ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আবেদনকারী বাবা-মায়ের সাথে সাক্ষাত পূর্বক রায় আগামীকাল

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:১৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৩৯১ বার পড়া হয়েছে

প্রবেশনাল অফিসারের দাখিলকৃত কাগজপত্রে ক্রটি থাকায় ভাগ্য নির্ধারণ পেছুলো সেই শিশুর

নিজস্ব প্রতিবেদক: কথা ছিল আদালতের রায় পেলেই মায়ের কোল পাবে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ফেলে রেখে যাওয়া ফুটফুটে ওই কন্যা সন্তান। কিন্তু না! আদালত সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের প্রবেশনাল অফিসারের দাখিলকৃত কাগজপত্র অসম্পূর্ণ থাকায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তা সংশোধন করতে বলেছেন। একই সাথে দত্তক নিতে ইচ্ছুক আবেদকারী তিন দম্পত্তিদের সাথে সাক্ষাত করে যোগ্য প্রার্থীর হাতেই তুলে দেওয়া হবে শিশুটিকে। এ জন্য গতকাল সোমবার শুনানি স্থগিত করে আগামী বুধবার রায় দেওয়ার সময় নির্ধারণ করেছে আদালত। গতকাল সোমবার সকাল থেকে শিশুটির দত্তক নিতে ইচ্ছুক দম্পত্তিরা আদালত প্রাঙ্গনে এসে ঘুরোঘুরি করতে থাকে। বিকাল ৩টা নাগাদ শুনানি শুরু হয়। এ সময় উভয়পক্ষের আইনজীবীরা দ্রুত শিশুটির ভাগ্য নির্ধারণ করে তার বাবা-মায়ের কোলে তুলে দেওয়ার আবেদন জানান। তবে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের প্রবেশনাল অফিসার তার দাখিলকৃত কাগজপত্রে শিশুটি কোন ধর্ম বা গোত্রের তা উল্লেখ করেননি। এ ছাড়াও শিশুটির মায়ের পরিচয় মিললেও তা লিখিত ভাবে না উল্লেখ করায় ভবিষ্যতে এ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা এড়াতে খোঁজ খবর নিয়ে পুনরায় প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। সবমিলিয়ে আগামী বুধবার আদালতের রায় নিয়ে আপন মাতৃক্রোড়ে ঠিকানা পেতে পারে অভাগা শিশুটি। এদিকে জন্মের পর থেকে সদর হাসপাতালের সেবিকাদের নিবীড় পর্যবেক্ষণে রয়েছে শিশুটি। তাকে দেখতে প্রতিদিন হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছে শত শত নারী-পুরুষ। এদের অনেকে শিশুটিকে নিজের করে পেতে চাইলেও সে সুযোগ পাবেন আবেদনকারী তিন দম্পত্তির যে কোন এক দম্পত্তি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আবেদনকারী বাবা-মায়ের সাথে সাক্ষাত পূর্বক রায় আগামীকাল

আপলোড টাইম : ১১:১৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০১৭

প্রবেশনাল অফিসারের দাখিলকৃত কাগজপত্রে ক্রটি থাকায় ভাগ্য নির্ধারণ পেছুলো সেই শিশুর

নিজস্ব প্রতিবেদক: কথা ছিল আদালতের রায় পেলেই মায়ের কোল পাবে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ফেলে রেখে যাওয়া ফুটফুটে ওই কন্যা সন্তান। কিন্তু না! আদালত সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের প্রবেশনাল অফিসারের দাখিলকৃত কাগজপত্র অসম্পূর্ণ থাকায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তা সংশোধন করতে বলেছেন। একই সাথে দত্তক নিতে ইচ্ছুক আবেদকারী তিন দম্পত্তিদের সাথে সাক্ষাত করে যোগ্য প্রার্থীর হাতেই তুলে দেওয়া হবে শিশুটিকে। এ জন্য গতকাল সোমবার শুনানি স্থগিত করে আগামী বুধবার রায় দেওয়ার সময় নির্ধারণ করেছে আদালত। গতকাল সোমবার সকাল থেকে শিশুটির দত্তক নিতে ইচ্ছুক দম্পত্তিরা আদালত প্রাঙ্গনে এসে ঘুরোঘুরি করতে থাকে। বিকাল ৩টা নাগাদ শুনানি শুরু হয়। এ সময় উভয়পক্ষের আইনজীবীরা দ্রুত শিশুটির ভাগ্য নির্ধারণ করে তার বাবা-মায়ের কোলে তুলে দেওয়ার আবেদন জানান। তবে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের প্রবেশনাল অফিসার তার দাখিলকৃত কাগজপত্রে শিশুটি কোন ধর্ম বা গোত্রের তা উল্লেখ করেননি। এ ছাড়াও শিশুটির মায়ের পরিচয় মিললেও তা লিখিত ভাবে না উল্লেখ করায় ভবিষ্যতে এ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা এড়াতে খোঁজ খবর নিয়ে পুনরায় প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। সবমিলিয়ে আগামী বুধবার আদালতের রায় নিয়ে আপন মাতৃক্রোড়ে ঠিকানা পেতে পারে অভাগা শিশুটি। এদিকে জন্মের পর থেকে সদর হাসপাতালের সেবিকাদের নিবীড় পর্যবেক্ষণে রয়েছে শিশুটি। তাকে দেখতে প্রতিদিন হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছে শত শত নারী-পুরুষ। এদের অনেকে শিশুটিকে নিজের করে পেতে চাইলেও সে সুযোগ পাবেন আবেদনকারী তিন দম্পত্তির যে কোন এক দম্পত্তি।