ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গা পোস্ট অফিসে প্রতারক চক্র সক্রিয় বিধবা খোয়ালেন তিন লাখ টাকা!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২১:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুলাই ২০২০
  • / ১৮০ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গার পোস্ট অফিস থেকে প্রতারণা করে এক নারীর ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এক প্রতারক। গতকাল সোমবার দুপুরের দিকে ওই নারী তাঁর এফডিআরের ভাঙানো টাকা নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করার সময় কাউন্টার থেকে এক প্রতারক প্রতারণা করে ওই টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
জানা গেছে, কলেজপাড়ার মরহুম হারুন অর রশিদের স্ত্রী সেলিন খাতুন তিন লাখ টাকার এফডিআর করেন আলমডাঙ্গা পোস্ট অফিসে। গতকাল তিনি এফডিআর ভাঙিয়ে নিতে ক্যাশ কাউন্টারে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় পোস্টাল অপারেটর টিপু সুলতান তিন লাখ টাকা দেওয়ার সময় সেলিনা খাতুনকে ডাকলে পাশ থেকে এক প্রতারক ওই নারীর সন্তান পরিচয় দিয়ে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে সেলিনা খাতুন পোস্টাল অপারেটর টিপু সুলতানের কাছে টাকার কথা বললে তিনি বলেন, ‘আপনার ছেলে টাকা নেওয়ার কথা বললে, তার কাছে ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে দিয়েছি।’ এই কথা শুনে সেলিনা খাতুনের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ বিষয়ে পোস্ট মাস্টার ফয়জুন নাহার জানান, তিনি একেকটি দায়িত্ব একেকজনের ওপর দিয়েছেন। তারপরও এ ধরনের ঘটনা ঘটলে তিনি এর জন্য দায়ী নন।
তবে সেলিনা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ‘টাকা আমার নামে, ৫ হাজার ১০ হাজার টাকা নয়, ৩ লাখ টাকা। আমি এখানে উপস্থিত, আমাকে না জানিয়ে আমার ছেলের পরিচয় দিল, আপনি তাকে টাকা দিয়ে দেবেন।’ বিষয়টি সন্দেহজনক বলেও দাবি করেন তিনি। সন্দেহের তীর ছুড়েন পোস্টাল অপারেটর টিপু সুলতানের ওপর। উপস্থিত সবাই বিষয়টি সন্দেহের চোখে দেখছেন। আগামীকালের মধ্যে বিধবা সেলিনা খাতুন টাকা না পেলে পোস্টাল অপারেটার টিপু সুলতান ও পোস্ট মাস্টার ফয়জুন নাহারের নামে টাকা আত্মসাতের মামলা করবেন বলে জানান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আলমডাঙ্গা পোস্ট অফিসে প্রতারক চক্র সক্রিয় বিধবা খোয়ালেন তিন লাখ টাকা!

আপলোড টাইম : ০৯:২১:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুলাই ২০২০

আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গার পোস্ট অফিস থেকে প্রতারণা করে এক নারীর ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এক প্রতারক। গতকাল সোমবার দুপুরের দিকে ওই নারী তাঁর এফডিআরের ভাঙানো টাকা নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করার সময় কাউন্টার থেকে এক প্রতারক প্রতারণা করে ওই টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
জানা গেছে, কলেজপাড়ার মরহুম হারুন অর রশিদের স্ত্রী সেলিন খাতুন তিন লাখ টাকার এফডিআর করেন আলমডাঙ্গা পোস্ট অফিসে। গতকাল তিনি এফডিআর ভাঙিয়ে নিতে ক্যাশ কাউন্টারে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় পোস্টাল অপারেটর টিপু সুলতান তিন লাখ টাকা দেওয়ার সময় সেলিনা খাতুনকে ডাকলে পাশ থেকে এক প্রতারক ওই নারীর সন্তান পরিচয় দিয়ে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে সেলিনা খাতুন পোস্টাল অপারেটর টিপু সুলতানের কাছে টাকার কথা বললে তিনি বলেন, ‘আপনার ছেলে টাকা নেওয়ার কথা বললে, তার কাছে ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে দিয়েছি।’ এই কথা শুনে সেলিনা খাতুনের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ বিষয়ে পোস্ট মাস্টার ফয়জুন নাহার জানান, তিনি একেকটি দায়িত্ব একেকজনের ওপর দিয়েছেন। তারপরও এ ধরনের ঘটনা ঘটলে তিনি এর জন্য দায়ী নন।
তবে সেলিনা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ‘টাকা আমার নামে, ৫ হাজার ১০ হাজার টাকা নয়, ৩ লাখ টাকা। আমি এখানে উপস্থিত, আমাকে না জানিয়ে আমার ছেলের পরিচয় দিল, আপনি তাকে টাকা দিয়ে দেবেন।’ বিষয়টি সন্দেহজনক বলেও দাবি করেন তিনি। সন্দেহের তীর ছুড়েন পোস্টাল অপারেটর টিপু সুলতানের ওপর। উপস্থিত সবাই বিষয়টি সন্দেহের চোখে দেখছেন। আগামীকালের মধ্যে বিধবা সেলিনা খাতুন টাকা না পেলে পোস্টাল অপারেটার টিপু সুলতান ও পোস্ট মাস্টার ফয়জুন নাহারের নামে টাকা আত্মসাতের মামলা করবেন বলে জানান।