ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আ.লীগের চূড়ান্ত তালিকা দু-এক দিনের মধ্যেই

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৮
  • / ৩৮৫ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট: আওয়ামী লীগ এরই মধ্যেই ২৩০ আসনে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দিয়েছে। কোনো কোনো আসনে দুইজন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও নানা হিসাব-নিকাশ শেষে একক প্রার্থীও ঠিক করে রেখেছে। ১৪ দলীয় জোটের শরিক এবং জাতীয় পার্টি ও বিকল্পধারাসহ অন্য মিত্রদলগুলোকে কতটি আসন দেওয়া হবে এবং সেসব আসনে কারা প্রার্থী হবেন তাও প্রস্তুত করে রেখেছে দলটি। এখন অপেক্ষা করছে নির্বাচন কমিশনের মনোয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে বাতিল হওয়া প্রার্থীদের আপিল নিষ্পত্তি এবং মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনের। এরপরই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করবে ক্ষমতাসীনরা ও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করবে। ফলে সবার নজর এখন চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকার দিকেই। আওয়ামী লীগ নিজেদের জন্য কয়টি আসন রাখছে, মহাজোটের শরিকদের কয়টি আসন দিচ্ছে, কোন আসনে দলের ও জোটের কে প্রার্থী হচ্ছেন তা জানতে উদগ্রীব সবাই। দলের বাইরে সেদিকে তাকিয়ে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিও। কেননা ক্ষমতাসীনদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর অন্তত ১০০ আসনে প্রার্থী রদবদলের চিন্তা করছে দলটি।
এ ব্যাপারে গত সোমবার দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, দু-একদিনের মধ্যে আমাদের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে পারব। তারপর তারপর জোটগতভাবে আমাদের প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। এমনকি আসন বণ্টন নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে কোনো ধরনের অবিশ্বাস বা দূরত্ব তৈরি হয়নি বলেও জানান এই নেতা। তিনি বলেন, জোটের মধ্যে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এ জোটের মধ্যে অবিশ্বাসের কোনো জায়গা নেই। আর কোনো ধরনের টানাপড়েনও নেই।
দলীয় সূত্রগুলো বলছে, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বরের আগেই দল ও জোটের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। বেশ কিছু আসনে আওয়ামী লীগ দুইজন করে প্রার্থী দিয়েছে। মনোনয়ন না পেয়ে অনেক আসনে দলের বিদ্রোহীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। এর মধ্যে জোট শরিকদের আসনেও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। এদের প্রত্যাহার করে দল ও জোটের একক প্রার্থী নিশ্চিত করেই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। সে হিসাবে ৮ ডিসেম্বর প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হতে পারে। তবে তা প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি শেখ হাসিনার ওপর নির্ভর করছে বলে জানান দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কয়েকজন নেতা। তবে শেষ পর্যন্ত জোটের শরিক ও মিত্র দলগুলো ঠিক কতটি আসন পাচ্ছে বা কীসের ভিত্তিতে আসন সমঝোতা হয়েছে তা এখনো জানে না দলগুলো। এমনকি কীসের ভিত্তিতে আসন সমঝোতা তাও স্পষ্ট করা হয়নি। দলীয় সূত্র মতে, জোটের সব দলকে চূড়ান্ত আসন সমঝোতার বিষয়টি এখনো জানাননি ক্ষমতাসীনরা। তবে এবার সব রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে নিয়ে বিএনপি আঁটসাঁট বেঁধে নির্বাচনে নামায় মহাজোট শরিকদের অল্পতেই তুষ্ট থাকতে হবে বলেও ধারণা দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।
সেক্ষেত্রে জোট শরিক ও জাতীয় পার্টিসহ অন্য মিত্র দলগুলো কতটি আসন পাচ্ছে; জানতে চাইলে দলের নীতিনির্ধারকরা বলেন, শেষ মূহুর্তে মহাজোট শরিকদের জন্য ৫০ থেকে ৫৫টির মতো আসন ছাড়তে পারে আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টিকে (জাপা) ৩৫ থেকে ৪০টি আসন ছাড় দেওয়া হতে পারে। আবার এই সংখ্যা ৩৫ এর নিচেও নামতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত জাতীয় পার্টির জন্য ২৩টি আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে। এসব আসনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি। আর যেসব আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া হবে সেগুলো থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীও প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।

 

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আ.লীগের চূড়ান্ত তালিকা দু-এক দিনের মধ্যেই

আপলোড টাইম : ১১:০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৮

ডেস্ক রিপোর্ট: আওয়ামী লীগ এরই মধ্যেই ২৩০ আসনে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দিয়েছে। কোনো কোনো আসনে দুইজন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও নানা হিসাব-নিকাশ শেষে একক প্রার্থীও ঠিক করে রেখেছে। ১৪ দলীয় জোটের শরিক এবং জাতীয় পার্টি ও বিকল্পধারাসহ অন্য মিত্রদলগুলোকে কতটি আসন দেওয়া হবে এবং সেসব আসনে কারা প্রার্থী হবেন তাও প্রস্তুত করে রেখেছে দলটি। এখন অপেক্ষা করছে নির্বাচন কমিশনের মনোয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে বাতিল হওয়া প্রার্থীদের আপিল নিষ্পত্তি এবং মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনের। এরপরই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করবে ক্ষমতাসীনরা ও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করবে। ফলে সবার নজর এখন চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকার দিকেই। আওয়ামী লীগ নিজেদের জন্য কয়টি আসন রাখছে, মহাজোটের শরিকদের কয়টি আসন দিচ্ছে, কোন আসনে দলের ও জোটের কে প্রার্থী হচ্ছেন তা জানতে উদগ্রীব সবাই। দলের বাইরে সেদিকে তাকিয়ে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিও। কেননা ক্ষমতাসীনদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর অন্তত ১০০ আসনে প্রার্থী রদবদলের চিন্তা করছে দলটি।
এ ব্যাপারে গত সোমবার দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, দু-একদিনের মধ্যে আমাদের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে পারব। তারপর তারপর জোটগতভাবে আমাদের প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। এমনকি আসন বণ্টন নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে কোনো ধরনের অবিশ্বাস বা দূরত্ব তৈরি হয়নি বলেও জানান এই নেতা। তিনি বলেন, জোটের মধ্যে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এ জোটের মধ্যে অবিশ্বাসের কোনো জায়গা নেই। আর কোনো ধরনের টানাপড়েনও নেই।
দলীয় সূত্রগুলো বলছে, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বরের আগেই দল ও জোটের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। বেশ কিছু আসনে আওয়ামী লীগ দুইজন করে প্রার্থী দিয়েছে। মনোনয়ন না পেয়ে অনেক আসনে দলের বিদ্রোহীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। এর মধ্যে জোট শরিকদের আসনেও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। এদের প্রত্যাহার করে দল ও জোটের একক প্রার্থী নিশ্চিত করেই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। সে হিসাবে ৮ ডিসেম্বর প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হতে পারে। তবে তা প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি শেখ হাসিনার ওপর নির্ভর করছে বলে জানান দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কয়েকজন নেতা। তবে শেষ পর্যন্ত জোটের শরিক ও মিত্র দলগুলো ঠিক কতটি আসন পাচ্ছে বা কীসের ভিত্তিতে আসন সমঝোতা হয়েছে তা এখনো জানে না দলগুলো। এমনকি কীসের ভিত্তিতে আসন সমঝোতা তাও স্পষ্ট করা হয়নি। দলীয় সূত্র মতে, জোটের সব দলকে চূড়ান্ত আসন সমঝোতার বিষয়টি এখনো জানাননি ক্ষমতাসীনরা। তবে এবার সব রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে নিয়ে বিএনপি আঁটসাঁট বেঁধে নির্বাচনে নামায় মহাজোট শরিকদের অল্পতেই তুষ্ট থাকতে হবে বলেও ধারণা দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।
সেক্ষেত্রে জোট শরিক ও জাতীয় পার্টিসহ অন্য মিত্র দলগুলো কতটি আসন পাচ্ছে; জানতে চাইলে দলের নীতিনির্ধারকরা বলেন, শেষ মূহুর্তে মহাজোট শরিকদের জন্য ৫০ থেকে ৫৫টির মতো আসন ছাড়তে পারে আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টিকে (জাপা) ৩৫ থেকে ৪০টি আসন ছাড় দেওয়া হতে পারে। আবার এই সংখ্যা ৩৫ এর নিচেও নামতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত জাতীয় পার্টির জন্য ২৩টি আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে। এসব আসনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি। আর যেসব আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া হবে সেগুলো থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীও প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।