ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ইসলামে পিতামাতার অধিকার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৬:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  • / ৪১১ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: কোরান-হাদিসে মাতা-পিতার অধিকারের ব্যাপারে প্রচুর বর্ণনা রয়েছে। এর দ্বারা বুঝা যায়, মা-বাবার হক বা অধিকার কত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেমন কোরানে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করো। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদের ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদের ধমক দিও না এবং বল তাদের শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা’  সূরা বনি ইসরাইল: ২৩। কোরানের অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি মানুষকে পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করার জোর নির্দেশ দিয়েছি। যদি তারা তোমাকে আমার সঙ্গে এমন কিছু শরিক করার জোর প্রচেষ্টা চালায়, যার সম্পর্কে তোমার কোনো জ্ঞান নেই, তবে তাদের আনুগত্য করো না। আমারই দিকে তোমাদের প্রত্যাবর্তন। অতঃপর আমি তোমাদের বলে দেব যা কিছু তোমরা করতে’  সূরা আনকাবুত: ৮। হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, এক ব্যক্তি নবী করিম (সা.)-এর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলো, সদ্ব্যবহার পাওয়ার অধিকার বেশি কোনো মানুষের? তিনি বললেন, তোমার মা। লোকটা বলল, এরপর কে? তিনি বললেন, এরপরও তোমার মা। লোকটা বলল, এরপর কে? তিনি বললেন, এরপরও তোমার মা। লোকটা বলল, এরপর কে? তিনি বললেন, এরপর তোমার বাবা সহিহ বোখারি ও মুসলিম। অন্য আরেক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, এক ব্যক্তি নবী (সা.)-এর কাছে এসে জিহাদের জন্য অনুমতি চাইল। নবী (সা.) বললেন, তোমার পিতা-মাতা জীবিত নাকি? লোকটা বলল, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তাহলে তাদের জন্যই পরিশ্রম করো (এতেই তুমি জিহাদের সওয়াব পাবে)। সহিহ বোখারি ও মুসলিম বৃদ্ধ পিতা-মাতার সেবা-যতœ না করার শাস্তি সম্পর্কেও হাদিসে বলা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক, ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক, ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক। জিজ্ঞাসা করা হলো, কোনো ব্যক্তি ইয়া রাসূলুল্লাহ? উত্তরে বললেন, যে তার বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে পেল অথবা তাদের একজনকে পেল কিন্তু তাদের সেবা-যতœ করে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারল না সহিহ মুসলিম। পিতামাতা আল্লাহর হুকুমের বিপরীত কোনো কাজ করতে হুকুম করলে সেক্ষেত্রে তাদের মানা যাবে না। তবে এক্ষেত্রেও ভদ্রতার সঙ্গে তাদের হুকুমকে এড়িয়ে যেতে হবে। কিছুতেই তাদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করা যাবে না।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ইসলামে পিতামাতার অধিকার

আপলোড টাইম : ১০:০৬:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ধর্ম ডেস্ক: কোরান-হাদিসে মাতা-পিতার অধিকারের ব্যাপারে প্রচুর বর্ণনা রয়েছে। এর দ্বারা বুঝা যায়, মা-বাবার হক বা অধিকার কত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেমন কোরানে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করো। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদের ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদের ধমক দিও না এবং বল তাদের শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা’  সূরা বনি ইসরাইল: ২৩। কোরানের অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি মানুষকে পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করার জোর নির্দেশ দিয়েছি। যদি তারা তোমাকে আমার সঙ্গে এমন কিছু শরিক করার জোর প্রচেষ্টা চালায়, যার সম্পর্কে তোমার কোনো জ্ঞান নেই, তবে তাদের আনুগত্য করো না। আমারই দিকে তোমাদের প্রত্যাবর্তন। অতঃপর আমি তোমাদের বলে দেব যা কিছু তোমরা করতে’  সূরা আনকাবুত: ৮। হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, এক ব্যক্তি নবী করিম (সা.)-এর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলো, সদ্ব্যবহার পাওয়ার অধিকার বেশি কোনো মানুষের? তিনি বললেন, তোমার মা। লোকটা বলল, এরপর কে? তিনি বললেন, এরপরও তোমার মা। লোকটা বলল, এরপর কে? তিনি বললেন, এরপরও তোমার মা। লোকটা বলল, এরপর কে? তিনি বললেন, এরপর তোমার বাবা সহিহ বোখারি ও মুসলিম। অন্য আরেক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, এক ব্যক্তি নবী (সা.)-এর কাছে এসে জিহাদের জন্য অনুমতি চাইল। নবী (সা.) বললেন, তোমার পিতা-মাতা জীবিত নাকি? লোকটা বলল, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তাহলে তাদের জন্যই পরিশ্রম করো (এতেই তুমি জিহাদের সওয়াব পাবে)। সহিহ বোখারি ও মুসলিম বৃদ্ধ পিতা-মাতার সেবা-যতœ না করার শাস্তি সম্পর্কেও হাদিসে বলা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক, ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক, ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক। জিজ্ঞাসা করা হলো, কোনো ব্যক্তি ইয়া রাসূলুল্লাহ? উত্তরে বললেন, যে তার বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে পেল অথবা তাদের একজনকে পেল কিন্তু তাদের সেবা-যতœ করে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারল না সহিহ মুসলিম। পিতামাতা আল্লাহর হুকুমের বিপরীত কোনো কাজ করতে হুকুম করলে সেক্ষেত্রে তাদের মানা যাবে না। তবে এক্ষেত্রেও ভদ্রতার সঙ্গে তাদের হুকুমকে এড়িয়ে যেতে হবে। কিছুতেই তাদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করা যাবে না।