ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আল্লাহ প্রদত্ত বিধান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০২:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুলাই ২০১৮
  • / ৩৯১ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: মা তার মাতৃত্বের কারণে শ্রদ্ধা, সম্মান ও সুন্দর আচরণ পাওয়ার অধিকারী। তাই ‘মা’ নারী ও পুরুষ সবার কাছে মর্যাদার শিখরে অধিষ্ঠিত। এ দুনিয়ায় একমাত্র মায়ের কোল হচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়স্থল। মাতৃস্নেহ এক অপূর্ব নিয়ামত। মা স্নেহের পরশ দিয়ে সন্তানের হৃদয়কোণে স্বস্তি, সান্ত¡না ও প্রশান্তি উপহার দেয়। সন্তানকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলেন। দশ মাস গর্ভে ধারণ করে মা তার কলিজার টুকরোকে হৃদয়ের তন্ত্রী ছিঁড়ে অসহনীয় যন্ত্রণা ভোগ করে জীবন-মরণের ঝুঁকি নিয়ে প্রসব বেদনার অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করে এ পৃথিবীতে ভূমিষ্ট করেন। জন্মের পর থেকে বুকের দুধ পান করিয়ে তিল তিল করে বড় করে তোলেন। মায়ের এ কষ্ট তাকে নিজেকে বহন করতে হয়। তাই মায়ের সম্মান, ইজ্জত ও ন্যায়সঙ্গত অধিকার নিশ্চিতকল্পে ইসলাম চূড়ান্ত ঘোষণা দিয়ে বলেছে, ‘মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশত।’ ইসলাম ধর্ম মায়ের সেবার নির্দেশ দিয়েছে এবং মর্যাদাগত দিক দিয়ে মায়ের সেবাকে আল্লাহর ইবাদতের পরই স্থান দিয়েছে। মায়ের অধিকার আদায় করা সন্তানের ওপর ফরজ। এ অধিকার আদায়ে অবহেলা করা কবিরা গুনাহ। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘তোমার রব সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে, তাকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করো না। আর তোমার মা-বাবার সঙ্গে সদাচরণ করবে। তাদের মধ্যে একজন অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদের ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদের ধমক দিও না বরং তাদের সঙ্গে ভদ্রোচিত কথা বলো।’ পিতা-মাতার খুশি ও অখুশির সঙ্গে আল্লাহ পাকের খুশি-অখুশি জড়িত। এ প্রসঙ্গে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি পিতা-মাতার সন্তুষ্টির মধ্যে এবং আল্লাহর অসন্তুষ্টি পিতা-মাতার অসন্তুষ্টির মধ্যেই নিহিত।’ অন্য আরেক হাদিসে আছে, হজরত মুয়াবিয়া ইবনে জাহিমা সালামি (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হজরত রাসুলুল্লাহর (সা.) কাছে এসে বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, আমি আপনার সঙ্গে জিহাদে শরিক হতে চাই, যাতে আমি আল্লাহর সন্তুষ্টি ও আখেরাতের মঙ্গল লাভ করব। তিনি বললেন, আফসোস তোমার জন্য, তোমার কি মা জীবিত আছেন? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, ফিরে যাও, গিয়ে তার খিদমত করোৃ আফসোস তোমার জন্য। তার পায়ের কাছে পড়ে থাকো, সেখানেই জান্নাত।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আল্লাহ প্রদত্ত বিধান

আপলোড টাইম : ০৯:০২:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুলাই ২০১৮

ধর্ম ডেস্ক: মা তার মাতৃত্বের কারণে শ্রদ্ধা, সম্মান ও সুন্দর আচরণ পাওয়ার অধিকারী। তাই ‘মা’ নারী ও পুরুষ সবার কাছে মর্যাদার শিখরে অধিষ্ঠিত। এ দুনিয়ায় একমাত্র মায়ের কোল হচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়স্থল। মাতৃস্নেহ এক অপূর্ব নিয়ামত। মা স্নেহের পরশ দিয়ে সন্তানের হৃদয়কোণে স্বস্তি, সান্ত¡না ও প্রশান্তি উপহার দেয়। সন্তানকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলেন। দশ মাস গর্ভে ধারণ করে মা তার কলিজার টুকরোকে হৃদয়ের তন্ত্রী ছিঁড়ে অসহনীয় যন্ত্রণা ভোগ করে জীবন-মরণের ঝুঁকি নিয়ে প্রসব বেদনার অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করে এ পৃথিবীতে ভূমিষ্ট করেন। জন্মের পর থেকে বুকের দুধ পান করিয়ে তিল তিল করে বড় করে তোলেন। মায়ের এ কষ্ট তাকে নিজেকে বহন করতে হয়। তাই মায়ের সম্মান, ইজ্জত ও ন্যায়সঙ্গত অধিকার নিশ্চিতকল্পে ইসলাম চূড়ান্ত ঘোষণা দিয়ে বলেছে, ‘মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশত।’ ইসলাম ধর্ম মায়ের সেবার নির্দেশ দিয়েছে এবং মর্যাদাগত দিক দিয়ে মায়ের সেবাকে আল্লাহর ইবাদতের পরই স্থান দিয়েছে। মায়ের অধিকার আদায় করা সন্তানের ওপর ফরজ। এ অধিকার আদায়ে অবহেলা করা কবিরা গুনাহ। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘তোমার রব সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে, তাকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করো না। আর তোমার মা-বাবার সঙ্গে সদাচরণ করবে। তাদের মধ্যে একজন অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদের ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদের ধমক দিও না বরং তাদের সঙ্গে ভদ্রোচিত কথা বলো।’ পিতা-মাতার খুশি ও অখুশির সঙ্গে আল্লাহ পাকের খুশি-অখুশি জড়িত। এ প্রসঙ্গে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি পিতা-মাতার সন্তুষ্টির মধ্যে এবং আল্লাহর অসন্তুষ্টি পিতা-মাতার অসন্তুষ্টির মধ্যেই নিহিত।’ অন্য আরেক হাদিসে আছে, হজরত মুয়াবিয়া ইবনে জাহিমা সালামি (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হজরত রাসুলুল্লাহর (সা.) কাছে এসে বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, আমি আপনার সঙ্গে জিহাদে শরিক হতে চাই, যাতে আমি আল্লাহর সন্তুষ্টি ও আখেরাতের মঙ্গল লাভ করব। তিনি বললেন, আফসোস তোমার জন্য, তোমার কি মা জীবিত আছেন? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, ফিরে যাও, গিয়ে তার খিদমত করোৃ আফসোস তোমার জন্য। তার পায়ের কাছে পড়ে থাকো, সেখানেই জান্নাত।’