ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আবার বিয়ের পিঁড়িতে গাংনীর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ মে ২০২০
  • / ৫৪৭ বার পড়া হয়েছে

গাংনী অফিস:
আরো একবার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন গাংনী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন। মেহেরপুর সদর উপজেলার শোলমারী গ্রামের আকসারুল হকের ছেলে যুবক গোলাম সরোয়ার সবুজের সঙ্গে গত শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভাইস চেয়ারম্যানের চৌগাছা বাসভবনে ২০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
বর সরোয়ার হোসেন সবুজ এক কন্যা সন্তানের জনক। সম্প্রতি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিনের স্বামী শাহাবুদ্দিন মৃত্যুবরণ করলে তিনি একমাত্র মেয়েকে নিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করছিলেন। শনিবার সকালের দিকে ওই যুবক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতে আসেন। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন যুবক ও ফারহানা ইয়াসমিনকে ওই বাড়িতে আটকে রাখে। যুবকের সঙ্গে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের অনৈতিক সম্পর্কের দাবি করে তার বাড়িতে আটকে রাখা হয়। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিষয়টি পূর্বপরিকল্পিতভাবে সম্মানহানি করা হচ্ছে বলে দাবি করেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন। তাদেরকে ঘরে তালাবন্দি করা লোকজন মারধর করেছে বলেও বিচারের দাবি করেন তিনি।
এদিকে খবর পেয়ে ফারহানা ইয়াসমিন এর বাড়িতে যান মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ খালেক, গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম ও গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ওবায়দুর রহমান। এ সময় তারা ওই যুবক এবং ফারহানা ইয়াসমিনের সাথে আলাদা আলাদা কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত ও প্রকৃত সত্য জানার চেষ্টা করেন।
এদিকে বিষয়টি দ্রুতগতিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে মুখোরোচক সমালোচনার জন্ম দেয়। বিষয়টি হয়ে পড়ে টক অব দ্যা এরিয়া। শেষ পর্যন্ত দুপুরে কাজী মোহসিনুল হক মহসিন হুজুর ফারহানা ইয়াসমিন ও গোলাম সরোয়ার সবুজের ২০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে পড়িয়ে দেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ খালেক ও পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলামসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। তাদের বিয়ের বিষয়টি উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সামাজিক সমাধান বলে সাংবাদিকদের জানান এম এ খালেক। গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম বলেন, উভয়ের সম্মতিতে সামাজিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়েছ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আবার বিয়ের পিঁড়িতে গাংনীর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান

আপলোড টাইম : ০৯:০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ মে ২০২০

গাংনী অফিস:
আরো একবার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন গাংনী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন। মেহেরপুর সদর উপজেলার শোলমারী গ্রামের আকসারুল হকের ছেলে যুবক গোলাম সরোয়ার সবুজের সঙ্গে গত শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভাইস চেয়ারম্যানের চৌগাছা বাসভবনে ২০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
বর সরোয়ার হোসেন সবুজ এক কন্যা সন্তানের জনক। সম্প্রতি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিনের স্বামী শাহাবুদ্দিন মৃত্যুবরণ করলে তিনি একমাত্র মেয়েকে নিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করছিলেন। শনিবার সকালের দিকে ওই যুবক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতে আসেন। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন যুবক ও ফারহানা ইয়াসমিনকে ওই বাড়িতে আটকে রাখে। যুবকের সঙ্গে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের অনৈতিক সম্পর্কের দাবি করে তার বাড়িতে আটকে রাখা হয়। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিষয়টি পূর্বপরিকল্পিতভাবে সম্মানহানি করা হচ্ছে বলে দাবি করেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন। তাদেরকে ঘরে তালাবন্দি করা লোকজন মারধর করেছে বলেও বিচারের দাবি করেন তিনি।
এদিকে খবর পেয়ে ফারহানা ইয়াসমিন এর বাড়িতে যান মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ খালেক, গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম ও গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ওবায়দুর রহমান। এ সময় তারা ওই যুবক এবং ফারহানা ইয়াসমিনের সাথে আলাদা আলাদা কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত ও প্রকৃত সত্য জানার চেষ্টা করেন।
এদিকে বিষয়টি দ্রুতগতিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে মুখোরোচক সমালোচনার জন্ম দেয়। বিষয়টি হয়ে পড়ে টক অব দ্যা এরিয়া। শেষ পর্যন্ত দুপুরে কাজী মোহসিনুল হক মহসিন হুজুর ফারহানা ইয়াসমিন ও গোলাম সরোয়ার সবুজের ২০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে পড়িয়ে দেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ খালেক ও পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলামসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। তাদের বিয়ের বিষয়টি উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সামাজিক সমাধান বলে সাংবাদিকদের জানান এম এ খালেক। গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম বলেন, উভয়ের সম্মতিতে সামাজিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়েছ।