ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গার আসমানখালীতে গরম তেলের ভিতরে পড়ে শিশু দগ্ধ!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:১৪:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৮
  • / ৪২৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: আলমডাঙ্গা উপজেলার আসমানখালী মুচাইনগরে পেয়াজু ভাজার গরম তেল পড়ে দগ্ধ হয়েছে রুনা (৭) নামের এক শিশু। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আসমানখালী মুচাইনগরে রুনার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। গরম তেলে শিশু রুনা গুরুত্বর দগ্ধ হলে পরিবারের সদস্যরা তৎক্ষনিক রুনার শরীরে পানি ঢালে। পরে তকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। গরম তেলে দগ্ধ শিশু আলমডাঙ্গা উপজেলার আসমানখালী মুচাইনগর বিশ্বাসপাড়ার দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে ও আসমানখালী কিন্ডার গার্টেন স্কুলের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন পূর্ব বিকাল থেকে দেলোয়ার হোসেন তার ছেলে সিহাবের সাথে করে নিজ বাড়ির আঙ্গিনাতে একটি চপ, পেয়াজু ভাজার দোকান দেয়। রীতিমত গতকাল বিকালেও দেলোয়র হোসেন ও তার ছেলে সিহাব চপ, পেয়জু বিক্রি করে। চপ, পেয়াজু বিক্রির এক পর্যায়ে সন্ধ্যা নেমে আসে ও বিদ্যুত চলে যাওয়ায় সে সময় দোকান বন্ধ করে দেয়। এ সময় শিশু রুনার মা সায়েরা খাতুন ভাজার দোকান থেকে গরম তেল ভর্তি কড়াই নিয়ে ঘরে যাচ্ছিল। ঠিক তখনই শিশু রুনা দৌড়ে এসে অসর্তকতাবসত মায়ের সাথে ধাক্কা লাগলে সায়েরা খাতুনের হাতে থাকা গরম কড়ায় ভর্তি গরম তেল ছিটকে পড়ে শিশু রুনার শরীরে পড়ে রুনা গুরুত্বর দগ্ধ হয়। এ সময় রুনার পরিবারের সদস্যরা রুনাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। শিশু রুনার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গরম তেলে দগ্ধ রুনা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ছিল।
এদিকে, গরম তেলে দগ্ধ শিশু রুনার ব্যাপারে জানতে চাইলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জাকির হোসেন বলেন, গরম তেলে শিশুটির শরীরের প্রায় ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। শিশুটির বুক, পেট, গলা, ঘারসহ শরিরের বিভিন্ন অংশ গরম তেলে গভীর ক্ষত হয়েছে। শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিসার জন্য তাকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আলমডাঙ্গার আসমানখালীতে গরম তেলের ভিতরে পড়ে শিশু দগ্ধ!

আপলোড টাইম : ১১:১৪:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক: আলমডাঙ্গা উপজেলার আসমানখালী মুচাইনগরে পেয়াজু ভাজার গরম তেল পড়ে দগ্ধ হয়েছে রুনা (৭) নামের এক শিশু। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আসমানখালী মুচাইনগরে রুনার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। গরম তেলে শিশু রুনা গুরুত্বর দগ্ধ হলে পরিবারের সদস্যরা তৎক্ষনিক রুনার শরীরে পানি ঢালে। পরে তকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। গরম তেলে দগ্ধ শিশু আলমডাঙ্গা উপজেলার আসমানখালী মুচাইনগর বিশ্বাসপাড়ার দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে ও আসমানখালী কিন্ডার গার্টেন স্কুলের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন পূর্ব বিকাল থেকে দেলোয়ার হোসেন তার ছেলে সিহাবের সাথে করে নিজ বাড়ির আঙ্গিনাতে একটি চপ, পেয়াজু ভাজার দোকান দেয়। রীতিমত গতকাল বিকালেও দেলোয়র হোসেন ও তার ছেলে সিহাব চপ, পেয়জু বিক্রি করে। চপ, পেয়াজু বিক্রির এক পর্যায়ে সন্ধ্যা নেমে আসে ও বিদ্যুত চলে যাওয়ায় সে সময় দোকান বন্ধ করে দেয়। এ সময় শিশু রুনার মা সায়েরা খাতুন ভাজার দোকান থেকে গরম তেল ভর্তি কড়াই নিয়ে ঘরে যাচ্ছিল। ঠিক তখনই শিশু রুনা দৌড়ে এসে অসর্তকতাবসত মায়ের সাথে ধাক্কা লাগলে সায়েরা খাতুনের হাতে থাকা গরম কড়ায় ভর্তি গরম তেল ছিটকে পড়ে শিশু রুনার শরীরে পড়ে রুনা গুরুত্বর দগ্ধ হয়। এ সময় রুনার পরিবারের সদস্যরা রুনাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। শিশু রুনার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গরম তেলে দগ্ধ রুনা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ছিল।
এদিকে, গরম তেলে দগ্ধ শিশু রুনার ব্যাপারে জানতে চাইলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জাকির হোসেন বলেন, গরম তেলে শিশুটির শরীরের প্রায় ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। শিশুটির বুক, পেট, গলা, ঘারসহ শরিরের বিভিন্ন অংশ গরম তেলে গভীর ক্ষত হয়েছে। শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিসার জন্য তাকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।