ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আম্ফানের আঘাত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪২:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মে ২০২০
  • / ২০০ বার পড়া হয়েছে

ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে হবে
ঘূর্ণিঝড় আম্ফান বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রচন্ড আঘাত হেনেছে। বুধবার বিকাল ৪টা থেকে প্রচন্ড বেগের এই ঘূর্ণিঝড় সুন্দরবন ঘেঁষে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যায়। চার ঘণ্টা ধরে চলে আম্ফানের তান্ডব। রাত ৮টার দিকে ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিবেগ নিয়ে প্রচন্ড বেগে ঘূর্ণিঝড়টি সাতক্ষীরা, খুলনা অঞ্চল অতিক্রম করে। আম্ফানের আঘাতে উপকূলবর্তী এলাকায় বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছিল। কিন্তু সুন্দরবন বুক পেতে দিয়ে অনেকাংশে ঠেকিয়ে দেয় আম্ফানের তান্ডব। পরে ১০০ কিলোমিটারের কম গতি নিয়ে এটি স্থলভাগে এসে নিম্নচাপে পরিণত হয়। অবশ্য এর আগেই প্রবল বাতাসে বিপুলসংখ্যক কাঁচা ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়। স্বাভাবিকের চেয়ে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে যায় উপকূলভাগের ফসল। আম্ফানের প্রভাবে উত্তাল ছিল সাগর ও নদী। মোংলাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ৮ থেকে ১০ ফুট জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। আম্ফানে প্রাথমিকভাবে ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ভোলায় গাছচাপা ও ট্রলারডুবিতে দুজন নিহত এবং পটুয়াখালীতে নৌকাডুবিতে এক উদ্ধারকর্মী ও গাছচাপায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে বরগুনায় একজন এবং চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে জোয়ারের পানিতে ডুবে একজনের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ হয়ে সুন্দরবন ঘেঁষে আম্ফান স্থলভাগে উঠে আসে। সুন্দরবনের কারণে ঘূর্ণিঝড়ের ছোবল অনেকাংশে বাধাপ্রাপ্ত হলেও তা উপকূলভাগের ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে। উপকূলভাগের বিপুলসংখ্যক মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় স্থলে নেওয়ায় প্রাণহানি অনেকাংশে ঠেকানো গেছে। বিশেষত মাছ ধরার ট্রলার বা নৌকাগুলো আগেভাগে নিরাপদ স্থানে নোঙর করা হয়। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে আনার ক্ষেত্রে প্রশাসন ছিল সক্রিয়। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ তৎপরতা চালানো হয় প্রশাসনের তরফ থেকে। করোনাভাইরাসের ছোবলে সাধারণ মানুষের অবস্থা গভীর সংকটের সম্মুখীন। এ দুর্দিনে আম্ফানের আঘাত উপকূলীয় এলাকার বিপুলসংখ্যক মানুষকে অসহায় অবস্থায় ফেলেছে। আমরা আশা করব, ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ কাজে সরকার সাধ্যের সব কিছুই করবে। ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আম্ফানের আঘাত

আপলোড টাইম : ১০:৪২:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ মে ২০২০

ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে হবে
ঘূর্ণিঝড় আম্ফান বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রচন্ড আঘাত হেনেছে। বুধবার বিকাল ৪টা থেকে প্রচন্ড বেগের এই ঘূর্ণিঝড় সুন্দরবন ঘেঁষে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যায়। চার ঘণ্টা ধরে চলে আম্ফানের তান্ডব। রাত ৮টার দিকে ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিবেগ নিয়ে প্রচন্ড বেগে ঘূর্ণিঝড়টি সাতক্ষীরা, খুলনা অঞ্চল অতিক্রম করে। আম্ফানের আঘাতে উপকূলবর্তী এলাকায় বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছিল। কিন্তু সুন্দরবন বুক পেতে দিয়ে অনেকাংশে ঠেকিয়ে দেয় আম্ফানের তান্ডব। পরে ১০০ কিলোমিটারের কম গতি নিয়ে এটি স্থলভাগে এসে নিম্নচাপে পরিণত হয়। অবশ্য এর আগেই প্রবল বাতাসে বিপুলসংখ্যক কাঁচা ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়। স্বাভাবিকের চেয়ে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে যায় উপকূলভাগের ফসল। আম্ফানের প্রভাবে উত্তাল ছিল সাগর ও নদী। মোংলাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ৮ থেকে ১০ ফুট জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। আম্ফানে প্রাথমিকভাবে ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ভোলায় গাছচাপা ও ট্রলারডুবিতে দুজন নিহত এবং পটুয়াখালীতে নৌকাডুবিতে এক উদ্ধারকর্মী ও গাছচাপায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে বরগুনায় একজন এবং চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে জোয়ারের পানিতে ডুবে একজনের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ হয়ে সুন্দরবন ঘেঁষে আম্ফান স্থলভাগে উঠে আসে। সুন্দরবনের কারণে ঘূর্ণিঝড়ের ছোবল অনেকাংশে বাধাপ্রাপ্ত হলেও তা উপকূলভাগের ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে। উপকূলভাগের বিপুলসংখ্যক মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় স্থলে নেওয়ায় প্রাণহানি অনেকাংশে ঠেকানো গেছে। বিশেষত মাছ ধরার ট্রলার বা নৌকাগুলো আগেভাগে নিরাপদ স্থানে নোঙর করা হয়। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে আনার ক্ষেত্রে প্রশাসন ছিল সক্রিয়। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ তৎপরতা চালানো হয় প্রশাসনের তরফ থেকে। করোনাভাইরাসের ছোবলে সাধারণ মানুষের অবস্থা গভীর সংকটের সম্মুখীন। এ দুর্দিনে আম্ফানের আঘাত উপকূলীয় এলাকার বিপুলসংখ্যক মানুষকে অসহায় অবস্থায় ফেলেছে। আমরা আশা করব, ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ কাজে সরকার সাধ্যের সব কিছুই করবে। ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি।