ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

‘আমার আমলেই কার্পাসডাঙ্গায় নজরুল স্মৃতি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করব’

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০০:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১৬৪ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় কথা ও কবিতায় নজরুল’ শীর্ষক স্মরণ সভায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৪তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে কবির স্মৃতিবিজড়িত কার্পাসডাঙ্গায় অবস্থান ও জীবন দর্শনের ওপর ‘কথা ও কবিতায় নজরুল’ শীর্ষক ভার্চুয়াল স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত আটটায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ‘গাহি সাম্যের গান-মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান’ প্রতিপাদ্যে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জুম ক্লাউড অ্যাপে এ স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত থেকে বক্তব্য দেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেন, ‘আগস্ট মাসেই আমরা বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি, এই মাসেই কবি নজরুলকেও হারিয়েছি। আগস্ট মাস আমাদের থেকে অনেক কিছু কেড়ে নিয়েছে। জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও পরিকল্পনায় সুস্থ মস্তিষ্কে কয়েকজন সেনা সদস্য বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করে। কাজেই কেউ কেউ বলে থাকেন, কিছু বিপথগামী সেনা সদস্য বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছেন, সেটি একেবারেই সঠিক নয়।’ কার্পাসডাঙ্গা নজরুলের স্মৃতিবিজড়িত আটচাল ঘর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর আমি একবার সেখানে গিয়েছি। ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া আটচালা ঘরটিকে মেরামতের যাবতীয় ব্যবস্থা আমরা করব। ইতোমধ্যে আমি খবর নিয়েছি, ঘরটি মেরামতের জন্য তিন লাখ টাকার একটি অনুমোদন আমি দিয়ে দেব। একটি ভাষ্কর্যের জন্য ৫ লাখ টাকার একটি বরাদ্দ দিয়ে রাখব। কার্পাসডাঙ্গায় নজরুল স্মৃতি কেন্দ্র হবে। আমি যদি থাকি, তবে আমার আমলেই প্রতিষ্ঠা করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নজরুল যে অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতেন, তারই প্রতিফলন আমরা পাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রাম ও কর্মে। বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগে নজরুলকে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে আনা হয়। পরে তাঁকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান এবং জাতীয় কবির মর্যাদা দেওয়া হয়।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগর টগর বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীন রাষ্ট্রে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে এসেছিলেন। তাঁর লেখনি বাঙালিকে অনুপ্রেরণা জাগায়। তিনি চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গায় বিখ্যাত লিচু চোর কবিতাটি লিখেছেন। তিনি স্বদেশী আন্দোলনের সঙ্গেও যুক্ত থেকেছেন। জাতীয় কবির চেতনায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আমরা উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলব।’ এ সময় সাংসদ প্রধান অতিথির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘নজরুলের স্মৃতি বিজড়িত স্থানে, একটা নজরুল গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলা, কার্পাসডাঙ্গা মহাবিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে কবি নজরুলের নামে রাখা, ওখানে কবি নজরুল ইসলামের নামে ২০ শয্যার একটি হাসপাতাল করার দাবি আছে এ এলাকার মানুষের।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খুলনা বিভাগীয় কমিশার ড. মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘নজরুল আমাদের অহংকার। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবি নজরুলকে সম্মানিত করেছেন। তিনি কবি নজরুলকে আমাদের করে গেছেন, আমার জাতীয় কবি করেছেন। কার্পাসডাঙ্গায় থেকে কবি নজরুল বহুমাত্রিক কাজ করেছেন। তাঁর স্মৃতি আছে এই স্থানে। তিনি স্বদেশী আন্দোলনের সাথেও যুক্ত ছিলেন। তাঁর স্মৃতি বিজড়িত এই ঘরটিকে ধারণ করার জন্য চুয়াডাঙ্গাবাসীকে ধন্যবাদ।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম চমৎকার চমৎকার রচনা করে গেছেন। তিনি বাংলা ও বাঙালিকে লেখনির মাধ্যমে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। তিনি ছিলেন স্বাধীন বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা আর বঙ্গবন্ধু ছিলেন স্বাধীন বাংলার শ্রষ্ঠা। নজরুল লিখেছেন বিশ্ব জগৎটাকে দেখব আমি হাতের মুঠোয় পুরে, এখন ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে আমরা তা দেখছি। মূলত তিনি ভবিষ্যতের চিন্তাও করতেন। তার লেখনি এবং প্রত্যেকটা লেখায় এখনো অনুপ্রেরণা জাগায় আমাদের। পড়লে যেন মনে শক্ত হতে পারি। মানসিকভাবে শক্তি পাই।’
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন সভার সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গায় বেশ কিছুদিন অবস্থান করেছিলেন। অনেক স্মৃতি আছে তাঁর এখানের। এখানে থেকে তিনিও লেখালেখিও করেছেন। কবি কাজী নজরুল ইসলাম সর্বদায় অনুপ্রেরণামূলক লেখা লিখেছেন। তাঁর প্রত্যেকটি লেখায় শক্তি আছে। যে শক্তি লেখাগুলি আমাদের দেন।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিবানী সরকারের উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক ড. আব্দুর রশিদ ও কার্পাসডাঙ্গা নজরুল স্মৃতি সংঘের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাহিদুল ইসলাম, এনডিসি আমজাদ হোসেন, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল ফেরদৌস, সুরাইয়া মমতাজ, ফিরোজ হোসেন, হাবিবুর রহমান প্রমুখ। অপর দিকে, জুম অ্যাপে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাসহ সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংবাদিক, সুধিজনেরা যুক্ত ছিলেন। স্মরণ সভাটির দ্বিতীয় পর্বে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গায় অবস্থান ও জীবন দর্শনের ওপর আলোচনা করেন অর্থমন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব জিহাদ উদ্দীনসহ অনেকে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

‘আমার আমলেই কার্পাসডাঙ্গায় নজরুল স্মৃতি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করব’

আপলোড টাইম : ০৯:০০:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২০

চুয়াডাঙ্গায় কথা ও কবিতায় নজরুল’ শীর্ষক স্মরণ সভায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৪তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে কবির স্মৃতিবিজড়িত কার্পাসডাঙ্গায় অবস্থান ও জীবন দর্শনের ওপর ‘কথা ও কবিতায় নজরুল’ শীর্ষক ভার্চুয়াল স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত আটটায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ‘গাহি সাম্যের গান-মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান’ প্রতিপাদ্যে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জুম ক্লাউড অ্যাপে এ স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত থেকে বক্তব্য দেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেন, ‘আগস্ট মাসেই আমরা বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি, এই মাসেই কবি নজরুলকেও হারিয়েছি। আগস্ট মাস আমাদের থেকে অনেক কিছু কেড়ে নিয়েছে। জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও পরিকল্পনায় সুস্থ মস্তিষ্কে কয়েকজন সেনা সদস্য বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করে। কাজেই কেউ কেউ বলে থাকেন, কিছু বিপথগামী সেনা সদস্য বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছেন, সেটি একেবারেই সঠিক নয়।’ কার্পাসডাঙ্গা নজরুলের স্মৃতিবিজড়িত আটচাল ঘর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর আমি একবার সেখানে গিয়েছি। ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া আটচালা ঘরটিকে মেরামতের যাবতীয় ব্যবস্থা আমরা করব। ইতোমধ্যে আমি খবর নিয়েছি, ঘরটি মেরামতের জন্য তিন লাখ টাকার একটি অনুমোদন আমি দিয়ে দেব। একটি ভাষ্কর্যের জন্য ৫ লাখ টাকার একটি বরাদ্দ দিয়ে রাখব। কার্পাসডাঙ্গায় নজরুল স্মৃতি কেন্দ্র হবে। আমি যদি থাকি, তবে আমার আমলেই প্রতিষ্ঠা করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নজরুল যে অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতেন, তারই প্রতিফলন আমরা পাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রাম ও কর্মে। বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগে নজরুলকে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে আনা হয়। পরে তাঁকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান এবং জাতীয় কবির মর্যাদা দেওয়া হয়।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগর টগর বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীন রাষ্ট্রে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে এসেছিলেন। তাঁর লেখনি বাঙালিকে অনুপ্রেরণা জাগায়। তিনি চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গায় বিখ্যাত লিচু চোর কবিতাটি লিখেছেন। তিনি স্বদেশী আন্দোলনের সঙ্গেও যুক্ত থেকেছেন। জাতীয় কবির চেতনায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আমরা উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলব।’ এ সময় সাংসদ প্রধান অতিথির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘নজরুলের স্মৃতি বিজড়িত স্থানে, একটা নজরুল গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলা, কার্পাসডাঙ্গা মহাবিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে কবি নজরুলের নামে রাখা, ওখানে কবি নজরুল ইসলামের নামে ২০ শয্যার একটি হাসপাতাল করার দাবি আছে এ এলাকার মানুষের।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খুলনা বিভাগীয় কমিশার ড. মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘নজরুল আমাদের অহংকার। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবি নজরুলকে সম্মানিত করেছেন। তিনি কবি নজরুলকে আমাদের করে গেছেন, আমার জাতীয় কবি করেছেন। কার্পাসডাঙ্গায় থেকে কবি নজরুল বহুমাত্রিক কাজ করেছেন। তাঁর স্মৃতি আছে এই স্থানে। তিনি স্বদেশী আন্দোলনের সাথেও যুক্ত ছিলেন। তাঁর স্মৃতি বিজড়িত এই ঘরটিকে ধারণ করার জন্য চুয়াডাঙ্গাবাসীকে ধন্যবাদ।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম চমৎকার চমৎকার রচনা করে গেছেন। তিনি বাংলা ও বাঙালিকে লেখনির মাধ্যমে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। তিনি ছিলেন স্বাধীন বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা আর বঙ্গবন্ধু ছিলেন স্বাধীন বাংলার শ্রষ্ঠা। নজরুল লিখেছেন বিশ্ব জগৎটাকে দেখব আমি হাতের মুঠোয় পুরে, এখন ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে আমরা তা দেখছি। মূলত তিনি ভবিষ্যতের চিন্তাও করতেন। তার লেখনি এবং প্রত্যেকটা লেখায় এখনো অনুপ্রেরণা জাগায় আমাদের। পড়লে যেন মনে শক্ত হতে পারি। মানসিকভাবে শক্তি পাই।’
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন সভার সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গায় বেশ কিছুদিন অবস্থান করেছিলেন। অনেক স্মৃতি আছে তাঁর এখানের। এখানে থেকে তিনিও লেখালেখিও করেছেন। কবি কাজী নজরুল ইসলাম সর্বদায় অনুপ্রেরণামূলক লেখা লিখেছেন। তাঁর প্রত্যেকটি লেখায় শক্তি আছে। যে শক্তি লেখাগুলি আমাদের দেন।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিবানী সরকারের উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক ড. আব্দুর রশিদ ও কার্পাসডাঙ্গা নজরুল স্মৃতি সংঘের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাহিদুল ইসলাম, এনডিসি আমজাদ হোসেন, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল ফেরদৌস, সুরাইয়া মমতাজ, ফিরোজ হোসেন, হাবিবুর রহমান প্রমুখ। অপর দিকে, জুম অ্যাপে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাসহ সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংবাদিক, সুধিজনেরা যুক্ত ছিলেন। স্মরণ সভাটির দ্বিতীয় পর্বে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গায় অবস্থান ও জীবন দর্শনের ওপর আলোচনা করেন অর্থমন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব জিহাদ উদ্দীনসহ অনেকে।