ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ইসলামের প্রত্যাশা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর ২০১৬
  • / ৪৯৬ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: মানুষের জীবন ও সমাজে নৈতিক অবক্ষয়ের প্রভাব অত্যন্ত ব্যাপক। সৎকর্ম, সৎচিন্তা, শুভ ও কল্যাণবোধ যখন মানুষের মন থেকে মুছে যায়, ভালো-মন্দ, পাপ-পুণ্যের পার্থক্য নিরূপণ করার ক্ষমতা যখন সে হারিয়ে ফেলে, তখন মানবসত্তার এই অধঃপতিত অবস্থাকে বলা হয় নৈতিক অবক্ষয় বা অধঃপতন। যে সমাজ বা জনপদের মানুষের নৈতিক অবক্ষয় ঘটে, সেই সমাজ বা জনপদের উন্নতি-অগ্রগতির কোনো আশা থাকে না। মানুষের যখন ভালো-মন্দ, পাপ-পুণ্য কিংবা সত্য-অসত্যের ফারাক বোঝার ক্ষমতা লোপ পায়, তখন সে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ে। তখন তার মধ্যে তাকওয়া বা আল্লাহভীতি থাকে না। আর তাকওয়া ছাড়া অন্তর নিষ্ফলা বিরান মরুভূমির মতো। মানুষের বাহ্যিক গঠন যতই সুন্দর হোক, তাতে কিছু আসে-যায় না। তার অন্তরে যদি ঈমান আর নিরঙ্কুশ তাকওয়া না থাকে, সৎকর্ম ও মানবতার চেতনা এবং সত্য-মিথ্যা, ভালো-মন্দ বাছ-বিচার করার বোধ না থাকে, তাহলে সেই মানুষকে উত্তম মানুষ বা সৃষ্টিকুলের সেরা বলা যায় না। নৈতিক অবক্ষয়ের প্রকাশ যখন বিভিন্নভাবে হতে থাকে তখন পরিবার, নিজ কর্মস্থল, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়, এমনকি আন্তর্জাতিক পরিসরেও সেই অবক্ষয়ের ক্ষত দৃশ্যমান হয়। অন্যদিকে সত্যিকারের তাকওয়াসম্পন্ন ব্যক্তি বড় কোনো অন্যায় কাজ করতে পারে না, অবৈধ পথে সম্পদ উপার্জন করতে পারে না, পরের সম্পদ-সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করতে পারে না, মানুষকে ঠকাতে পারে না, নিপীড়ন-নির্যাতন করতে পারে না, সুদ-ঘুষ, অনাচার-ব্যভিচার কিংবা হারাম রোজগারের ধারে-কাছেও যায় না। কখনো কোনো কারণে ছোট-খাটো ভুল হয়ে গেলেও তারা অনুশোচনায় ব্যাকুল হয়ে ওঠে, পরকালের শাস্তির ভয়ে ভীত হয়ে তারা মহান আল্লাহর দরবারে বারবার ক্ষমা প্রার্থনা করে। আমাদের সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে ভয়াবহ নৈতিক অবক্ষয়ের দেখা দিয়েছে। আমরা ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা পালন করছি, অনেক ভালো ভালো কথা বলছি, কিন্তু অনৈতিক আচরণ থেকে বেরিয়ে আসতে পারছি না। অথচ পরিশুদ্ধ চরিত্র ও মানস গঠনে ইসলাম যে সব সুস্পষ্ট বিধান দিয়েছে, সেগুলো সত্যিকারভাবে অনুসরণ করলে সমাজের এই অবক্ষয় দেখতে হতো না। তাকওয়া বা খোদাভীতির শিক্ষায় বলীয়ান হলে অবক্ষয়ের ক্যানসার নতুন প্রজš§কে এভাবে কুড়ে কুড়ে খেত না। তাই প্রত্যেকের উচিত ইসলামের দিকে ফিরে আসা এবং অবক্ষয়ের মুখ থেকে দেশ জাতি ও সমাজকে রক্ষা করা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ইসলামের প্রত্যাশা

আপলোড টাইম : ০৮:৩৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর ২০১৬

ধর্ম ডেস্ক: মানুষের জীবন ও সমাজে নৈতিক অবক্ষয়ের প্রভাব অত্যন্ত ব্যাপক। সৎকর্ম, সৎচিন্তা, শুভ ও কল্যাণবোধ যখন মানুষের মন থেকে মুছে যায়, ভালো-মন্দ, পাপ-পুণ্যের পার্থক্য নিরূপণ করার ক্ষমতা যখন সে হারিয়ে ফেলে, তখন মানবসত্তার এই অধঃপতিত অবস্থাকে বলা হয় নৈতিক অবক্ষয় বা অধঃপতন। যে সমাজ বা জনপদের মানুষের নৈতিক অবক্ষয় ঘটে, সেই সমাজ বা জনপদের উন্নতি-অগ্রগতির কোনো আশা থাকে না। মানুষের যখন ভালো-মন্দ, পাপ-পুণ্য কিংবা সত্য-অসত্যের ফারাক বোঝার ক্ষমতা লোপ পায়, তখন সে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ে। তখন তার মধ্যে তাকওয়া বা আল্লাহভীতি থাকে না। আর তাকওয়া ছাড়া অন্তর নিষ্ফলা বিরান মরুভূমির মতো। মানুষের বাহ্যিক গঠন যতই সুন্দর হোক, তাতে কিছু আসে-যায় না। তার অন্তরে যদি ঈমান আর নিরঙ্কুশ তাকওয়া না থাকে, সৎকর্ম ও মানবতার চেতনা এবং সত্য-মিথ্যা, ভালো-মন্দ বাছ-বিচার করার বোধ না থাকে, তাহলে সেই মানুষকে উত্তম মানুষ বা সৃষ্টিকুলের সেরা বলা যায় না। নৈতিক অবক্ষয়ের প্রকাশ যখন বিভিন্নভাবে হতে থাকে তখন পরিবার, নিজ কর্মস্থল, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়, এমনকি আন্তর্জাতিক পরিসরেও সেই অবক্ষয়ের ক্ষত দৃশ্যমান হয়। অন্যদিকে সত্যিকারের তাকওয়াসম্পন্ন ব্যক্তি বড় কোনো অন্যায় কাজ করতে পারে না, অবৈধ পথে সম্পদ উপার্জন করতে পারে না, পরের সম্পদ-সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করতে পারে না, মানুষকে ঠকাতে পারে না, নিপীড়ন-নির্যাতন করতে পারে না, সুদ-ঘুষ, অনাচার-ব্যভিচার কিংবা হারাম রোজগারের ধারে-কাছেও যায় না। কখনো কোনো কারণে ছোট-খাটো ভুল হয়ে গেলেও তারা অনুশোচনায় ব্যাকুল হয়ে ওঠে, পরকালের শাস্তির ভয়ে ভীত হয়ে তারা মহান আল্লাহর দরবারে বারবার ক্ষমা প্রার্থনা করে। আমাদের সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে ভয়াবহ নৈতিক অবক্ষয়ের দেখা দিয়েছে। আমরা ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা পালন করছি, অনেক ভালো ভালো কথা বলছি, কিন্তু অনৈতিক আচরণ থেকে বেরিয়ে আসতে পারছি না। অথচ পরিশুদ্ধ চরিত্র ও মানস গঠনে ইসলাম যে সব সুস্পষ্ট বিধান দিয়েছে, সেগুলো সত্যিকারভাবে অনুসরণ করলে সমাজের এই অবক্ষয় দেখতে হতো না। তাকওয়া বা খোদাভীতির শিক্ষায় বলীয়ান হলে অবক্ষয়ের ক্যানসার নতুন প্রজš§কে এভাবে কুড়ে কুড়ে খেত না। তাই প্রত্যেকের উচিত ইসলামের দিকে ফিরে আসা এবং অবক্ষয়ের মুখ থেকে দেশ জাতি ও সমাজকে রক্ষা করা।