ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আল্লাহর সাহায্য

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২২:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০১৯
  • / ২৭৬ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: প্রতিটি মানুষই আল্লাহর প্রতি মুখাপেক্ষী। আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহর কৃপা ও দয়ার দরকার পড়ে। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া আমাদের চলার কোনো উপায় নেই। তবে আল্লাহ কাউকে ততক্ষণ পর্যন্ত সাহায্য-সহযোগিতা করেন না, যতক্ষণ না কেউ আল্লাহর নির্দেশমতো কাজ করে। এটা দুনিয়ারও নিয়ম। কাজ ছাড়া ফল ভোগ করার আশা করাই বোকামি। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি এ দুনিয়াতে কোনো নেক আমল করলে আমি ওই নেক আমলের পুরস্কার ও সওয়াব দশগুণ দিয়ে থাকি। পক্ষান্তরে কোনো খারাপ আমল করলে আমি তার শাস্তি দিয়ে থাকি। এ শাস্তি আমি দুই গুণও করি না; বরং সমান সমান শাস্তি দিই; উপরন্তু ক্ষেত্রবিশেষ ক্ষমাও করে দিই।’ হাদিসে আছে, প্রত্যেক মানুষের সঙ্গে দু’জন ফেরেশতা থাকেন। একজন তার নেক আমলগুলো এবং অপরজন বদ আমলগুলো লিখেন। নেকি লেখার কাজে নিয়োজিত ফেরেশতাকে নির্দেশ দিয়ে রাখা হয়েছে বান্দা যখন নেক আমল করবে, তখন সঙ্গে সঙ্গে তা লিখে ফেলবে। পক্ষান্তরে বদ আমল লেখার কাজে নিয়োজিত ফেরেশেতাকে এ মর্মে নির্দেশ দিয়ে রাখা হয়েছে, বান্দা যখন কোনো গুনাহ করবে, তখন লেখার আগে নেক লেখক ফেরেশতাকে জিজ্ঞেস করে নেবেÑএটা লেখবে কিনা। দেখুন, আল্লাহ বান্দার সঙ্গে কত সহজ আচরণ করেন। কারণ তিনি কোনো বান্দাকে শাস্তি দিতে চান না। আল্লাহ বান্দাকে ক্ষমা করে দেয়ার পথ খোঁজেন। তিনি দেখতে চান বান্দা তার পথে চলে কিনা, বান্দা নিজের অংশের কাজ করে কিনা। বান্দার কাজ হলো প্রাথমিক পদক্ষেপ নেয়া আর আল্লাহর কাজ হলো দয়া করে তাকে পূর্ণতায় পৌঁছিয়ে দেয়া। বান্দা যদি তার প্রাথমিক কাজটা করে, বাকি পথে আল্লাহ তাকে সাহায্য করবে। সুতরাং যে বান্দা চেষ্টা করবে না, হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকবে; তার জন্য আল্লাহর কোনো ওয়াদা নেই। আল্লাহ বলেন, ‘যারা আমার পথে প্রচেষ্টা চালায়, আমি তাদের হাত ধরে আমার পথে নিয়ে আসি।’ বান্দাকে দুটি কাজ করতে হবে। নিজের পক্ষ থেকে কদম বাড়াতে হবে। আল্লাহকে পাওয়ার চেষ্টা চালাতে হবে। আর আল্লাহর বেশি বেশি সাহায্য চাইতে হবে। গোটা জীবনে এ দুটি কাজ করতে থাকলে ইনশাআল্লাহ বান্দা সফল।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আল্লাহর সাহায্য

আপলোড টাইম : ০৯:২২:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০১৯

ধর্ম ডেস্ক: প্রতিটি মানুষই আল্লাহর প্রতি মুখাপেক্ষী। আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহর কৃপা ও দয়ার দরকার পড়ে। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া আমাদের চলার কোনো উপায় নেই। তবে আল্লাহ কাউকে ততক্ষণ পর্যন্ত সাহায্য-সহযোগিতা করেন না, যতক্ষণ না কেউ আল্লাহর নির্দেশমতো কাজ করে। এটা দুনিয়ারও নিয়ম। কাজ ছাড়া ফল ভোগ করার আশা করাই বোকামি। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি এ দুনিয়াতে কোনো নেক আমল করলে আমি ওই নেক আমলের পুরস্কার ও সওয়াব দশগুণ দিয়ে থাকি। পক্ষান্তরে কোনো খারাপ আমল করলে আমি তার শাস্তি দিয়ে থাকি। এ শাস্তি আমি দুই গুণও করি না; বরং সমান সমান শাস্তি দিই; উপরন্তু ক্ষেত্রবিশেষ ক্ষমাও করে দিই।’ হাদিসে আছে, প্রত্যেক মানুষের সঙ্গে দু’জন ফেরেশতা থাকেন। একজন তার নেক আমলগুলো এবং অপরজন বদ আমলগুলো লিখেন। নেকি লেখার কাজে নিয়োজিত ফেরেশতাকে নির্দেশ দিয়ে রাখা হয়েছে বান্দা যখন নেক আমল করবে, তখন সঙ্গে সঙ্গে তা লিখে ফেলবে। পক্ষান্তরে বদ আমল লেখার কাজে নিয়োজিত ফেরেশেতাকে এ মর্মে নির্দেশ দিয়ে রাখা হয়েছে, বান্দা যখন কোনো গুনাহ করবে, তখন লেখার আগে নেক লেখক ফেরেশতাকে জিজ্ঞেস করে নেবেÑএটা লেখবে কিনা। দেখুন, আল্লাহ বান্দার সঙ্গে কত সহজ আচরণ করেন। কারণ তিনি কোনো বান্দাকে শাস্তি দিতে চান না। আল্লাহ বান্দাকে ক্ষমা করে দেয়ার পথ খোঁজেন। তিনি দেখতে চান বান্দা তার পথে চলে কিনা, বান্দা নিজের অংশের কাজ করে কিনা। বান্দার কাজ হলো প্রাথমিক পদক্ষেপ নেয়া আর আল্লাহর কাজ হলো দয়া করে তাকে পূর্ণতায় পৌঁছিয়ে দেয়া। বান্দা যদি তার প্রাথমিক কাজটা করে, বাকি পথে আল্লাহ তাকে সাহায্য করবে। সুতরাং যে বান্দা চেষ্টা করবে না, হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকবে; তার জন্য আল্লাহর কোনো ওয়াদা নেই। আল্লাহ বলেন, ‘যারা আমার পথে প্রচেষ্টা চালায়, আমি তাদের হাত ধরে আমার পথে নিয়ে আসি।’ বান্দাকে দুটি কাজ করতে হবে। নিজের পক্ষ থেকে কদম বাড়াতে হবে। আল্লাহকে পাওয়ার চেষ্টা চালাতে হবে। আর আল্লাহর বেশি বেশি সাহায্য চাইতে হবে। গোটা জীবনে এ দুটি কাজ করতে থাকলে ইনশাআল্লাহ বান্দা সফল।