ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গার আহাদকে কুপিয়ে হত্যা : স্ত্রীসহ আটক ৩

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৬:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অগাস্ট ২০১৮
  • / ৪০৮ বার পড়া হয়েছে

কুষ্টিয়ায় ময়নাতদন্ত শেষে আলমডাঙ্গা দারুস সালাম প্রাঙ্গনে দাফন সম্পন্ন
আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গার নাট্যকর্মি হাকিমুল ইসলাম আহাদকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার স্ত্রীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বলে অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়া ইবি থানাধীন মাঝিলা গ্রামের নিজ বাড়ীতে স্ত্রী, জামাইসহ কয়েকজন মিলে তাকে হত্যা করে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্ত্রী খুশি বেগম, জামাই রনি, মেয়ে শালিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত আহাদের মা বাদি হয়ে ৩ জনকে আসামী করে ইবি থানায় মামলা দায়ের করেছে।
নিহত আহাদের মা হামিদা বানু অভিযোগ করে বলেন, কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার মাঝিলা গ্রামের সাবান মোল্লার মেয়ে খুশির সাথে আলমডাঙ্গা হাইরোড এলাকার খন্দকার হাকিমুল ইসলাম আহাদের ২৮ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই আহাদের স্ত্রীর টাকার প্রতি অতিমাত্রায় লোভ লক্ষ্য করা যায়। স্ত্রীর চাহিদানুযায়ী আহাদ তার পৈত্রিক সম্পত্তি দোকানঘর বিক্রি করে ১ লাখ টাকা তার স্ত্রীকে দেয়। এভাবে আহাদের স্ত্রী আহাদকে দিয়ে তার সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে তার পৈত্রিক বাড়ি কুষ্টিয়া ইবি থানাধীন মাঝিলা গ্রামে তার নামে পুরাতন বাড়িসহ জমি কিনে। আহাদের সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি হয়ে গেলে তারা পারিবারিকভাবে আহাদকে হত্যা করার পরিকল্পনা করতে থাকে। গত মঙ্গলবার ঈদের আগের দিন মাঝিলার বাড়িতে গভীর রাতে আহাদকে চরম মারপিট করতে থাকে। একপর্যায়ে স্ত্রী খুশি, তার জামাই রনিসহ পরিবারের সদস্যরা বটি দিয়ে কুপিয়ে তার মাথায় আঘাত করলে আহাদ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মৃত্যুবরণ করে। সকালে পাষ- স্ত্রী খুশি মানুষের চোখে ধুলো দিতে ষ্ট্রোকের গল্প সাজিয়ে স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় স্ত্রী খুশি, তার ভাই বাচ্চু, জামাই রনি আহাদের লাশ নিয়ে দ্রুত চলে যায়। সংবাদ পেয়ে মাঝিল গ্রামেরে বাড়ি পুলিশ ঘিরে রাখে এবং স্থানীয় লোকজনের কাছে তথ্য নেয়। এ ঘটনায় ইবি থানার ওসি আহাদের স্ত্রী খুশি বেগম, জামাই রনি, মেয়ে শালিকাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। আহাদের মা বাদি হয়ে ৩ জনকে আসামী করে ইবি থানায় মামলা দায়ের করে। গত বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়ায় ময়নাতদন্ত শেষে আলমডাঙ্গা দারুস সালাম প্রাঙ্গনে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আলমডাঙ্গার আহাদকে কুপিয়ে হত্যা : স্ত্রীসহ আটক ৩

আপলোড টাইম : ০৯:৩৬:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অগাস্ট ২০১৮

কুষ্টিয়ায় ময়নাতদন্ত শেষে আলমডাঙ্গা দারুস সালাম প্রাঙ্গনে দাফন সম্পন্ন
আলমডাঙ্গা অফিস: আলমডাঙ্গার নাট্যকর্মি হাকিমুল ইসলাম আহাদকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার স্ত্রীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বলে অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়া ইবি থানাধীন মাঝিলা গ্রামের নিজ বাড়ীতে স্ত্রী, জামাইসহ কয়েকজন মিলে তাকে হত্যা করে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্ত্রী খুশি বেগম, জামাই রনি, মেয়ে শালিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত আহাদের মা বাদি হয়ে ৩ জনকে আসামী করে ইবি থানায় মামলা দায়ের করেছে।
নিহত আহাদের মা হামিদা বানু অভিযোগ করে বলেন, কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার মাঝিলা গ্রামের সাবান মোল্লার মেয়ে খুশির সাথে আলমডাঙ্গা হাইরোড এলাকার খন্দকার হাকিমুল ইসলাম আহাদের ২৮ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই আহাদের স্ত্রীর টাকার প্রতি অতিমাত্রায় লোভ লক্ষ্য করা যায়। স্ত্রীর চাহিদানুযায়ী আহাদ তার পৈত্রিক সম্পত্তি দোকানঘর বিক্রি করে ১ লাখ টাকা তার স্ত্রীকে দেয়। এভাবে আহাদের স্ত্রী আহাদকে দিয়ে তার সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে তার পৈত্রিক বাড়ি কুষ্টিয়া ইবি থানাধীন মাঝিলা গ্রামে তার নামে পুরাতন বাড়িসহ জমি কিনে। আহাদের সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি হয়ে গেলে তারা পারিবারিকভাবে আহাদকে হত্যা করার পরিকল্পনা করতে থাকে। গত মঙ্গলবার ঈদের আগের দিন মাঝিলার বাড়িতে গভীর রাতে আহাদকে চরম মারপিট করতে থাকে। একপর্যায়ে স্ত্রী খুশি, তার জামাই রনিসহ পরিবারের সদস্যরা বটি দিয়ে কুপিয়ে তার মাথায় আঘাত করলে আহাদ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মৃত্যুবরণ করে। সকালে পাষ- স্ত্রী খুশি মানুষের চোখে ধুলো দিতে ষ্ট্রোকের গল্প সাজিয়ে স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় স্ত্রী খুশি, তার ভাই বাচ্চু, জামাই রনি আহাদের লাশ নিয়ে দ্রুত চলে যায়। সংবাদ পেয়ে মাঝিল গ্রামেরে বাড়ি পুলিশ ঘিরে রাখে এবং স্থানীয় লোকজনের কাছে তথ্য নেয়। এ ঘটনায় ইবি থানার ওসি আহাদের স্ত্রী খুশি বেগম, জামাই রনি, মেয়ে শালিকাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। আহাদের মা বাদি হয়ে ৩ জনকে আসামী করে ইবি থানায় মামলা দায়ের করে। গত বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়ায় ময়নাতদন্ত শেষে আলমডাঙ্গা দারুস সালাম প্রাঙ্গনে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।