ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ইসলামের দাওয়াতের গুরুত্ব

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:৫৬:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৯
  • / ২৯২ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: হাদিসে বলা হয়েছে, সর্বোত্তম কথা হলো-আল্লাহর দিকে আহ্বান। আর সর্বোত্তম মানুষ হলো-আল্লাহর দিকে আহ্বানকারী। এ বিষয়ে আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ হলো, ‘ডাক দাও তোমার রবের দিকে হিকমতের সঙ্গে’ (সূরা নাহল : ১২৫)। দাওয়াত প্রসঙ্গে হজরত রাসুলুল্লাহর (সা.) স্পষ্ট নির্দেশ হলো, ‘আমার একটি কথা হলেও তা অন্যের কাছে পৌঁছে দাও।’ দাওয়াত ইহকালীন ও পরকালীন ক্ষতি থেকে বাঁচার অন্যতম শর্ত। দাওয়াতী কাজ নবী-রাসুলদের সুন্নত। দাওয়াতী কাজ মানুষকে জীবনে সফলতার নিশ্চয়তা প্রদান করে। এ বিষয়ে কোরানে কারিমে ইরশাদ হচ্ছে, ‘তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল থাকা উচিত, যারা মানুষকে ভালোর দিকে ডাকে, সৎকাজের আদেশ প্রদান করে এবং অসৎকাজ থেকে ফিরিয়ে রাখে, আর এরাই হচ্ছে সফলকাম।’ -সূরা আল ইমরান : ১০৪ দাওয়াত আত্মসংশোধনের একটি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি। দাওয়াতি কাজে অংশগ্রহণ করলে এ মহান কাজের প্রতি আহ্বানকারী বিবেকের তাড়নায় ক্রমান্বয়ে সংশোধিত করে পূর্ণাঙ্গ মুসলমানে পরিণত করে তোলে। দাওয়াতকারীর দিকে সমাজের হাজার-হাজার চোখ বিশ্লেষণী দৃষ্টিতে তাকায়। এমতাস্থায় তার কথা ও কাজে কোথাও গরমিল থাকলে লোকলজ্জার ভয়, সঙ্গীদের গঠনমূলক সমালোচনা, বিবেকের দংশন, সর্বোপরি ইমানের তাকিদে সে পরিশুদ্ধ হয়ে যায়। আত্মসংশোধনের এ ব্যবহারিক দিকটির গুরুত্ব বিবেচনা করে ইসলাম ইমান গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই এ কাজে অংশগ্রহণের কথা বলে তাগাদাও দিয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ইসলামের দাওয়াতের গুরুত্ব

আপলোড টাইম : ০৩:৫৬:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৯

ধর্ম ডেস্ক: হাদিসে বলা হয়েছে, সর্বোত্তম কথা হলো-আল্লাহর দিকে আহ্বান। আর সর্বোত্তম মানুষ হলো-আল্লাহর দিকে আহ্বানকারী। এ বিষয়ে আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ হলো, ‘ডাক দাও তোমার রবের দিকে হিকমতের সঙ্গে’ (সূরা নাহল : ১২৫)। দাওয়াত প্রসঙ্গে হজরত রাসুলুল্লাহর (সা.) স্পষ্ট নির্দেশ হলো, ‘আমার একটি কথা হলেও তা অন্যের কাছে পৌঁছে দাও।’ দাওয়াত ইহকালীন ও পরকালীন ক্ষতি থেকে বাঁচার অন্যতম শর্ত। দাওয়াতী কাজ নবী-রাসুলদের সুন্নত। দাওয়াতী কাজ মানুষকে জীবনে সফলতার নিশ্চয়তা প্রদান করে। এ বিষয়ে কোরানে কারিমে ইরশাদ হচ্ছে, ‘তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল থাকা উচিত, যারা মানুষকে ভালোর দিকে ডাকে, সৎকাজের আদেশ প্রদান করে এবং অসৎকাজ থেকে ফিরিয়ে রাখে, আর এরাই হচ্ছে সফলকাম।’ -সূরা আল ইমরান : ১০৪ দাওয়াত আত্মসংশোধনের একটি স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি। দাওয়াতি কাজে অংশগ্রহণ করলে এ মহান কাজের প্রতি আহ্বানকারী বিবেকের তাড়নায় ক্রমান্বয়ে সংশোধিত করে পূর্ণাঙ্গ মুসলমানে পরিণত করে তোলে। দাওয়াতকারীর দিকে সমাজের হাজার-হাজার চোখ বিশ্লেষণী দৃষ্টিতে তাকায়। এমতাস্থায় তার কথা ও কাজে কোথাও গরমিল থাকলে লোকলজ্জার ভয়, সঙ্গীদের গঠনমূলক সমালোচনা, বিবেকের দংশন, সর্বোপরি ইমানের তাকিদে সে পরিশুদ্ধ হয়ে যায়। আত্মসংশোধনের এ ব্যবহারিক দিকটির গুরুত্ব বিবেচনা করে ইসলাম ইমান গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই এ কাজে অংশগ্রহণের কথা বলে তাগাদাও দিয়েছে।