ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আসছে বর্ষা, বাড়বে বৃষ্টিপাত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুন ২০২০
  • / ১৭২ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
গত বুধবার বিকেলে থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বর্ষণ হয়েছে। তারপর থেকে সারা দেশেই দফায় দফায় মুষলধারে বর্ষণ হচ্ছে। দু-একদিন পর এই বর্ষণ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান জানান, ওয়েস্টার্ন ডিস্টার্বেন্স তথা পশ্চিম লঘুচাপের কারণে এই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টিপাতের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকবে। ৭ জুন একটু কমবে। এরপর থেকে আরো বাড়বে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। এদিকে গ্রীষ্মের শেষ ঘোষণা দিয়ে বর্ষা আসছে আগামী সপ্তাহে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দেশের টেকনাফ উপকূল দিয়ে ঘটতে পারে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর আগমন। এতে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই বর্ষার পুরো আবির্ভাব ঘটতে পারে।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু দেশের ওপর ছড়িয়ে পড়তে চলতি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় লাগবে। এরপর শুরু হবে মূল বর্ষা মৌসুম। আর তখন প্রায় দিনই বৃষ্টি হবে থেমে থেমে। অন্য এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিমি বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, দেশের প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানির উচ্চতা বাড়ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা পানি বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। আর ব্রহ্মপুত্র, যমুনার পানি কিছুটা হ্রাস পাচ্ছে। তবে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, বরাক উপত্যকা এবং সিকিমের বর্ষণ বাড়লে বাড়বে দেশের অধিকাংশ নদ-নদীর পানি। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে কুমিল্লায় ৬৬ মিলিমিটার। এছাড়া ঢাকায় ২২, নেত্রকোনায় ৩৪, চট্টগ্রামে ৩০, শ্রীমঙ্গলে ৫২, খেপুপাড়ায় ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আসছে বর্ষা, বাড়বে বৃষ্টিপাত

আপলোড টাইম : ১০:৫৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুন ২০২০

সমীকরণ প্রতিবেদন:
গত বুধবার বিকেলে থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বর্ষণ হয়েছে। তারপর থেকে সারা দেশেই দফায় দফায় মুষলধারে বর্ষণ হচ্ছে। দু-একদিন পর এই বর্ষণ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান জানান, ওয়েস্টার্ন ডিস্টার্বেন্স তথা পশ্চিম লঘুচাপের কারণে এই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টিপাতের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকবে। ৭ জুন একটু কমবে। এরপর থেকে আরো বাড়বে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। এদিকে গ্রীষ্মের শেষ ঘোষণা দিয়ে বর্ষা আসছে আগামী সপ্তাহে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দেশের টেকনাফ উপকূল দিয়ে ঘটতে পারে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর আগমন। এতে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই বর্ষার পুরো আবির্ভাব ঘটতে পারে।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু দেশের ওপর ছড়িয়ে পড়তে চলতি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় লাগবে। এরপর শুরু হবে মূল বর্ষা মৌসুম। আর তখন প্রায় দিনই বৃষ্টি হবে থেমে থেমে। অন্য এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিমি বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, দেশের প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানির উচ্চতা বাড়ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা পানি বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। আর ব্রহ্মপুত্র, যমুনার পানি কিছুটা হ্রাস পাচ্ছে। তবে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, বরাক উপত্যকা এবং সিকিমের বর্ষণ বাড়লে বাড়বে দেশের অধিকাংশ নদ-নদীর পানি। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে কুমিল্লায় ৬৬ মিলিমিটার। এছাড়া ঢাকায় ২২, নেত্রকোনায় ৩৪, চট্টগ্রামে ৩০, শ্রীমঙ্গলে ৫২, খেপুপাড়ায় ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।