ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ইসির সামনে সিরিজ নির্বাচন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৫৮:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
  • / ২৮৯ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ ডেস্ক: আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই নতুন নির্বাচন কমিশনের কাঁধে পড়ছে বড়-ছোট ২৪টি নির্বাচন। এর মধ্যে ১৮ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটির বাঘাইছড়ি পৌরসভা নির্বাচন দিয়ে যাত্রা হবে নতুন ইসির। নির্বাচনী কাজ-কর্ম বুঝে ওঠার আগেই ভোটের চাপে পড়তে হচ্ছে নতুন নির্বাচন কমিশনকে। দায়িত্ব নেওয়ার পরে এত নির্বাচনের চাপ সামলানো নতুন ইসির জন্য চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশ্লেষকরা। এ ছাড়া আগামী ৬ মার্চ দলীয় ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত প্রথম তিন উপজেলা নির্বাচনে বিএনপিসহ সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ইসিকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। এ ছাড়া দিতে হবে নিরপেক্ষতার প্রমাণও। ইসি সচিবালয় জানিয়েছে, পুরনো নির্বাচন কমিশন বিদায়ের আগে জাতীয় সংসদের গাইবান্ধা-১ আসনের উপ-নির্বাচন, একটি পৌরসভা, তিন উপজেলায় সাধারণ নির্বাচন, ১৫ উপজেলায় উপ-নির্বাচনসহ ৪ পৌরসভার উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। ফলে নতুন ইসির কাঁধে পড়েছে ভোটগ্রহণের দায়িত্ব। এ ছাড়া সদ্য মেয়াদ শেষ হওয়া কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন, সুনামগঞ্জ-২ আসনের উপ-নির্বাচনসহ বেশ কিছু পৌরসভা নির্বাচন আগামী তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন উপযোগী হবে। এগুলোতে স্বল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে নতুন কমিশনকে। এ ছাড়া দায়িত্ব নেওয়ার দুই দিন পরে ১৮ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটির বাঘাইছড়ি পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে নানা শঙ্কা কাজ করছে। পাহাড়ের এই পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করাটাও নতুন ইসির জন্য প্রথম চ্যালেঞ্জ হবে। পাহাড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই নির্বাচনকে ঘিরে রয়েছে সহিংসতার শঙ্কাও। জানা গেছে, নতুন ইসি এসব নির্বাচনকে গুরুত্বের সঙ্গেই দেখছেন। এজন্য আগে ভাগেই নির্বাচনী আইন-কানুন পর্যালোচনা করছেন তারা। ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সাংবিধানিক দায়িত্ব নেওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় আইন-কানুন পর্যালোচনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ-খবরও নিচ্ছেন নতুন নির্বাচন কমিশনাররা। এ ছাড়া তারা সদ্য বিদায়ী নির্বাচন কমিশনারদের কাছেও সহযোগিতা চেয়েছেন। ব্যক্তিগতভাবে অনেকে বিদায়ী নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে যোগাযোগও করছেন। গত সোমবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করেন। এই কমিশনের প্রধান বা সিইসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক সচিব কেএম নুরুল হুদা। তার নেতৃত্বে পাঁচজনের এই কমিশন দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন। ইসির সচিবালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, নতুন ইসি দায়িত্ব নেওয়ার দুই দিন পরই রয়েছে একটি পৌরসভা নির্বাচন। তাই দায়িত্ব নেওয়ার দুই দিনের মাথায় একটি সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তাদের আগে প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। ইতিমধ্যে ইসি সচিবালয়ের সঙ্গে নতুন সিইসিসহ অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। এ ছাড়া নতুন সিইসির সঙ্গেও নতুন নির্বাচন কমিশনারদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। নতুন ইসি দায়িত্ব নেওয়ার আগে ইসি সচিবালয় বিভিন্ন নির্বাচনের বিষয়ে প্রয়োাজনীয় কাজকর্ম এগিয়ে রাখছে। এদিকে নতুন নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে সদ্য বিদায়ী কমিশন প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনাররা। এ বিষয়ে বিদায় নেওয়ার একদিন আগে সদ্য সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাবেদ আলী বলেছেন, আমরা মনে করি ইসি সম্মান অর্জন করতে পারে সবার সহযোগিতায়। যদি নতুন ইসি আগের কমিশনের অভিজ্ঞতা চান তা দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নতুন নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, দায়িত্ব নেওয়ার আগে বিভিন্ন আইন-কানুন দেখে নিচ্ছি। তিনি বলেন, নতুন কমিশনে সবাই অভিজ্ঞ ব্যক্তি। এ ছাড়া আমাদের সঙ্গে ইসির সাবেক দুই কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনার হয়েছেন। তাই আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই নির্বাচন করাটাকে চ্যালেঞ্জ মনে করছি না। আশা করছি সব সুন্দরভাবেই হবে। উল্লেখ্য, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি নতুন সিইসি ও চার নির্বাচন কমিশনারের শপথ হবে। এরপরে তারা দায়িত্ব নেবেন। এ ছাড়া সদ্য বিদায়ী ইসির চারজন সদস্য ইতিমধ্যে বিদায় নিয়েছেন। একজন বিদায় নেবেন আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ইসির সামনে সিরিজ নির্বাচন

আপলোড টাইম : ০৪:৫৮:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৭

সমীকরণ ডেস্ক: আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই নতুন নির্বাচন কমিশনের কাঁধে পড়ছে বড়-ছোট ২৪টি নির্বাচন। এর মধ্যে ১৮ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটির বাঘাইছড়ি পৌরসভা নির্বাচন দিয়ে যাত্রা হবে নতুন ইসির। নির্বাচনী কাজ-কর্ম বুঝে ওঠার আগেই ভোটের চাপে পড়তে হচ্ছে নতুন নির্বাচন কমিশনকে। দায়িত্ব নেওয়ার পরে এত নির্বাচনের চাপ সামলানো নতুন ইসির জন্য চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশ্লেষকরা। এ ছাড়া আগামী ৬ মার্চ দলীয় ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত প্রথম তিন উপজেলা নির্বাচনে বিএনপিসহ সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ইসিকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। এ ছাড়া দিতে হবে নিরপেক্ষতার প্রমাণও। ইসি সচিবালয় জানিয়েছে, পুরনো নির্বাচন কমিশন বিদায়ের আগে জাতীয় সংসদের গাইবান্ধা-১ আসনের উপ-নির্বাচন, একটি পৌরসভা, তিন উপজেলায় সাধারণ নির্বাচন, ১৫ উপজেলায় উপ-নির্বাচনসহ ৪ পৌরসভার উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। ফলে নতুন ইসির কাঁধে পড়েছে ভোটগ্রহণের দায়িত্ব। এ ছাড়া সদ্য মেয়াদ শেষ হওয়া কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন, সুনামগঞ্জ-২ আসনের উপ-নির্বাচনসহ বেশ কিছু পৌরসভা নির্বাচন আগামী তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন উপযোগী হবে। এগুলোতে স্বল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে নতুন কমিশনকে। এ ছাড়া দায়িত্ব নেওয়ার দুই দিন পরে ১৮ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটির বাঘাইছড়ি পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে নানা শঙ্কা কাজ করছে। পাহাড়ের এই পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করাটাও নতুন ইসির জন্য প্রথম চ্যালেঞ্জ হবে। পাহাড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই নির্বাচনকে ঘিরে রয়েছে সহিংসতার শঙ্কাও। জানা গেছে, নতুন ইসি এসব নির্বাচনকে গুরুত্বের সঙ্গেই দেখছেন। এজন্য আগে ভাগেই নির্বাচনী আইন-কানুন পর্যালোচনা করছেন তারা। ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সাংবিধানিক দায়িত্ব নেওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় আইন-কানুন পর্যালোচনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ-খবরও নিচ্ছেন নতুন নির্বাচন কমিশনাররা। এ ছাড়া তারা সদ্য বিদায়ী নির্বাচন কমিশনারদের কাছেও সহযোগিতা চেয়েছেন। ব্যক্তিগতভাবে অনেকে বিদায়ী নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে যোগাযোগও করছেন। গত সোমবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করেন। এই কমিশনের প্রধান বা সিইসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক সচিব কেএম নুরুল হুদা। তার নেতৃত্বে পাঁচজনের এই কমিশন দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন। ইসির সচিবালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, নতুন ইসি দায়িত্ব নেওয়ার দুই দিন পরই রয়েছে একটি পৌরসভা নির্বাচন। তাই দায়িত্ব নেওয়ার দুই দিনের মাথায় একটি সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তাদের আগে প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। ইতিমধ্যে ইসি সচিবালয়ের সঙ্গে নতুন সিইসিসহ অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। এ ছাড়া নতুন সিইসির সঙ্গেও নতুন নির্বাচন কমিশনারদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। নতুন ইসি দায়িত্ব নেওয়ার আগে ইসি সচিবালয় বিভিন্ন নির্বাচনের বিষয়ে প্রয়োাজনীয় কাজকর্ম এগিয়ে রাখছে। এদিকে নতুন নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে সদ্য বিদায়ী কমিশন প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনাররা। এ বিষয়ে বিদায় নেওয়ার একদিন আগে সদ্য সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাবেদ আলী বলেছেন, আমরা মনে করি ইসি সম্মান অর্জন করতে পারে সবার সহযোগিতায়। যদি নতুন ইসি আগের কমিশনের অভিজ্ঞতা চান তা দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নতুন নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, দায়িত্ব নেওয়ার আগে বিভিন্ন আইন-কানুন দেখে নিচ্ছি। তিনি বলেন, নতুন কমিশনে সবাই অভিজ্ঞ ব্যক্তি। এ ছাড়া আমাদের সঙ্গে ইসির সাবেক দুই কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনার হয়েছেন। তাই আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই নির্বাচন করাটাকে চ্যালেঞ্জ মনে করছি না। আশা করছি সব সুন্দরভাবেই হবে। উল্লেখ্য, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি নতুন সিইসি ও চার নির্বাচন কমিশনারের শপথ হবে। এরপরে তারা দায়িত্ব নেবেন। এ ছাড়া সদ্য বিদায়ী ইসির চারজন সদস্য ইতিমধ্যে বিদায় নিয়েছেন। একজন বিদায় নেবেন আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ।