ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আরামডাঙ্গা পূর্বপাড়া সমবায় সমিতি’র : ১৩ বিঘা জমি বিক্রির অর্থ আত্মসাৎ!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:১৮:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৭
  • / ৪০৪ বার পড়া হয়েছে

আওয়াল হোসেন/ওয়াসিম রয়েল: কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের আরামডাঙ্গা পূর্বপাড়া সমবায় সমিতি লিমিটেড’র ২২বিঘা জমির মধ্যে ১৩ বিঘা জমি বিক্রি করে অর্থ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্থানে থাকা আরামডাঙ্গা গ্রামের পূর্বপাড়া সমবায় সমিতি লিমিটেড ধীরে ধীরে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। ১৯৭৬ সালে ২০জন সদস্য নিয়ে শুরু হয়। পরবর্তীতে ৫৫জন সদস্য নিয়ে দীর্ঘ ২০ বছরে অনেক পথ পাড়ি দিয়ে বিশাল সম্পদশালী হয়ে ওঠে এই সমিতি। ১৯৯৬ সালে এ সমিতির নেতৃত্ব বদল হয়। এক প্রকার জোরপূর্বক হাজী আনছার আলী মাষ্টার সমিতির দায়িত্ব নেন। এরপর থেকে ধীরে ধীরে ধ্বংসের পথে চলছে তা এলাকা ঘুরে দেখা যায়। সমিতির ২২ বিঘা জমির মধ্যে কার্পাসডাঙ্গা কাষ্টমস মোড় পাড়ায় বেশ কিছু মূল্যবান জমি পানির দরে বিক্রি করেছে বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত হাজী আনছার আলী মাষ্টার, রুহুল আমিন ও শাহজামাল। এমনটি জানালেন আরামডাঙ্গা গ্রামবাসী, কৃষক ও সমিতির সদস্যরা। এলাকা ঘুরে দেখা যায় সেখানে এখন নতুন নতুন ইমরাত গড়ে উঠছে। এছাড়া অভিযোগ করেছেন সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, মুক্তার আলী ও সিরাজুল ইসলাম। এ ব্যাপারে আমরা দামুড়হুদা উপজেলা সমবায় সমিতির কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কৃষি কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কাছে জানিয়েও কোন ফল না পেয়ে ২০১১ সালে এ বিষয়ে একটি মামলা করা হয়েছে, যার নং ৮৮। এ মামলার প্রেক্ষিতে প্রতিপক্ষ হাজী আনছার আলী মাষ্টার, রুহুল আমিন ও শাহজামাল সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে ৬৬লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে পাল্টা মামলা দায়ের করেছে বলে জানা গেছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে হাজী আনছার আলী মাষ্টারের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন আমি কোন কথা বলতে চাই না। সংবাদ পত্রের সাথে কিছু বলতে চাই না। আমি কোন কথাই বলবো না বলে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন। (চলবে…..)

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আরামডাঙ্গা পূর্বপাড়া সমবায় সমিতি’র : ১৩ বিঘা জমি বিক্রির অর্থ আত্মসাৎ!

আপলোড টাইম : ০২:১৮:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৭

আওয়াল হোসেন/ওয়াসিম রয়েল: কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের আরামডাঙ্গা পূর্বপাড়া সমবায় সমিতি লিমিটেড’র ২২বিঘা জমির মধ্যে ১৩ বিঘা জমি বিক্রি করে অর্থ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্থানে থাকা আরামডাঙ্গা গ্রামের পূর্বপাড়া সমবায় সমিতি লিমিটেড ধীরে ধীরে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। ১৯৭৬ সালে ২০জন সদস্য নিয়ে শুরু হয়। পরবর্তীতে ৫৫জন সদস্য নিয়ে দীর্ঘ ২০ বছরে অনেক পথ পাড়ি দিয়ে বিশাল সম্পদশালী হয়ে ওঠে এই সমিতি। ১৯৯৬ সালে এ সমিতির নেতৃত্ব বদল হয়। এক প্রকার জোরপূর্বক হাজী আনছার আলী মাষ্টার সমিতির দায়িত্ব নেন। এরপর থেকে ধীরে ধীরে ধ্বংসের পথে চলছে তা এলাকা ঘুরে দেখা যায়। সমিতির ২২ বিঘা জমির মধ্যে কার্পাসডাঙ্গা কাষ্টমস মোড় পাড়ায় বেশ কিছু মূল্যবান জমি পানির দরে বিক্রি করেছে বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত হাজী আনছার আলী মাষ্টার, রুহুল আমিন ও শাহজামাল। এমনটি জানালেন আরামডাঙ্গা গ্রামবাসী, কৃষক ও সমিতির সদস্যরা। এলাকা ঘুরে দেখা যায় সেখানে এখন নতুন নতুন ইমরাত গড়ে উঠছে। এছাড়া অভিযোগ করেছেন সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, মুক্তার আলী ও সিরাজুল ইসলাম। এ ব্যাপারে আমরা দামুড়হুদা উপজেলা সমবায় সমিতির কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কৃষি কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কাছে জানিয়েও কোন ফল না পেয়ে ২০১১ সালে এ বিষয়ে একটি মামলা করা হয়েছে, যার নং ৮৮। এ মামলার প্রেক্ষিতে প্রতিপক্ষ হাজী আনছার আলী মাষ্টার, রুহুল আমিন ও শাহজামাল সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে ৬৬লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে পাল্টা মামলা দায়ের করেছে বলে জানা গেছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে হাজী আনছার আলী মাষ্টারের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন আমি কোন কথা বলতে চাই না। সংবাদ পত্রের সাথে কিছু বলতে চাই না। আমি কোন কথাই বলবো না বলে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন। (চলবে…..)