ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ইসলামের দৃষ্টিতে ঘুম

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:২৯:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুন ২০১৭
  • / ১৪৩১ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই আল্লাহর ধ্যান ও  খেয়ালের মধ্যে কাটে। এজন্য তাদের প্রতিটি মুহূর্তই ইবাদতে গণ্য হয়। দিনের কর্মব্যস্ততার কারণে অনেক সময় আল্লাহর প্রতি ধ্যান-খেয়াল রাখা সম্ভব হয়ে উঠে না। তবে রাসুল (সা.) মুমিনকে এমন পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়েছেন একজন মুসলমান ঘুমের মধ্যেও আমল করতে পারে। কিছু নির্দিষ্ট আমল করে সুন্নত তরিকায় ঘুমাতে গেলে মুমিনের ঘুমও ইবাদতে গণ্য হয়। হাদিসে আছে, বিছানায় ঘুমাতে যাওয়ার সময় ৩৩ বার ‘সুবহানাল্লাহ’ ৩৩ বার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ এবং ৩৪ বার ‘আল্লাহু আকবার’ বলার আমল করলে রাসুল (সা.) জান্নাতের সুসংবাদ দেন। বুখারি শরিফের বর্ণনায় এসেছে, কেউ রাতে বিছানায় ঘুমাতে যাওয়ার সময় আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে সারা রাত আল্লাহর পক্ষ থেকে তাকে হেফাজত করা হবে এবং কোনো শয়তান তার কাছে আসতে পারবে না। অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, কেউ রাতে সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করলে তা তার জন্য যথেষ্ট হবে। হাদিসে আছে, সুরা কাফিরুন পড়ে ঘুমাতে গেলে আল্লাহ শিরক থেকে মুক্তি দেবেন। আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পড়ে তার দুটি হাত একত্রিত করে ফুঁ দিতেন। এরপর শরীরের যতটুকু স্থান সম্ভব দুই হাত দিয়ে মাসেহ করতেন। মাথা, মুখ ও শরীরের সামনের দিক থেকে শুরু করতেন। এভাবে তিনবার করতেন। ঘুমের আগে ওজু করা একটি সুন্নত আমল। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা তোমাদের দেহকে পবিত্র রাখবে, আল্লাহ তোমাদের পবিত্র করুন। যদি কোনো বান্দা অজু অবস্থায় ঘুমান তবে তার পোশাকের মধ্যে একজন ফেরেশতা শুয়ে থাকেন। রাতে যখনই এ ব্যক্তি নড়াচড়া করে তখনই এ ফেরেশতা বলেন, ‘হে আল্লাহ আপনি এ ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দিন, কারণ সে অজু অবস্থায় ঘুমিয়েছে।’ অন্য হাদিসে আছে, ‘কোনো মুসলিম যখন অজু অবস্থায় ঘুমায় এরপর রাতে কোনো সময় হঠাৎ তার ঘুম ভেঙে যায় এবং সে আল্লাহর কাছে তার জাগতিক বা পারলৌকিক কোনো কল্যাণ কামনা করলে আল্লাহ তাকে তার প্রার্থিত বস্তু দেবেনই।’ হাদিসের নির্দেশিত আমল করে সুন্নত তরিকায় ঘুমালে মুমিনের ঘুমও ইবাদতে গণ্য হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ইসলামের দৃষ্টিতে ঘুম

আপলোড টাইম : ০৪:২৯:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুন ২০১৭

ধর্ম ডেস্ক: মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই আল্লাহর ধ্যান ও  খেয়ালের মধ্যে কাটে। এজন্য তাদের প্রতিটি মুহূর্তই ইবাদতে গণ্য হয়। দিনের কর্মব্যস্ততার কারণে অনেক সময় আল্লাহর প্রতি ধ্যান-খেয়াল রাখা সম্ভব হয়ে উঠে না। তবে রাসুল (সা.) মুমিনকে এমন পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়েছেন একজন মুসলমান ঘুমের মধ্যেও আমল করতে পারে। কিছু নির্দিষ্ট আমল করে সুন্নত তরিকায় ঘুমাতে গেলে মুমিনের ঘুমও ইবাদতে গণ্য হয়। হাদিসে আছে, বিছানায় ঘুমাতে যাওয়ার সময় ৩৩ বার ‘সুবহানাল্লাহ’ ৩৩ বার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ এবং ৩৪ বার ‘আল্লাহু আকবার’ বলার আমল করলে রাসুল (সা.) জান্নাতের সুসংবাদ দেন। বুখারি শরিফের বর্ণনায় এসেছে, কেউ রাতে বিছানায় ঘুমাতে যাওয়ার সময় আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে সারা রাত আল্লাহর পক্ষ থেকে তাকে হেফাজত করা হবে এবং কোনো শয়তান তার কাছে আসতে পারবে না। অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, কেউ রাতে সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করলে তা তার জন্য যথেষ্ট হবে। হাদিসে আছে, সুরা কাফিরুন পড়ে ঘুমাতে গেলে আল্লাহ শিরক থেকে মুক্তি দেবেন। আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পড়ে তার দুটি হাত একত্রিত করে ফুঁ দিতেন। এরপর শরীরের যতটুকু স্থান সম্ভব দুই হাত দিয়ে মাসেহ করতেন। মাথা, মুখ ও শরীরের সামনের দিক থেকে শুরু করতেন। এভাবে তিনবার করতেন। ঘুমের আগে ওজু করা একটি সুন্নত আমল। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা তোমাদের দেহকে পবিত্র রাখবে, আল্লাহ তোমাদের পবিত্র করুন। যদি কোনো বান্দা অজু অবস্থায় ঘুমান তবে তার পোশাকের মধ্যে একজন ফেরেশতা শুয়ে থাকেন। রাতে যখনই এ ব্যক্তি নড়াচড়া করে তখনই এ ফেরেশতা বলেন, ‘হে আল্লাহ আপনি এ ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দিন, কারণ সে অজু অবস্থায় ঘুমিয়েছে।’ অন্য হাদিসে আছে, ‘কোনো মুসলিম যখন অজু অবস্থায় ঘুমায় এরপর রাতে কোনো সময় হঠাৎ তার ঘুম ভেঙে যায় এবং সে আল্লাহর কাছে তার জাগতিক বা পারলৌকিক কোনো কল্যাণ কামনা করলে আল্লাহ তাকে তার প্রার্থিত বস্তু দেবেনই।’ হাদিসের নির্দেশিত আমল করে সুন্নত তরিকায় ঘুমালে মুমিনের ঘুমও ইবাদতে গণ্য হবে।