ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আজ ৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩৪:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১৩৭ বার পড়া হয়েছে

মুক্তিযুদ্ধের বহুল আলোচিত এ জেলায় নেই কোনো স্মৃতিস্তম্ভ!
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ ৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় চুয়াডাঙ্গা। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন চুয়াডাঙ্গা ছিল দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম রণাঙ্গণের প্রধান কার্যালয়।
মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ৬ ডিসেম্বর পাক-বাহিনী মেহেরপুর থেকে ২৮ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে চুয়াডাঙ্গার দিকে আসে। ওই দিন সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদীর ব্রিজটি পাক-বাহিনী বোমা বিস্ফোরণ করে উড়িয়ে দেয়, যাতে মুক্তিবাহিনী তাদের অনুসরণ করতে না পারে। ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যার মধ্যে পাকবাহিনী চুয়াডাঙ্গা শহর ও আলমডাঙ্গা ছেড়ে কুষ্টিয়ার দিকে চলে গেলে চুয়াডাঙ্গা স¤পূর্ণ শত্রুমুক্ত হয়। চুয়াডাঙ্গা শত্রুমুক্ত হওয়ার পর মোস্তফা আনোয়ারকে মহকুমা প্রশাসকের দায়িত্ব দিয়ে এখানে বেসামরিক প্রশাসন চালু করা হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পেরিয়ে গেছে ৪৯ বছর। অথচ, মুক্তিযুদ্ধের বহুল আলোচিত চুয়াডাঙ্গায় কোনো স্মৃতিসৌধ নেই। ১৯৯৪ সালে স্থানীয় শহীদ হাসান চত্বরে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মিত হলেও তা অবৈধ স্থাপনা হিসেবে চিহ্নিত করে ২০০৪ সালে ভেঙে ফেলা হয়।
আজ চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল সাড়ে নয়টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, চুয়াডাঙ্গার শহীদ হাসান চত্বরের শহীদ স্মৃতি ফলকে পতাকা উত্তোলন ও পু®পস্তবক অর্পণ করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

আজ ৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস

আপলোড টাইম : ১০:৩৪:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২০

মুক্তিযুদ্ধের বহুল আলোচিত এ জেলায় নেই কোনো স্মৃতিস্তম্ভ!
নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ ৭ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় চুয়াডাঙ্গা। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন চুয়াডাঙ্গা ছিল দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম রণাঙ্গণের প্রধান কার্যালয়।
মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ৬ ডিসেম্বর পাক-বাহিনী মেহেরপুর থেকে ২৮ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে চুয়াডাঙ্গার দিকে আসে। ওই দিন সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদীর ব্রিজটি পাক-বাহিনী বোমা বিস্ফোরণ করে উড়িয়ে দেয়, যাতে মুক্তিবাহিনী তাদের অনুসরণ করতে না পারে। ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যার মধ্যে পাকবাহিনী চুয়াডাঙ্গা শহর ও আলমডাঙ্গা ছেড়ে কুষ্টিয়ার দিকে চলে গেলে চুয়াডাঙ্গা স¤পূর্ণ শত্রুমুক্ত হয়। চুয়াডাঙ্গা শত্রুমুক্ত হওয়ার পর মোস্তফা আনোয়ারকে মহকুমা প্রশাসকের দায়িত্ব দিয়ে এখানে বেসামরিক প্রশাসন চালু করা হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পেরিয়ে গেছে ৪৯ বছর। অথচ, মুক্তিযুদ্ধের বহুল আলোচিত চুয়াডাঙ্গায় কোনো স্মৃতিসৌধ নেই। ১৯৯৪ সালে স্থানীয় শহীদ হাসান চত্বরে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মিত হলেও তা অবৈধ স্থাপনা হিসেবে চিহ্নিত করে ২০০৪ সালে ভেঙে ফেলা হয়।
আজ চুয়াডাঙ্গা মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল সাড়ে নয়টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, চুয়াডাঙ্গার শহীদ হাসান চত্বরের শহীদ স্মৃতি ফলকে পতাকা উত্তোলন ও পু®পস্তবক অর্পণ করা হবে।