ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আমি আমার দাদা-দাদির কাছেই থাকব

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪০:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০১৭
  • / ৬১৭ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুর আদালতে শিশু মৃদুল’র স্পষ্ট উচ্চারণ

মেহেরপুর অফিস: আদালতে উপস্থিত সকলেই মনে করেছিলেন মৃদুল হয়তো তার মায়ের কাছে থাকার ইচ্ছা পোষন করবে। ৮ বছর বয়সী শিশু মুনতাছির বিল্লা মৃদুলকে বিচারক পাঠান সাইদুজ্জামান তার কাছে ডেকে নিলেন। তার মা তো এক প্রকার নিশ্চিত ছিলেন আদালতের কাঠগড়াই দাঁড়িয়ে, তার কাছেই আসবে ছেলে। কিন্তু না, সকলকে হতবাক করে মৃদুল স্পষ্ট করে উচ্চারণ করলো ‘আমি আমার দাদা-দাদির কাছে থাকব, দাদা-দাদির কাছে আমি ভাল আছি এবং লেখাপড়া করছি।’ বিচারকও আদেশ লিখলেন মৃদুলকে তার দাদার হেফাজতে দেওয়ার।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাঠান সাইদুজ্জামানের আদালতে এ ঘটনা ঘটে। ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল গাংনীর চৌগাছা গ্রামের শিশু মৃদুলের পিতা হাসানুজ্জামান মিলনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পরে নিহত মিলনের পিতা আব্দুল হামিদ মল্লিক তার পুত্রবধু মানছুরা খাতুনসহ ৪ জনকে আসামী করে গাংনী থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তার পুত্রবধু কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পান। এদিকে, নিহত মিলনের একমাত্র পুত্র মৃদুল তার দাদা শ্যামপুর গ্রামের হামিদ মল্লিকের কাছে অবস্থান করে। কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়ে নিহত মিলনের স্ত্রী মানছুরা খাতুন তার সন্তান মৃদুলকে নিজ জিম্মায় পেতে আদালতের স্মরনাপন্ন হন। গতকাল মঙ্গলবার আদালতের শুনানীর এক পর্যায়ে বিচারক শিশু মৃদুলকে কাছে ডেকে নিয়ে কার কছে থাকতে চাও জানতে চাইলে, সে তার দাদার কাছে থাকবে বলে জানিয়ে দেয়। শুনানীতে মানছুরার পক্ষে অ্যাড. শহিদুল ইসলাম, আহসান উল্লাহ, আসাদুল হক এবং বিবাদীর পক্ষে অ্যাড. আব্দুল মতিন, সুজন কুমার কৌসুলী ছিলেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আমি আমার দাদা-দাদির কাছেই থাকব

আপলোড টাইম : ০৯:৪০:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০১৭

মেহেরপুর আদালতে শিশু মৃদুল’র স্পষ্ট উচ্চারণ

মেহেরপুর অফিস: আদালতে উপস্থিত সকলেই মনে করেছিলেন মৃদুল হয়তো তার মায়ের কাছে থাকার ইচ্ছা পোষন করবে। ৮ বছর বয়সী শিশু মুনতাছির বিল্লা মৃদুলকে বিচারক পাঠান সাইদুজ্জামান তার কাছে ডেকে নিলেন। তার মা তো এক প্রকার নিশ্চিত ছিলেন আদালতের কাঠগড়াই দাঁড়িয়ে, তার কাছেই আসবে ছেলে। কিন্তু না, সকলকে হতবাক করে মৃদুল স্পষ্ট করে উচ্চারণ করলো ‘আমি আমার দাদা-দাদির কাছে থাকব, দাদা-দাদির কাছে আমি ভাল আছি এবং লেখাপড়া করছি।’ বিচারকও আদেশ লিখলেন মৃদুলকে তার দাদার হেফাজতে দেওয়ার।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাঠান সাইদুজ্জামানের আদালতে এ ঘটনা ঘটে। ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল গাংনীর চৌগাছা গ্রামের শিশু মৃদুলের পিতা হাসানুজ্জামান মিলনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পরে নিহত মিলনের পিতা আব্দুল হামিদ মল্লিক তার পুত্রবধু মানছুরা খাতুনসহ ৪ জনকে আসামী করে গাংনী থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তার পুত্রবধু কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পান। এদিকে, নিহত মিলনের একমাত্র পুত্র মৃদুল তার দাদা শ্যামপুর গ্রামের হামিদ মল্লিকের কাছে অবস্থান করে। কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়ে নিহত মিলনের স্ত্রী মানছুরা খাতুন তার সন্তান মৃদুলকে নিজ জিম্মায় পেতে আদালতের স্মরনাপন্ন হন। গতকাল মঙ্গলবার আদালতের শুনানীর এক পর্যায়ে বিচারক শিশু মৃদুলকে কাছে ডেকে নিয়ে কার কছে থাকতে চাও জানতে চাইলে, সে তার দাদার কাছে থাকবে বলে জানিয়ে দেয়। শুনানীতে মানছুরার পক্ষে অ্যাড. শহিদুল ইসলাম, আহসান উল্লাহ, আসাদুল হক এবং বিবাদীর পক্ষে অ্যাড. আব্দুল মতিন, সুজন কুমার কৌসুলী ছিলেন।