ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আসছে ফোরজি, কেমন হবে ইন্টারনেটে গতির মান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪৩:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
  • / ৪৫৮ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক: কয়েক দিনের মধ্যে চতুর্থ প্রজন্মের নেটওয়ার্ক বা ফোরজি সেবা আওতায় আসবে বাংলাদেশ। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি দেশে চতুর্থ প্রজন্মের নেটওয়ার্ক বা ফোরজি সেবা চালু হবে। তবে চলমান থ্রিজির গ্রাহক সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সেখানে ফোরজি কি সঠিক মানের সেবা দিতে পারবে। ফোরজিতে ইন্টারনেটের মান কতটা বাড়াবে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ বুধবার এক বিবৃতিতে বলেন, মঙ্গলবার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ফোরজির তরঙ্গ নিলাম করেছে। এতে অংশ নিয়েছে দুটি অপারেটর। রবি এয়ারটেলের সঙ্গে একীভূত হওয়ায় তাদের তরঙ্গ সব অপারেটরের চেয়ে বেশি ৩৬.৪ মেগাহার্টজ ছিল। নিলামে গ্রামীণফোন ১৮০০ ব্যান্ডের ৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গ কেনে। এতে গ্রামীণফোনের তরঙ্গের পরিমাণ দাঁড়ালো ৩৭ মেগাহার্টজ। আর বাংলালিংক ১৮০০ ব্যান্ডের ৫.৬ মেগাহার্টজ ও ২১০০ ব্যান্ডের ৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গ কিনেছে। এতে বাংলালিংকের তরঙ্গের পরিমাণ দাঁড়ালো ৩০.৬ মেগাহার্টজ। তরঙ্গের প্রতিযোগিতায় গ্রামীণফোন রবির চেয়ে এখন ০.৬ মেগাহার্টজ বেশি। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন এতোদিন ধরে রবি ৩৬.৪ মেগাহার্টজ দিয়ে যে থ্রিজি সেবা গ্রাহকদের দিয়েছে সেটার মান কি থ্রিজি পর্যায়ে ছিল? এ পরিমাণ তরঙ্গ ইন্টারনেটের গতি ছিল সর্বোচ্চ ৫ এমবিপিএস। ফোরজির জন্য গতি নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ এমবিপিএস। যেখানে এতদিন এই তরঙ্গ দিয়ে গড়ে ৬ এমবিপিএস গতিই আনা গেল না, সেখানে একই পরিমাণ তরঙ্গ দিয়ে বর্তমান বিটিএস ব্যবহার করে কিভাবে ইন্টারনেটের মান বাড়াবে ফোরজি?
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, তরঙ্গ বিক্রি করে সরকার ৫৪২৩ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে যা পরোক্ষভাবে জনগণের কাছ থেকেই আদায় করা হয়েছে। তারপরও নিয়ন্ত্রণ কমিশন ও অপারেটররা গ্রাহকদের মিথ্যা তথ্য ও আশ্বাস দিচ্ছে। যা অত্যন্ত দুঃখ ও লজ্জাজনক। কারণ ২০এমবিপিএস গতি পেতে প্রয়োজন ৬০ মেগাহার্টজ তরঙ্গের। বর্তমান বিশ্বে ১৮০টি দেশে ফোরজি চালু আছে। তাতে গড় গতি ১৬.৬ এমবিপিএস। সবচেয়ে গতি বেশি আছে সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়ায় যথাক্রমে ৪৬.৬৪ ও ৪৫.৮৫ এমবিপিএস। এছাড়া হাঙ্গেরিতে ৪২ এমবিপিএস।
বাংলাদেশের প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেটের বর্তমান গতি ২.১ এমবিপিএস বা আরও কম। আরও সমস্যার মধ্যে ফোরজি সম্বলিত হ্যান্ডসেটের অপর্যাপ্ততা, ফোরজি সিম পরিবর্তন, বিটিএস তৈরিসহ বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যার সমাধান না করেই ফোরজি চালুর ঘোষণা গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মনে করে সংগঠনটি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আসছে ফোরজি, কেমন হবে ইন্টারনেটে গতির মান

আপলোড টাইম : ০৯:৪৩:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

প্রযুক্তি ডেস্ক: কয়েক দিনের মধ্যে চতুর্থ প্রজন্মের নেটওয়ার্ক বা ফোরজি সেবা আওতায় আসবে বাংলাদেশ। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি দেশে চতুর্থ প্রজন্মের নেটওয়ার্ক বা ফোরজি সেবা চালু হবে। তবে চলমান থ্রিজির গ্রাহক সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সেখানে ফোরজি কি সঠিক মানের সেবা দিতে পারবে। ফোরজিতে ইন্টারনেটের মান কতটা বাড়াবে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ বুধবার এক বিবৃতিতে বলেন, মঙ্গলবার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ফোরজির তরঙ্গ নিলাম করেছে। এতে অংশ নিয়েছে দুটি অপারেটর। রবি এয়ারটেলের সঙ্গে একীভূত হওয়ায় তাদের তরঙ্গ সব অপারেটরের চেয়ে বেশি ৩৬.৪ মেগাহার্টজ ছিল। নিলামে গ্রামীণফোন ১৮০০ ব্যান্ডের ৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গ কেনে। এতে গ্রামীণফোনের তরঙ্গের পরিমাণ দাঁড়ালো ৩৭ মেগাহার্টজ। আর বাংলালিংক ১৮০০ ব্যান্ডের ৫.৬ মেগাহার্টজ ও ২১০০ ব্যান্ডের ৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গ কিনেছে। এতে বাংলালিংকের তরঙ্গের পরিমাণ দাঁড়ালো ৩০.৬ মেগাহার্টজ। তরঙ্গের প্রতিযোগিতায় গ্রামীণফোন রবির চেয়ে এখন ০.৬ মেগাহার্টজ বেশি। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন এতোদিন ধরে রবি ৩৬.৪ মেগাহার্টজ দিয়ে যে থ্রিজি সেবা গ্রাহকদের দিয়েছে সেটার মান কি থ্রিজি পর্যায়ে ছিল? এ পরিমাণ তরঙ্গ ইন্টারনেটের গতি ছিল সর্বোচ্চ ৫ এমবিপিএস। ফোরজির জন্য গতি নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ এমবিপিএস। যেখানে এতদিন এই তরঙ্গ দিয়ে গড়ে ৬ এমবিপিএস গতিই আনা গেল না, সেখানে একই পরিমাণ তরঙ্গ দিয়ে বর্তমান বিটিএস ব্যবহার করে কিভাবে ইন্টারনেটের মান বাড়াবে ফোরজি?
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, তরঙ্গ বিক্রি করে সরকার ৫৪২৩ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে যা পরোক্ষভাবে জনগণের কাছ থেকেই আদায় করা হয়েছে। তারপরও নিয়ন্ত্রণ কমিশন ও অপারেটররা গ্রাহকদের মিথ্যা তথ্য ও আশ্বাস দিচ্ছে। যা অত্যন্ত দুঃখ ও লজ্জাজনক। কারণ ২০এমবিপিএস গতি পেতে প্রয়োজন ৬০ মেগাহার্টজ তরঙ্গের। বর্তমান বিশ্বে ১৮০টি দেশে ফোরজি চালু আছে। তাতে গড় গতি ১৬.৬ এমবিপিএস। সবচেয়ে গতি বেশি আছে সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়ায় যথাক্রমে ৪৬.৬৪ ও ৪৫.৮৫ এমবিপিএস। এছাড়া হাঙ্গেরিতে ৪২ এমবিপিএস।
বাংলাদেশের প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেটের বর্তমান গতি ২.১ এমবিপিএস বা আরও কম। আরও সমস্যার মধ্যে ফোরজি সম্বলিত হ্যান্ডসেটের অপর্যাপ্ততা, ফোরজি সিম পরিবর্তন, বিটিএস তৈরিসহ বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যার সমাধান না করেই ফোরজি চালুর ঘোষণা গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মনে করে সংগঠনটি।