ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

উপজেলায়ও চমক!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫৯:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
  • / ৩৩৪ বার পড়া হয়েছে

নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীদের বেশিরভাগই নতুন মুখ
সমীকরণ প্রতিবেদন:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নে চমক ছিল। নির্বাচনে বিস্ময়কর বিজয়ের পর সরকার গঠনেও চমক ছিল। সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী বাছাইয়ে পুরনোরা প্রায় সবাই বাদ পড়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, দল ও সরকারে নতুন রক্ত সঞ্চালনের স্বার্থেই নতুনদের সুযোগ দেয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নে চমক দেখালেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এখানেও নতুনদের ছড়াছড়ি। বাদ পড়ছেন পুরনো বেশিরভাগ র্প্রার্থীই, এদের অনেকেই বর্তমান চেয়ারম্যান। উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে সরগরম হয়ে উঠছে দেশের তৃণমূল পর্যায়ের রাজনীতি। সরগরম সারা দেশ। প্রথমবারের মতো নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতীকে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বত্র উৎসবের আমেজ। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন কার্যালয়, অফিস-আদালতসহ সবখানে উপজেলা নির্বাচনের হাওয়া বইছে। আর নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই মুখরিত হয়ে উঠছে গ্রামীণ জনপদ।
১০ মার্চ ৮৭টি উপজেলায় ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১২৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে আগামী ১৮ মার্চ। তৃতীয় ধাপে ২৪ মার্চ, চতুর্থ ধাপে ৩১ মার্চ হবে ভোটগ্রহণ। পঞ্চম ও শেষ ধাপের ভোট হবে ১৮ জুন। উপজেলা নির্বাচনে দুই দফায় ২০৯ জন প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। তবে সংশ্লিষ্টদের মতে, স্থানীয় এই নির্বাচনে প্রচ্ছন্ন প্রার্থী দেবে তারা। তৃণমূল নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলের শরিকরা ভিন্ন ভিন্নভাবে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। বিএনপি ও এর নেতৃত্বাধীন জোট-ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিলেও সরকারি দল আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দল এবং মহাজোটের শরিক দল ও সংগঠন বসেই নেই। তাদের সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বিভিন্নভাবে লবিং করছেন মনোনয়ন পেতে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সরকারি দলের প্রার্থী। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে মরিয়া অনেকেই। যেসব জায়গায় মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়নি, সেসব জায়গায় মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে চালাচ্ছেন জোর তদবির। নির্বাচনে প্রার্থী নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ক্ষমতাসীন দল ও সংগঠনে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। দল ও সংগঠনের ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলার নেতারা প্রার্থী হতে চান। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ।
অন্যদিকে অনানুষ্ঠানিক প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগের ২০৯ জন প্রার্থীই এখন মাঠে। সবাইকে এলাকায় কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসছে না বলেই মাঠে কাজ করতে হবে না, এমনটা নয়। আমরা চাই জমজমাট নির্বাচন। এদিকে উপজেলা নির্বাচনেও নতুনদের প্রাধান্য দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ ক্ষেত্রেও চমক দেখিয়েছে ক্ষমতাসীন দল। এর আগে উপজেলা নির্বাচনে জয়ী হননি এমন ব্যক্তিদের বাদ দেয়া হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তারাও বাদ পড়েছেন। নৌকার টিকেট পাওয়া অধিকাংশই নতুন মুখ। দলে সক্রিয়, অতীতের আন্দোলনে ত্যাগ স্বীকার এবং ব্যক্তি ও পরিবারের ঐতিহ্য দেখেই মনোনয়ন দিয়েছেন দলীয় হাইকমান্ড। তবে নতুনদের নিয়েও অভিযোগ উঠেছে কোথাও কোথাও। ইতোমধ্যে মনোনয়ন পাওয়াদের মধ্যে যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সদস্যও রয়েছে- এমন অভিযোগও আছে। এ ব্যাপারে ওবায়দুল কাদের বলেন, এমন অভিযোগ থাকলে খতিয়ে দেখব, প্রয়োজনে তাদের মনোনয়ন বাতিল করব। দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে পাকেরহাট কলেজের (সরকারিকরণের ঘোষণা আসা) প্রভাষক মো. শফিউল আজম চৌধুরীকে মনোনয়ন দেয়া নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তারপরও কোনো সমস্যা থাকলে আমরা যাচাই করে দেখব।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

উপজেলায়ও চমক!

আপলোড টাইম : ১০:৫৯:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীদের বেশিরভাগই নতুন মুখ
সমীকরণ প্রতিবেদন:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নে চমক ছিল। নির্বাচনে বিস্ময়কর বিজয়ের পর সরকার গঠনেও চমক ছিল। সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী বাছাইয়ে পুরনোরা প্রায় সবাই বাদ পড়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, দল ও সরকারে নতুন রক্ত সঞ্চালনের স্বার্থেই নতুনদের সুযোগ দেয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নে চমক দেখালেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এখানেও নতুনদের ছড়াছড়ি। বাদ পড়ছেন পুরনো বেশিরভাগ র্প্রার্থীই, এদের অনেকেই বর্তমান চেয়ারম্যান। উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে সরগরম হয়ে উঠছে দেশের তৃণমূল পর্যায়ের রাজনীতি। সরগরম সারা দেশ। প্রথমবারের মতো নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতীকে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বত্র উৎসবের আমেজ। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন কার্যালয়, অফিস-আদালতসহ সবখানে উপজেলা নির্বাচনের হাওয়া বইছে। আর নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই মুখরিত হয়ে উঠছে গ্রামীণ জনপদ।
১০ মার্চ ৮৭টি উপজেলায় ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১২৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে আগামী ১৮ মার্চ। তৃতীয় ধাপে ২৪ মার্চ, চতুর্থ ধাপে ৩১ মার্চ হবে ভোটগ্রহণ। পঞ্চম ও শেষ ধাপের ভোট হবে ১৮ জুন। উপজেলা নির্বাচনে দুই দফায় ২০৯ জন প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। তবে সংশ্লিষ্টদের মতে, স্থানীয় এই নির্বাচনে প্রচ্ছন্ন প্রার্থী দেবে তারা। তৃণমূল নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এ ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলের শরিকরা ভিন্ন ভিন্নভাবে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। বিএনপি ও এর নেতৃত্বাধীন জোট-ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিলেও সরকারি দল আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দল এবং মহাজোটের শরিক দল ও সংগঠন বসেই নেই। তাদের সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বিভিন্নভাবে লবিং করছেন মনোনয়ন পেতে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সরকারি দলের প্রার্থী। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে মরিয়া অনেকেই। যেসব জায়গায় মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়নি, সেসব জায়গায় মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে চালাচ্ছেন জোর তদবির। নির্বাচনে প্রার্থী নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ক্ষমতাসীন দল ও সংগঠনে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। দল ও সংগঠনের ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলার নেতারা প্রার্থী হতে চান। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ।
অন্যদিকে অনানুষ্ঠানিক প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগের ২০৯ জন প্রার্থীই এখন মাঠে। সবাইকে এলাকায় কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসছে না বলেই মাঠে কাজ করতে হবে না, এমনটা নয়। আমরা চাই জমজমাট নির্বাচন। এদিকে উপজেলা নির্বাচনেও নতুনদের প্রাধান্য দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ ক্ষেত্রেও চমক দেখিয়েছে ক্ষমতাসীন দল। এর আগে উপজেলা নির্বাচনে জয়ী হননি এমন ব্যক্তিদের বাদ দেয়া হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তারাও বাদ পড়েছেন। নৌকার টিকেট পাওয়া অধিকাংশই নতুন মুখ। দলে সক্রিয়, অতীতের আন্দোলনে ত্যাগ স্বীকার এবং ব্যক্তি ও পরিবারের ঐতিহ্য দেখেই মনোনয়ন দিয়েছেন দলীয় হাইকমান্ড। তবে নতুনদের নিয়েও অভিযোগ উঠেছে কোথাও কোথাও। ইতোমধ্যে মনোনয়ন পাওয়াদের মধ্যে যুদ্ধাপরাধী পরিবারের সদস্যও রয়েছে- এমন অভিযোগও আছে। এ ব্যাপারে ওবায়দুল কাদের বলেন, এমন অভিযোগ থাকলে খতিয়ে দেখব, প্রয়োজনে তাদের মনোনয়ন বাতিল করব। দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে পাকেরহাট কলেজের (সরকারিকরণের ঘোষণা আসা) প্রভাষক মো. শফিউল আজম চৌধুরীকে মনোনয়ন দেয়া নিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তারপরও কোনো সমস্যা থাকলে আমরা যাচাই করে দেখব।