ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:১৭:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০১৯
  • / ৬২৩ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
আজ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি উদযাপন করা হবে যথাযথ মর্যাদায়, নানা আনুষ্ঠানিকতায়। ‘সবাই মিলে ভাবো, নতুন কিছু করো, নারী-পুরুষ সমতার নতুন বিশ্ব গড়ো’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পালিত হচ্ছে এবারের নারী দিবস। বাংলাদেশেতো বটেই, সারাবিশ্বেই নারীরা নানাভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন, নিপীড়িত হচ্ছেন কী ঘরে, কী বাইরে। এ অবস্থার মধ্য দিয়েই পালিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। মহিলা এবং শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ মানবাধিকার ও নারী সংগঠনগুলো দিবসটি উদযাপনে নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। নারীর প্রতি বেতন বৈষম্যের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিল একটি সুচ কারখানার নারী শ্রমিকরা। ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ নিউইয়র্কের ওই কারখানায় বিপজ্জনক ও অমানবিক কর্মপরিবেশ, স্বল্প মজুরি এবং দৈনিক ১২ ঘণ্টা শ্রমের বিরুদ্ধে তারা প্রতিবাদ করেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে ৮ মার্চ তারিখে সংঘটিত উল্লেখযোগ্য আরও ঘটনার ধারাবাহিকতায় ১৯১০ সালে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক নারী সম্মেলনে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ঘোষণা করা হয়। এর প্রস্তাব করেছিলেন জার্মান সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা ক্লারা জেটকিন। জাতিসংঘ ১৯৭৫ সাল থেকে এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন শুরু করে। এর দুই বছর পর ১৯৭৭ সালে দিনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। নারী আন্দোলনের নেত্রীরা বলছেন, বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে প্রতিনিয়ত যে নারীরা খুন, ধর্ষণ, অপহরণ, হামলা ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন, তাদের জন্য নারী দিবস কোনও বার্তা বয়ে আনতে পারছে না। এদেশে এখনও অনেক জায়গায় জন্মের আগেই কন্যাশিশুর ভ্রুণ হত্যা করা হয়। মেয়ে জন্ম দেওয়ার ‘অপরাধে’ মাকে তালাক দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে। এমনকী কন্যাশিশুকে মেরে ফেলাও হচ্ছে। এই অবস্থার পরিবর্তনে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। দেশে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে র‌্যালি, আলোচনাসভা, মানববন্ধন এবং নারী সমাবেশ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ

আপলোড টাইম : ১২:১৭:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০১৯

সমীকরণ প্রতিবেদন:
আজ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি উদযাপন করা হবে যথাযথ মর্যাদায়, নানা আনুষ্ঠানিকতায়। ‘সবাই মিলে ভাবো, নতুন কিছু করো, নারী-পুরুষ সমতার নতুন বিশ্ব গড়ো’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পালিত হচ্ছে এবারের নারী দিবস। বাংলাদেশেতো বটেই, সারাবিশ্বেই নারীরা নানাভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন, নিপীড়িত হচ্ছেন কী ঘরে, কী বাইরে। এ অবস্থার মধ্য দিয়েই পালিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। মহিলা এবং শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ মানবাধিকার ও নারী সংগঠনগুলো দিবসটি উদযাপনে নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। নারীর প্রতি বেতন বৈষম্যের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিল একটি সুচ কারখানার নারী শ্রমিকরা। ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ নিউইয়র্কের ওই কারখানায় বিপজ্জনক ও অমানবিক কর্মপরিবেশ, স্বল্প মজুরি এবং দৈনিক ১২ ঘণ্টা শ্রমের বিরুদ্ধে তারা প্রতিবাদ করেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে ৮ মার্চ তারিখে সংঘটিত উল্লেখযোগ্য আরও ঘটনার ধারাবাহিকতায় ১৯১০ সালে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক নারী সম্মেলনে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ঘোষণা করা হয়। এর প্রস্তাব করেছিলেন জার্মান সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা ক্লারা জেটকিন। জাতিসংঘ ১৯৭৫ সাল থেকে এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন শুরু করে। এর দুই বছর পর ১৯৭৭ সালে দিনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। নারী আন্দোলনের নেত্রীরা বলছেন, বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে প্রতিনিয়ত যে নারীরা খুন, ধর্ষণ, অপহরণ, হামলা ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন, তাদের জন্য নারী দিবস কোনও বার্তা বয়ে আনতে পারছে না। এদেশে এখনও অনেক জায়গায় জন্মের আগেই কন্যাশিশুর ভ্রুণ হত্যা করা হয়। মেয়ে জন্ম দেওয়ার ‘অপরাধে’ মাকে তালাক দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে। এমনকী কন্যাশিশুকে মেরে ফেলাও হচ্ছে। এই অবস্থার পরিবর্তনে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। দেশে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে র‌্যালি, আলোচনাসভা, মানববন্ধন এবং নারী সমাবেশ।