ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ইসলামে বিয়ের গুরুত্ব

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৬:০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ মে ২০১৮
  • / ৪৭৫ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক:ইসলামে বিয়ের গুরুত্ব বলে শেষ করার মতো নয়। এটা সামগ্রিকভাবে মানব ঐক্য ও সংহতির প্রাথমিক উৎস। পরিবারের সূচনা বিয়ের মাধ্যমে। আর বিবাহ বন্ধন হচ্ছে পৃথিবীতে মানব বংশধারা টিকিয়ে রাখার একমাত্র বৈধ মাধ্যম। এর মাধ্যমে একজন অপরিচিত নারী ও পুরুষের মাঝে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক স্থাপিত হয়। তখন তারা নানা রকম গোনাহ থেকে বেঁচে থাকতে পারে। কোরান বলে বিয়ে হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার মহাজ্ঞানের এক নিদর্শন। কারণ তা মানব প্রকৃতি এবং চাহিদার প্রতি আল্লাহর অনুমতি, স্বীকৃতি ও ভালোবাসার প্রতীক। বিয়ে সংক্রান্ত আলোচনায় ‘আজওয়ায’ শব্দের ব্যবহার লক্ষ্য করার মতো, যার অর্থ স্বামী বা স্ত্রী, যার মাধ্যমে এটাও প্রমাণিত হয় যে, বিয়ে মানে একটি পারস্পরিক সম্পর্ক। এর মাধ্যমে নর-নারীর মধ্যে মানবিক ও আধ্যাত্মিক সাম্যেরও ইঙ্গিত পাওয়া যায়। কোরানে আরো উল্লেখ আছে, বিয়ে হচ্ছে প্রশান্তি, তৃপ্তি ও নিশ্চয়তার উৎস, যা স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ সম্পর্ক, আকর্ষণ ও ভালোবাসা থেকে আসে। ইসলামে মানব-মানবীর পারস্পরিক ভালোবাসা বৈধ, অনুমোদিত, পবিত্র এবং আল্লাহর রহমত বরকত প্রাপ্ত। আল্লাহ নারী-পুরুষের এই ভালোবাসাকে অনুমতি দেন যতক্ষণ তা অনুমোদিত সীমার মধ্যে চর্চা হয়। বিয়ের পরিণতিতে যে গর্ভসঞ্চার হয় তা ইসলামের দৃষ্টিতে নারীর প্রতি কোনো শাস্তি নয় বরং বিবাহিত দম্পতির আশা আনন্দের উৎস এবং তাদের প্রতি আল্লাহর সন্তুষ্টির পুরস্কার। ইসলাম বৈরাগ্য বা চিরকৌমার্যকে অনুমোদন দেয়নি। আর অননুমোদিত বিষয়কে অনুমোদিত বানাবার চেষ্টা করা মারাত্মক অপরাধ। বিয়ে করার ক্ষেত্রে পুরুষ জাতিকে সতর্ক করে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে শুধু মেয়ের সম্পদ দেখে বিয়ে করে আল্লাহ তার দারিদ্র্য বাড়িয়ে দেবেন। যে শুধু মেয়ের বংশমর্যাদা দেখে বিয়ে করে আল্লাহ তাকে হেয় করবেন। আর যে এমন মেয়ে খুঁজে যে তাকে ভদ্রতা ও সচ্চরিত্র উপহার দেবে অথবা তার এবং তার আত্মীয়দের প্রতি দয়ালু হবে, আল্লাহ তাকে তার স্ত্রীর জন্য এবং তার স্ত্রীকে তার রহমত হিসেবে উপহার দেবেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) নারীদের লক্ষ্য করে বলেছেন, ‘আল্লাহর আনুগত্যের পর নারীর সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে তার স্বামীর প্রতি মমতাময়ী, সুন্দর ও সহাস্য হওয়া। স্বামীর যে কোনো যৌক্তিক আদেশ মেনে নেয়া। এমন নারী স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার সম্পদের হেফাজত করে এবং তার সঙ্গে প্রতিজ্ঞা রক্ষা করে’।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ইসলামে বিয়ের গুরুত্ব

আপলোড টাইম : ০৬:০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ মে ২০১৮

ধর্ম ডেস্ক:ইসলামে বিয়ের গুরুত্ব বলে শেষ করার মতো নয়। এটা সামগ্রিকভাবে মানব ঐক্য ও সংহতির প্রাথমিক উৎস। পরিবারের সূচনা বিয়ের মাধ্যমে। আর বিবাহ বন্ধন হচ্ছে পৃথিবীতে মানব বংশধারা টিকিয়ে রাখার একমাত্র বৈধ মাধ্যম। এর মাধ্যমে একজন অপরিচিত নারী ও পুরুষের মাঝে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক স্থাপিত হয়। তখন তারা নানা রকম গোনাহ থেকে বেঁচে থাকতে পারে। কোরান বলে বিয়ে হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার মহাজ্ঞানের এক নিদর্শন। কারণ তা মানব প্রকৃতি এবং চাহিদার প্রতি আল্লাহর অনুমতি, স্বীকৃতি ও ভালোবাসার প্রতীক। বিয়ে সংক্রান্ত আলোচনায় ‘আজওয়ায’ শব্দের ব্যবহার লক্ষ্য করার মতো, যার অর্থ স্বামী বা স্ত্রী, যার মাধ্যমে এটাও প্রমাণিত হয় যে, বিয়ে মানে একটি পারস্পরিক সম্পর্ক। এর মাধ্যমে নর-নারীর মধ্যে মানবিক ও আধ্যাত্মিক সাম্যেরও ইঙ্গিত পাওয়া যায়। কোরানে আরো উল্লেখ আছে, বিয়ে হচ্ছে প্রশান্তি, তৃপ্তি ও নিশ্চয়তার উৎস, যা স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ সম্পর্ক, আকর্ষণ ও ভালোবাসা থেকে আসে। ইসলামে মানব-মানবীর পারস্পরিক ভালোবাসা বৈধ, অনুমোদিত, পবিত্র এবং আল্লাহর রহমত বরকত প্রাপ্ত। আল্লাহ নারী-পুরুষের এই ভালোবাসাকে অনুমতি দেন যতক্ষণ তা অনুমোদিত সীমার মধ্যে চর্চা হয়। বিয়ের পরিণতিতে যে গর্ভসঞ্চার হয় তা ইসলামের দৃষ্টিতে নারীর প্রতি কোনো শাস্তি নয় বরং বিবাহিত দম্পতির আশা আনন্দের উৎস এবং তাদের প্রতি আল্লাহর সন্তুষ্টির পুরস্কার। ইসলাম বৈরাগ্য বা চিরকৌমার্যকে অনুমোদন দেয়নি। আর অননুমোদিত বিষয়কে অনুমোদিত বানাবার চেষ্টা করা মারাত্মক অপরাধ। বিয়ে করার ক্ষেত্রে পুরুষ জাতিকে সতর্ক করে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে শুধু মেয়ের সম্পদ দেখে বিয়ে করে আল্লাহ তার দারিদ্র্য বাড়িয়ে দেবেন। যে শুধু মেয়ের বংশমর্যাদা দেখে বিয়ে করে আল্লাহ তাকে হেয় করবেন। আর যে এমন মেয়ে খুঁজে যে তাকে ভদ্রতা ও সচ্চরিত্র উপহার দেবে অথবা তার এবং তার আত্মীয়দের প্রতি দয়ালু হবে, আল্লাহ তাকে তার স্ত্রীর জন্য এবং তার স্ত্রীকে তার রহমত হিসেবে উপহার দেবেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) নারীদের লক্ষ্য করে বলেছেন, ‘আল্লাহর আনুগত্যের পর নারীর সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে তার স্বামীর প্রতি মমতাময়ী, সুন্দর ও সহাস্য হওয়া। স্বামীর যে কোনো যৌক্তিক আদেশ মেনে নেয়া। এমন নারী স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার সম্পদের হেফাজত করে এবং তার সঙ্গে প্রতিজ্ঞা রক্ষা করে’।