরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরদিন হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ অজ্ঞাত ৩০/৪০জনকে অজ্ঞাত আসামী বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে।