ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আদালত চত্বরে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর হাতে স্বামী লাঞ্ছিত!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৫২:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০১৮
  • / ৩৫১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: মামলার হাজিরা দিতে এসে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গনে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ও তার বাবা-মায়ের হাতে লাঞ্ছিতের শিকার হয়েছে দুই ভাই। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, যৌতুক নিরোধ আইনে চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ার মো. ফিরোজ আলী শেখের মেয়ে মোছা. সালমা আক্তার শান্তনার দায়ের করা একটি মামরার হাজিরা দিতে আদালতে আসে আলমডাঙ্গা উপজেলার বলেশ্বরপুর গ্রামের মৃত কুদরত আলীর ছেলে মো. সাহাবুদ্দিন (খোকন)। বিচারকদের আভ্যন্তরীন সমন্বয়সভা থাকায় এদিন আদালতের কার্যক্রম না হওয়ায় দু’পক্ষের লোকজন উকিল বার চত্ত্বরে অবস্থান করছিল। এ সময় আকস্মিক বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে শান্তনা ও খোকন। একপর্যায়ে শান্তনাসহ তার পিতা ফিরোজ আলী শেখ ও মাতা মর্জিনা বেগম খোকন এবং তার সাথে থাকা চাচাতো ভাই মো. বেল্টুকে মারধর শুরু করে। এ ছাড়া তাদের দু’জনকে পরবর্তীতে সামনে পেলে অপহরণ করে প্রাণনাশের হুমকীও দেয়। পরে স্থানীয়রা পরিস্থিতি শান্ত করে। এদিকে বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, আজকের ঘটনা নতুন কিছু নয়; এরআগে গত ০৮/১১/২০১৭ ইং তারিখে আরো একবার উভয়পক্ষ আদালত প্রাঙ্গনে বাকবিতন্ডা ও মারামারির ঘটনায় জড়িয়েছে। এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধির ১০৭/১১৭(০৩) ধারায় সে সময় একটি মামলা রুজু করা হয়। একই ঘটনার পুণরাবৃত্তির কারণে তাদের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ার মো. ফিরোজ আলী শেখের কন্যা মোছা. সালমা আক্তার সান্তনার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার বলেশ্বরপুর গ্রামের মৃত কুদরত আলীর ছেলে মো. সাহাবুদ্দিন (খোকন)। সাংসারিক জীবনে তাদের সাকিবুল হাসান (অপূর্ব) নামের একটি ৭ বছরের পুত্র সন্তানও রয়েছে। দাম্পত্য কলহ, অবৈধ সম্পর্ক ও যৌতুক সমস্যার কারণে ২০১৭ সালের ১৩ অক্টোবর তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তবে ওই পুত্র সন্তান স্বামী খোকনের কাছে থাকায় তাকে ফিরে পেতে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১০০ ধারার বিধান মতে সার্চ ওয়ারেন্ট মামলা করে স্ত্রী শান্তনা। এ ছাড়াও খোকনের বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনের ৪ ধারায়ও একটি মামলা করা হয়। এ দুটি মামলার হাজিরা দিতেই চুয়াডাঙ্গার নির্বাহী আদালতে আসে তারা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আদালত চত্বরে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর হাতে স্বামী লাঞ্ছিত!

আপলোড টাইম : ১১:৫২:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক: মামলার হাজিরা দিতে এসে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গনে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ও তার বাবা-মায়ের হাতে লাঞ্ছিতের শিকার হয়েছে দুই ভাই। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, যৌতুক নিরোধ আইনে চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ার মো. ফিরোজ আলী শেখের মেয়ে মোছা. সালমা আক্তার শান্তনার দায়ের করা একটি মামরার হাজিরা দিতে আদালতে আসে আলমডাঙ্গা উপজেলার বলেশ্বরপুর গ্রামের মৃত কুদরত আলীর ছেলে মো. সাহাবুদ্দিন (খোকন)। বিচারকদের আভ্যন্তরীন সমন্বয়সভা থাকায় এদিন আদালতের কার্যক্রম না হওয়ায় দু’পক্ষের লোকজন উকিল বার চত্ত্বরে অবস্থান করছিল। এ সময় আকস্মিক বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে শান্তনা ও খোকন। একপর্যায়ে শান্তনাসহ তার পিতা ফিরোজ আলী শেখ ও মাতা মর্জিনা বেগম খোকন এবং তার সাথে থাকা চাচাতো ভাই মো. বেল্টুকে মারধর শুরু করে। এ ছাড়া তাদের দু’জনকে পরবর্তীতে সামনে পেলে অপহরণ করে প্রাণনাশের হুমকীও দেয়। পরে স্থানীয়রা পরিস্থিতি শান্ত করে। এদিকে বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, আজকের ঘটনা নতুন কিছু নয়; এরআগে গত ০৮/১১/২০১৭ ইং তারিখে আরো একবার উভয়পক্ষ আদালত প্রাঙ্গনে বাকবিতন্ডা ও মারামারির ঘটনায় জড়িয়েছে। এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধির ১০৭/১১৭(০৩) ধারায় সে সময় একটি মামলা রুজু করা হয়। একই ঘটনার পুণরাবৃত্তির কারণে তাদের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ার মো. ফিরোজ আলী শেখের কন্যা মোছা. সালমা আক্তার সান্তনার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার বলেশ্বরপুর গ্রামের মৃত কুদরত আলীর ছেলে মো. সাহাবুদ্দিন (খোকন)। সাংসারিক জীবনে তাদের সাকিবুল হাসান (অপূর্ব) নামের একটি ৭ বছরের পুত্র সন্তানও রয়েছে। দাম্পত্য কলহ, অবৈধ সম্পর্ক ও যৌতুক সমস্যার কারণে ২০১৭ সালের ১৩ অক্টোবর তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তবে ওই পুত্র সন্তান স্বামী খোকনের কাছে থাকায় তাকে ফিরে পেতে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১০০ ধারার বিধান মতে সার্চ ওয়ারেন্ট মামলা করে স্ত্রী শান্তনা। এ ছাড়াও খোকনের বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনের ৪ ধারায়ও একটি মামলা করা হয়। এ দুটি মামলার হাজিরা দিতেই চুয়াডাঙ্গার নির্বাহী আদালতে আসে তারা।