ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গায় একে এম ফজলুল হক খালের বেহাল দশা! : সংস্কারের অভাবে বসবাসকারীদের দুর্ভোগ চরমে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:২৫:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০১৭
  • / ৪২৬ বার পড়া হয়েছে

কাজল রানা, বেলগাছি প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় আষাঢ়ের অতিবৃষ্টির কারণে একে এম ফজলুল হক খালের পাড়ের বসবাসকারীরা ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছে। ঘন বৃষ্টিতে খালের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মশা ও দুর্গন্ধের কারনে এলাকাটি বসবাসের জন্য অযোগ্য হয়ে পড়ছে বলে জানান খালের পাড়ের বসবাসকারী মানুষ।
সম্প্রতি আষাঢ়ের অঝর বর্ষণে আলমডাঙ্গা পৌরসভা এলাকার বৃষ্টির পানি একে ফজলুল হক খালে গিয়ে পড়ার কারনে, অপরদিকে শহরের বাসাবাড়ির পানিতে খালটি আগেই পরিপূর্ণ থাকায় এ এলাকায় মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। খালটি দীর্ঘ  কয়েক যুগ সংস্কার না করায় পঁচা কাদা আর কচুরী পানার কারণে খালটির স্বাভাবিক পানি নিষ্কাষণ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার ফলে বৃষ্টির পানির সাথে খালের নোংরা ও পচা দূর্গন্ধ যুক্ত পানি ফুলে ফেপে এর দুই পাড়ের বাসাবাড়ি মধ্যে প্রবেশ করছে। এ কারনে এক দিকে যেমন দুর্গন্ধ অন্য দিকে অন্য দিকে মশার উপদ্রবে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। আলমডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ্ব মীর মহি উদ্দিন বিগত ২০১৪ সালে আলমডাঙ্গার পৌরসভার এরশাদপুর থেকে শহরের লাল ব্রিজ পর্যন্ত ৫৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ে একে এম ফজলুল হক খালের সংস্কার কাজ শুরু করেন। খালের পাশে বসবাস কারী কিছু অসাধু ব্যক্তির কারনে সেই সময় সংস্কারের মহৎ উদ্যোগটি ব্যহত হয়। যদিও এরশাদপুর মাঠ হতে আনন্দধাম কালী মন্দির পর্যন্ত পুনঃখনন কাজ সম্পন্ন করা হয়।
সময় মত সংস্কার ও রক্ষনা বেক্ষণ না করার কারনে, কিছু অসাধু মাটি ব্যাবসায়ীদের তৎপরতায় খালের পাড়ের মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ায় মারাত্বক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় খালটি। শহরের প্রধান পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা হিসাবে একেএম ফজলুল হক খালকেই প্রাধান্য দিয়ে  এটির প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে পারলে দিনের পর দিন আলমডাঙ্গা পৌরসভার সৃষ্ঠ জলাবদ্ধতা দূরী করন সম্ভব। বর্তমান সময়ে সারা বাংলাদেশে চিকুন গুনিয়া ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে।  একারনে এখনি যদি এলাকার জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ খালটি সংস্কার না করা হয় তবে দেশের অন্যান্য এলাকার ন্যায় আলমডাঙ্গায় চিকুন গুনিয়া রোগের প্রাদূর্ভাব দেখা দেয়ার আশংকা করছেন অনেকেই। তাই পৌর কর্তৃপক্ষ এই খালটি দ্রুত সংস্কারের নজর দিবে বলে আশা করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আলমডাঙ্গায় একে এম ফজলুল হক খালের বেহাল দশা! : সংস্কারের অভাবে বসবাসকারীদের দুর্ভোগ চরমে

আপলোড টাইম : ০৪:২৫:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০১৭

কাজল রানা, বেলগাছি প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় আষাঢ়ের অতিবৃষ্টির কারণে একে এম ফজলুল হক খালের পাড়ের বসবাসকারীরা ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছে। ঘন বৃষ্টিতে খালের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মশা ও দুর্গন্ধের কারনে এলাকাটি বসবাসের জন্য অযোগ্য হয়ে পড়ছে বলে জানান খালের পাড়ের বসবাসকারী মানুষ।
সম্প্রতি আষাঢ়ের অঝর বর্ষণে আলমডাঙ্গা পৌরসভা এলাকার বৃষ্টির পানি একে ফজলুল হক খালে গিয়ে পড়ার কারনে, অপরদিকে শহরের বাসাবাড়ির পানিতে খালটি আগেই পরিপূর্ণ থাকায় এ এলাকায় মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। খালটি দীর্ঘ  কয়েক যুগ সংস্কার না করায় পঁচা কাদা আর কচুরী পানার কারণে খালটির স্বাভাবিক পানি নিষ্কাষণ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার ফলে বৃষ্টির পানির সাথে খালের নোংরা ও পচা দূর্গন্ধ যুক্ত পানি ফুলে ফেপে এর দুই পাড়ের বাসাবাড়ি মধ্যে প্রবেশ করছে। এ কারনে এক দিকে যেমন দুর্গন্ধ অন্য দিকে অন্য দিকে মশার উপদ্রবে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। আলমডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ্ব মীর মহি উদ্দিন বিগত ২০১৪ সালে আলমডাঙ্গার পৌরসভার এরশাদপুর থেকে শহরের লাল ব্রিজ পর্যন্ত ৫৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ে একে এম ফজলুল হক খালের সংস্কার কাজ শুরু করেন। খালের পাশে বসবাস কারী কিছু অসাধু ব্যক্তির কারনে সেই সময় সংস্কারের মহৎ উদ্যোগটি ব্যহত হয়। যদিও এরশাদপুর মাঠ হতে আনন্দধাম কালী মন্দির পর্যন্ত পুনঃখনন কাজ সম্পন্ন করা হয়।
সময় মত সংস্কার ও রক্ষনা বেক্ষণ না করার কারনে, কিছু অসাধু মাটি ব্যাবসায়ীদের তৎপরতায় খালের পাড়ের মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ায় মারাত্বক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় খালটি। শহরের প্রধান পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা হিসাবে একেএম ফজলুল হক খালকেই প্রাধান্য দিয়ে  এটির প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে পারলে দিনের পর দিন আলমডাঙ্গা পৌরসভার সৃষ্ঠ জলাবদ্ধতা দূরী করন সম্ভব। বর্তমান সময়ে সারা বাংলাদেশে চিকুন গুনিয়া ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে।  একারনে এখনি যদি এলাকার জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ খালটি সংস্কার না করা হয় তবে দেশের অন্যান্য এলাকার ন্যায় আলমডাঙ্গায় চিকুন গুনিয়া রোগের প্রাদূর্ভাব দেখা দেয়ার আশংকা করছেন অনেকেই। তাই পৌর কর্তৃপক্ষ এই খালটি দ্রুত সংস্কারের নজর দিবে বলে আশা করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।