ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ইসরাইলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে হামাসের বৈঠক, শান্তি চুক্তি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৩:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১৭৬ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব প্রতিবেদন
ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করেছে ফিলিস্তিনের ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরফলে দুই পক্ষ একে অপরের ওপর কোনো হামলা চালাবেনা বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ শান্তি চুক্তিতে মধ্যস্ততা করেছে কাতার। গত ৬ আগস্ট ইসরাইলের অভ্যন্তরে বিস্ফোরকভর্তি বেলুন হামলা চালায় হামাস। ঘটনার পরদিনই এর জবাবে গাজায় হামাসের স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। এরপর থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে লাগাতার হামলা-পাল্টা হামলা চলছে। তবে নতুন শান্তি চুক্তির ফলে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে বলে আশা করছে বিশ্লেষকরা। ইসরাইলের ওপর হামলার প্রতিশোধ নিতে গাজার ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরো কড়া করেছে দেশটি। দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে শান্তিপূর্ন অবস্থান বজায় ছিল। করোনা মহামারির সময়ে বলতে গেলে কোনো উত্তেজনাই সৃষ্টি হয়নি গাজা ও ইসরাইলের সীমান্তে। তবে ৬ই আগস্ট হঠাত করেই ইসরাইলের অভ্যন্তরে বিস্ফোরকভর্তী বেলুন হামলা চালায় হামাস। এরপরই নতুন করে উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠে। ইসরাইল গাজার অধিবাসীদের জন্য সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ করে দেয়। আরব রাষ্ট্র মিশর ও ইসরাইল দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ করে রেখেছে গাজা উপত্যকাকে। ২০০৭ সালে গাজা দখল করে হামাস। এরপরই মিশর গাজাকে অবরুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে ইসরাইল এখন অবরোধ কঠিন করলেই বিপাকে পরতে হয় গাজাবাসীদের। ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবে হামাসের শীর্ষ নেতারা ইসরাইল সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এতেই দুই পক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় তারা আর কোনো হামলা চালাবেনা। ইসরাইল আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। তবে হামাস জানিয়েছে, আলোচনা সফল হয়েছে। ইসরাইল অবরোধ তুলে নেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। হামাসও ইসরাইলের দাবি মেনে নিয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ইসরাইলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে হামাসের বৈঠক, শান্তি চুক্তি

আপলোড টাইম : ০৯:০৩:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

বিশ্ব প্রতিবেদন
ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করেছে ফিলিস্তিনের ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরফলে দুই পক্ষ একে অপরের ওপর কোনো হামলা চালাবেনা বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ শান্তি চুক্তিতে মধ্যস্ততা করেছে কাতার। গত ৬ আগস্ট ইসরাইলের অভ্যন্তরে বিস্ফোরকভর্তি বেলুন হামলা চালায় হামাস। ঘটনার পরদিনই এর জবাবে গাজায় হামাসের স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। এরপর থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে লাগাতার হামলা-পাল্টা হামলা চলছে। তবে নতুন শান্তি চুক্তির ফলে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে বলে আশা করছে বিশ্লেষকরা। ইসরাইলের ওপর হামলার প্রতিশোধ নিতে গাজার ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরো কড়া করেছে দেশটি। দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে শান্তিপূর্ন অবস্থান বজায় ছিল। করোনা মহামারির সময়ে বলতে গেলে কোনো উত্তেজনাই সৃষ্টি হয়নি গাজা ও ইসরাইলের সীমান্তে। তবে ৬ই আগস্ট হঠাত করেই ইসরাইলের অভ্যন্তরে বিস্ফোরকভর্তী বেলুন হামলা চালায় হামাস। এরপরই নতুন করে উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠে। ইসরাইল গাজার অধিবাসীদের জন্য সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ করে দেয়। আরব রাষ্ট্র মিশর ও ইসরাইল দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ করে রেখেছে গাজা উপত্যকাকে। ২০০৭ সালে গাজা দখল করে হামাস। এরপরই মিশর গাজাকে অবরুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে ইসরাইল এখন অবরোধ কঠিন করলেই বিপাকে পরতে হয় গাজাবাসীদের। ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবে হামাসের শীর্ষ নেতারা ইসরাইল সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এতেই দুই পক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় তারা আর কোনো হামলা চালাবেনা। ইসরাইল আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। তবে হামাস জানিয়েছে, আলোচনা সফল হয়েছে। ইসরাইল অবরোধ তুলে নেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। হামাসও ইসরাইলের দাবি মেনে নিয়েছে।