ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আশুরার তাৎপর্য

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৪৭:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০১৭
  • / ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: বছরের যে কয়েকটি দিন অত্যন্ত তাৎপর্য ও ফজিলতের এর মধ্যে আশুরা বা মহরম মাসের ১০ তারিখ অন্যতম। সৃষ্টির শুরু থেকে নিয়ে এই তারিখে অগণিত ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, যাতে এই দিনের তাৎপর্য বেড়েছে অনেক গুণ। পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ঘটনাবহুল দিন আশুরা। আল্লাহ এই দিনের ইবাদত বিশেষভাবে গ্রহণ করে থাকেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘রমজানের পর সর্বোত্তম রোজা হচ্ছে মহরমের (১০ তারিখ) রোজা।’ আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুল (সা.) কে রোজা রাখার জন্য এত অধিক আগ্রহী হতে দেখিনি যত দেখেছি এই আশুরার দিন এবং এই মাস অর্থাৎ রমজান মাসের রোজার প্রতি।’ নবী করিম (সা.) স্পষ্ট বলেছেন, ‘আশুরার দিনের রোজার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশা করি, তিনি পূর্ববর্তী এক বছরের পাপ ক্ষমা করে দেবেন।’ ইসলামের আগের যুগেও আশুরার রোজা ছিল। রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগে আশুরার রোজা ফরজ ছিল। অনেকে শুধু কারবালার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আশুরার দিবসের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন। কারবালার ঘটনার কারণে আশুরার তাৎপর্য ও আবেদন অনেকাংশে বেড়েছে নিঃসন্দেহে; তবে আশুরার দিনে অগণিত ঘটনার সম্মিলন ঘটেছে। অনেক নবী-রাসুলের স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই দিবসটির সঙ্গে। এ জন্য ইসলামী কায়দায় এই দিনটি স্মরণ করা ইবাদত। কোরান-হাদিসে এই দিনটি যেভাবে কাটানোর কথা বলা হয়েছে সেভাবে কাটালেই এই দিনের ফজিলত ও তাৎপর্য অর্জন সম্ভব। মনগড়াভাবে এবং প্রথানির্ভর দিবস হিসেবে আশুরা পালন করলে এর দ্বারা কোনো ফায়দা হবে না। আশুরার দিন শরীয়তসম্মত ইবাদত হলো রোজা রাখা। তবে এই রোজা নফল, এটাকে জরুরি মনে করা যাবে না। এছাড়া এই দিনের নফল ইবাদত অন্য যে কোনো দিনের চেয়ে উত্তম। এ ক্ষেত্রে নফল নামাজ, কোরান তেলাওয়াত, দান-সদকা ইত্যাদি করা যেতে পারে। এই দিনে সাধ্যানুযায়ী পরিবারের সদস্যদের জন্য ভালো খাবারের ব্যবস্থা করাও ইবাদতের শামিল। কারবালার ঘটনাকে সামনে রেখে এই দিনে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থানের দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করা যেতে পারে। হুসাইন (রা.) ব্যক্তিগত কোনো স্বার্থে নয়, সত্যের পতাকা বুলন্দ করার জন্যই শাহাদাত অর্জন করেছিলেন। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে আশুরা দিবসে যেসব ঘটনা ঘটেছে সব শিক্ষাকে জীবনের পাথেয় হিসেবে গ্রহণ করাই হোক এ দিনের প্রত্যয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আশুরার তাৎপর্য

আপলোড টাইম : ১২:৪৭:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০১৭

ধর্ম ডেস্ক: বছরের যে কয়েকটি দিন অত্যন্ত তাৎপর্য ও ফজিলতের এর মধ্যে আশুরা বা মহরম মাসের ১০ তারিখ অন্যতম। সৃষ্টির শুরু থেকে নিয়ে এই তারিখে অগণিত ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, যাতে এই দিনের তাৎপর্য বেড়েছে অনেক গুণ। পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ঘটনাবহুল দিন আশুরা। আল্লাহ এই দিনের ইবাদত বিশেষভাবে গ্রহণ করে থাকেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘রমজানের পর সর্বোত্তম রোজা হচ্ছে মহরমের (১০ তারিখ) রোজা।’ আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুল (সা.) কে রোজা রাখার জন্য এত অধিক আগ্রহী হতে দেখিনি যত দেখেছি এই আশুরার দিন এবং এই মাস অর্থাৎ রমজান মাসের রোজার প্রতি।’ নবী করিম (সা.) স্পষ্ট বলেছেন, ‘আশুরার দিনের রোজার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশা করি, তিনি পূর্ববর্তী এক বছরের পাপ ক্ষমা করে দেবেন।’ ইসলামের আগের যুগেও আশুরার রোজা ছিল। রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগে আশুরার রোজা ফরজ ছিল। অনেকে শুধু কারবালার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আশুরার দিবসের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন। কারবালার ঘটনার কারণে আশুরার তাৎপর্য ও আবেদন অনেকাংশে বেড়েছে নিঃসন্দেহে; তবে আশুরার দিনে অগণিত ঘটনার সম্মিলন ঘটেছে। অনেক নবী-রাসুলের স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই দিবসটির সঙ্গে। এ জন্য ইসলামী কায়দায় এই দিনটি স্মরণ করা ইবাদত। কোরান-হাদিসে এই দিনটি যেভাবে কাটানোর কথা বলা হয়েছে সেভাবে কাটালেই এই দিনের ফজিলত ও তাৎপর্য অর্জন সম্ভব। মনগড়াভাবে এবং প্রথানির্ভর দিবস হিসেবে আশুরা পালন করলে এর দ্বারা কোনো ফায়দা হবে না। আশুরার দিন শরীয়তসম্মত ইবাদত হলো রোজা রাখা। তবে এই রোজা নফল, এটাকে জরুরি মনে করা যাবে না। এছাড়া এই দিনের নফল ইবাদত অন্য যে কোনো দিনের চেয়ে উত্তম। এ ক্ষেত্রে নফল নামাজ, কোরান তেলাওয়াত, দান-সদকা ইত্যাদি করা যেতে পারে। এই দিনে সাধ্যানুযায়ী পরিবারের সদস্যদের জন্য ভালো খাবারের ব্যবস্থা করাও ইবাদতের শামিল। কারবালার ঘটনাকে সামনে রেখে এই দিনে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থানের দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করা যেতে পারে। হুসাইন (রা.) ব্যক্তিগত কোনো স্বার্থে নয়, সত্যের পতাকা বুলন্দ করার জন্যই শাহাদাত অর্জন করেছিলেন। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে আশুরা দিবসে যেসব ঘটনা ঘটেছে সব শিক্ষাকে জীবনের পাথেয় হিসেবে গ্রহণ করাই হোক এ দিনের প্রত্যয়।